Logo
Logo
×

সুস্থ থাকুন

প্রসব-পরবর্তী রক্তক্ষরণ

Icon

ডা. নুসুর আক্তার

প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

প্রসব-পরবর্তী রক্তক্ষরণ

প্রতীকী ছবি।

বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রতিবছর ২৭ শতাংশ মা গর্ভকালীন ও প্রসবপরবর্তী রক্তক্ষরণে মারা যান। প্রতি দুই মিনিটে একজন মা গর্ভকালীন জটিলতায় মৃত্যুবরণ করছেন। মাতৃমৃত্যুর হার বর্তমানে প্রতি এক লাখে ১৯৭ জন, যার অন্যতম প্রধান কারণ প্রসবপরবর্তী রক্তক্ষরণ। ২০০০ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে প্রায় ৪০ শতাংশ।

সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল/টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার টার্গেট ২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার কমিয়ে প্রতি লাখে ৭০-এর নিচে নামিয়ে আনা। এ লক্ষ্যেই পুরো বিশ্বের অবস অ্যান্ড গাইনি একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।

*গর্ভকালীন ও প্রসব-পরবর্তী রক্তক্ষরণ প্রতিরোধে পরিবারের যা করণীয়

▶ একজন মেয়েকে তার সন্তান ধারণের আগে থেকেই মা হওয়ার জন্য প্রস্তুত করতে হবে।

▶ কিশোরী বয়স থেকেই পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।

▶ মাসিকসংক্রান্ত কোনো জটিলতা থাকলে সেগুলো শুরুতেই চিকিৎসা করে নিতে হবে।

▶ রক্তশূন্যতা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রক্তশূন্যতা কারেকশন করতে হবে।

▶ সন্তান ধারণের পর গর্ভাকালীন সময়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশ মতে প্রতিমাসে একবার গর্ভকালীন সেবা নিতে নিকটস্থ হাসপাতাল, কমিউনিটি ক্লিনিক কিংবা প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞর কাছে যাবেন।

▶ প্রতিমাসে একবার যদি সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে কমপক্ষে চারবার এ সেবা গ্রহণ করতে হবে, যেটাকে এন্টিনেটাল চেকআপ বলে।

▶ গর্ভাবস্থার শুরু থেকেই অল্প অল্প টাকা জমানো শুরু করবেন ডেলিভারির জন্য এবং যে কোনো ইমার্জেন্সি সিচুয়েশনের জন্য।

▶ দুজন রক্তদাতা (নিকট আত্মীয় বাদে) ঠিক করে রাখবেন প্রয়োজনে রক্ত লাগলে যেন দিতে পারে।

▶ নির্দিষ্ট একটা যানবাহন (গাড়ি, ভ্যান ইত্যাদি) ঠিক করে রাখবেন যাতে প্রসববেদনা উঠলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারে।

▶ গর্ভবতী মায়ের সঙ্গে থাকার জন্য সার্বক্ষণিক একজন মানুষ নিয়োজিত রাখবেন।

▶ ডেলিভারি অবশ্যই হাসপাতালে করাবেন।

▶ ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, থাইরয়েড অসুখ থাকলে গর্ভধারণের আগেই এগুলোর সঠিক চিকিৎসা করিয়ে নিতে হবে।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, গাইনি ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগ, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

ধানমন্ডি ঢাকা

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম