জাকার্তায় ড্রোন কোম্পানির ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিহত ২২
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:২৭ পিএম
তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন থামাতে পারে কর্মীরা। সংগৃহীত ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় একটি ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে জাকার্তার কেমায়োরান এলাকার এ দুর্ঘটনা ঘটে। ভবনটিতে ড্রোন বানানো হতো। খবর এপি’র
ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ডে অন্তত সাতজন পুরুষ ও ১৫ জন নারী মারা গেছেন। নিহতদের মাঝে রয়েছেন একজন গর্ভবতী নারী। এমন আগুন কিভাবে লেগেছে, তা নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
দেশটির দমকল কর্মকর্তারা জানান, ভবনের প্রথম তলায় সংরক্ষণ ও পরীক্ষার কাজে ব্যবহৃত ড্রোন ব্যাটারিতে স্পার্কিং থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে। ঘটনাস্থলে ২৯টি ফায়ার ট্রাক ও শতাধিক কর্মী আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেন। তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবনের অনেক কর্মী দুপুরের খাবারে বাইরে ছিলেন। তবে ভবনের ভেতরে থাকা ১৯ জন ছাদে উঠে গিয়ে প্রাণে বাঁচেন। তাদের উদ্ধার করতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জরুরি মই ব্যবহার করে একে একে নিচে নামিয়ে আনেন। ঘন কালো ধোঁয়ার কারণে কয়েকজন শ্বাসকষ্টে ভুগলেও সবাইকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহ পূর্ব জাকার্তার পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ ভবনটি ড্রোন প্রযুক্তি সরবরাহকারী টেরা ড্রোন ইন্দোনেশিয়ার বিক্রয় ও সংরক্ষণ অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হত। কোম্পানিটি নির্মাণ, খনন, তেল-গ্যাস, শক্তি, চাষাবাদ এবং নগর পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন শিল্পখাতে ড্রোন সেবা দিয়ে থাকে।
পুলিশ ও দমকল কর্তৃপক্ষ আগুন লাগার সঠিক কারণ তদন্ত করছে। স্থানীয় টেলিভিশনে ঘটনাস্থলে থাকা একজন বলেন, ‘হঠাৎ ব্যাটারি শর্ট সার্কিট হয়ে বিস্ফোরণ ঘটে। আমরা উপরের তলার কয়েকজন ছাদে উঠে গিয়ে বাঁচার চেষ্টা করি।’
