যুগান্তর ডেস্ক ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১০:২১ | অনলাইন সংস্করণ
ব্লাসফেমি আইনে ফাঁসির দণ্ড থেকে রেহাই পাওয়া খ্রিস্টান নারী আসিয়া বেগমের পাকিস্তান ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
জনরোষ থেকে বাঁচাতে তাকে রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে বন্দরনগরী করাচির গোপন কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। খবর আলজাজিরার।
আদালত আসিয়া বিবিকে মুক্তি দেয়ার পর থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাস্তায় সহিংস বিক্ষোভ হয়েছে। ফলে আসিয়া বিবির দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার।
আসিয়া বিবির এক স্বজন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ৫৪ বছর বয়সী ওই খ্রিস্টান নারী কানাডায় তার মেয়ের কাছে যেতে চান। কিন্তু শনিবার বিক্ষুব্ধদের হাত থেকে বাঁচাতে সরকার দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরীর একটি গোপন স্থানে তাকে আটক রাখে।
আমানুল্লাহ নামে আসিয়া বিবির ওই স্বজন গণমাধ্যমকে জানান, প্রাণনাশের হুমকিতে তিনি খুবই ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। কবে পাকিস্তান ছেড়ে কানাডায় যেতে পারবেন এটি এখনও নিশ্চিত নয়। সরকার এখন পর্যন্ত তাকে দেশত্যাগের অনুমতি দেয়নি।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের জুন মাসে আসিয়া বিবি ব্লাসফেমি আইনে অভিযুক্ত হওয়ার পর পাকিস্তানের একটি আদালত ২০১০ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
২০১৮ সালের অক্টোবরে পাকিস্তানের উচ্চ আদালত তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণের অপর্যাপ্ততার জন্য তাকে বেকসুর খালাস দেয়।
বেরী ফল সংগ্রহের সময় তার সহযোগীদের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হয়, এর পরই তার বিরুদ্ধে নবীজিকে (সা.) অবমাননার অভিযোগ ওঠে।
তিনি পরবর্তীকালে গ্রেফতার ও কারাবন্দি হন। ২০১০ সালের নভেম্বরে, শেখপুরা আদালতের বিচারক তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে। এর পর আসিয়া বিবি লাহোরের উচ্চ আদালতে আপিল করেন। আর তখনই এ মামলা বিশ্বব্যাপীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে।ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০০০-২০১৯