যুগান্তর ডেস্ক ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৫:৩১ | অনলাইন সংস্করণ
ক্ষুদে ব্লগ টুইটারে বিচারবিভাগ, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও গোয়েন্দা সংস্থাকে নিয়ে মানহানিকর পোস্ট দেয়ার অভিযোগে আটক পাকিস্তানি সাংবাদিক রিজওয়ানুর রহমান রাজি দাদা জামিনে ছাড়া পেয়েছেন।
রোববার লাহোরের একজন ডিউটি মেজিস্ট্রেট এক লাখ রুপির মুচলেকার বিনিময়ে তাকে জামিন দেন।-খবর ডন অনলাইনের।
পাকিস্তানের দীন নিউজ টেলিভিশনের সাংবাদিক রাজিকে শনিবার তার জোহার শহরের বাসভবন থেকে আটক করে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার সাইবারক্রাইম সেল। এসময় তার মোবাইল ফোনটিও জব্দ করা হয়েছে।
এরপর দেশটির ২০১৬ সালের ইলেক্ট্রনিক অপরাধ আইনের ১১ ও ২০ ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
তার শারীরিক রিমান্ড চেয়ে রোববার বিচারিক আদালতে তাকে তোলা হলে আদালত তা নাকচ করে দেন।
রাজির আইনজীবী বলেন, সংবিধানে যেখানে বাকস্বাধীনতার অনুমোদন করা হয়েছে, সেখানে তাকে শরীরিক রিমান্ডে নেয়া যায় না। একজন সাংবাদিক তার ব্যক্তিগত মতামত ব্যক্ত করেছেন, এটা অপরাধ হতে পারে না।
আদালতকে তিনি বলেন, ইতিবাচক সমালোচরা কী অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে? আমার মক্কেল একজন শিক্ষক ও সাংবাদিক। কিন্তু আদালতেও তাকে হাতকড়া পরানো অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে।
রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে বিচারবিভাগ নিয়ে মন্তব্য না করতে রাজিকে নির্দেশ দেন আদালত।
ইলেক্ট্রনিক অপরাধ আইনের ১১ ধারা অনুসারে ঘৃণামূলক বক্তব্য ছড়ানোর অভিযোগে সাত বছরের জেল ও জরিমানা হতে পারে।
রাজির ছেলে ওসামার বরাতে আরব নিউজ জানিয়েছে, টুইটারে সরকারবিরোধী পোস্ট দেয়ায় আটক রাজিকে বেধরক মারধর করা হয়েছে।
ওসামা বলেন, বন্ধুদের বিদায় জানাতে আমার বাবা ঘরের বাইরে বের হয়েছিলেন। যখন বন্ধুরা চলে যান, তখন অজ্ঞাত ব্যক্তিরা এসে টেনে হিঁচরে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় তাকে। গাড়ির পিছে পিছে দৌঁড়েও আমি কিছু করতে পারিনি।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০০০-২০১৯