‘সার্ফ এক্সেল’ এর ওপর ক্ষুব্দ হয়ে ‘মাইক্রোসফট এক্সেল’ বয়কট করছে ভারতীয়রা!
যুগান্তর ডেস্ক
১৩ মার্চ ২০১৯, ০২:৪৮:৩৯ | অনলাইন সংস্করণ
হিন্দু ধর্মীয় উৎসব হলিকে নিয়ে সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপনচিত্র প্রকাশ করেছে ডিটারজেন্ট সার্ফ এক্সেল।
বিজ্ঞাপনকে ঘিরে ভারতে চলছে তুমুল সমালোচনা। বিশেষকরে দেশটির সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে এ নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ।
গত শনিবার থেকে হ্যাশট্যাগ বয়কটসার্ফএক্সেল লেখাটি দেখা যাচ্ছে ভারতীয় অনেক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীর ফেসবুক টাইমলাইনে ও টুইটার হ্যান্ডেলে।
অনেকেই সার্ফ এক্সেলসহ পণ্যটির নির্মাতা সংস্থা হিন্দুস্থান ইউনিলিভারের যাবতীয় পণ্য বর্জনে আহ্বান জানাচ্ছেন। অনেকে সার্ফ এক্সেল বয়কটের ঘোষণা দিয়েও রিভিউ দিয়েছেন।
তবে ব্যাপারটিকে অনেকেই হাস্যকর পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। তারা বিজ্ঞাপনটি দেখে এতোটাই ক্ষেপেছেন যে এক্সেল শব্দটিতেই আপত্তি জানিয়েছেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়া সূত্রে জানা গেছে, অনেকেই রীতিমত গালাগালি করে মাইক্রোসফট এক্সেলের চৌদ্দগোষ্ঠি উদ্ধার করছেন!
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, সার্ফ এক্সেলের এই ধর্মবিরোধী বিজ্ঞাপন প্রকাশের আগ পর্যন্ত আমি এক্সেল অ্যাপটি পছন্দ করতাম। এখন আমি এই অ্যাপকে ধিক্কার জানাই।
রহিত সিং নামে আরেকজন ব্যবহারকারী হিন্দি ভাষায় লিখেছেন, আমি জানি তুমি সার্ফ এক্সেল না। তবুও আমি অ্যাপটিকে এক স্টার দিচ্ছি কারণ এক্সেল শব্দটির প্রতি আমার ঘৃণা জন্মেছে।
কী দেখানো হয়েছে ওই বিজ্ঞাপনে?
হোলির সময় বাইসাইকেলে চালাচ্ছে একটি ছোট্ট মেয়ে। আর পেছনে বসে মাথায় টুপি ও গায়ে পাঞ্জাবী পরা আরেকটি মুসলমান ছেলে। মেয়েটি মহল্লায় সব বন্ধুবান্ধবকে তার দিকে সব রং ছুঁড়তে বলে। একসময় রঙ সব শেষ হয়ে গেলে মেয়েটি তার মুসলমান বন্ধুকে সাইকেলের পেছনে বসিয়ে নিরাপদে মসজিদে নামাজের জন্য পৌঁছে দিয়ে আসে।
মূলত মুসলিম বন্ধুর ধবধবে সাদা কুর্তা পাজামায় যেনে কোনো রঙ না লাগে আর সে যেন নামাজ পড়তে পারে এই উদ্দেশ্যে মেয়েটি এই চতুরতা দেখায়।
এই বিজ্ঞাপনচিত্রের বিষয়ে ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী উগ্রপন্থীদের দাবি, বিজ্ঞাপনটিতে মুসলমানদের নামাজের প্রতি উৎসাহ দেয়া হয়েছে।
তবে কিছু উগ্রপন্থী রাজনৈতিক কর্মীরা ক্ষুব্দ হয়ে এতোটাই দিশেহারা হয়েছেন যে নামের শেষে ‘এক্সেল’ শব্দ থাকায় ‘সার্ফ এক্সেল’ আর ‘মাইক্রোসফট এক্সেল’কে গুলিয়ে ফেলেছেন তারা।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
‘সার্ফ এক্সেল’ এর ওপর ক্ষুব্দ হয়ে ‘মাইক্রোসফট এক্সেল’ বয়কট করছে ভারতীয়রা!
হিন্দু ধর্মীয় উৎসব হলিকে নিয়ে সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপনচিত্র প্রকাশ করেছে ডিটারজেন্ট সার্ফ এক্সেল।
বিজ্ঞাপনকে ঘিরে ভারতে চলছে তুমুল সমালোচনা। বিশেষকরে দেশটির সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে এ নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ।
গত শনিবার থেকে হ্যাশট্যাগ বয়কটসার্ফএক্সেল লেখাটি দেখা যাচ্ছে ভারতীয় অনেক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীর ফেসবুক টাইমলাইনে ও টুইটার হ্যান্ডেলে।
অনেকেই সার্ফ এক্সেলসহ পণ্যটির নির্মাতা সংস্থা হিন্দুস্থান ইউনিলিভারের যাবতীয় পণ্য বর্জনে আহ্বান জানাচ্ছেন। অনেকে সার্ফ এক্সেল বয়কটের ঘোষণা দিয়েও রিভিউ দিয়েছেন।
তবে ব্যাপারটিকে অনেকেই হাস্যকর পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। তারা বিজ্ঞাপনটি দেখে এতোটাই ক্ষেপেছেন যে এক্সেল শব্দটিতেই আপত্তি জানিয়েছেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়া সূত্রে জানা গেছে, অনেকেই রীতিমত গালাগালি করে মাইক্রোসফট এক্সেলের চৌদ্দগোষ্ঠি উদ্ধার করছেন!
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, সার্ফ এক্সেলের এই ধর্মবিরোধী বিজ্ঞাপন প্রকাশের আগ পর্যন্ত আমি এক্সেল অ্যাপটি পছন্দ করতাম। এখন আমি এই অ্যাপকে ধিক্কার জানাই।
রহিত সিং নামে আরেকজন ব্যবহারকারী হিন্দি ভাষায় লিখেছেন, আমি জানি তুমি সার্ফ এক্সেল না। তবুও আমি অ্যাপটিকে এক স্টার দিচ্ছি কারণ এক্সেল শব্দটির প্রতি আমার ঘৃণা জন্মেছে।
কী দেখানো হয়েছে ওই বিজ্ঞাপনে?
হোলির সময় বাইসাইকেলে চালাচ্ছে একটি ছোট্ট মেয়ে। আর পেছনে বসে মাথায় টুপি ও গায়ে পাঞ্জাবী পরা আরেকটি মুসলমান ছেলে। মেয়েটি মহল্লায় সব বন্ধুবান্ধবকে তার দিকে সব রং ছুঁড়তে বলে। একসময় রঙ সব শেষ হয়ে গেলে মেয়েটি তার মুসলমান বন্ধুকে সাইকেলের পেছনে বসিয়ে নিরাপদে মসজিদে নামাজের জন্য পৌঁছে দিয়ে আসে।
মূলত মুসলিম বন্ধুর ধবধবে সাদা কুর্তা পাজামায় যেনে কোনো রঙ না লাগে আর সে যেন নামাজ পড়তে পারে এই উদ্দেশ্যে মেয়েটি এই চতুরতা দেখায়।
এই বিজ্ঞাপনচিত্রের বিষয়ে ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী উগ্রপন্থীদের দাবি, বিজ্ঞাপনটিতে মুসলমানদের নামাজের প্রতি উৎসাহ দেয়া হয়েছে।
তবে কিছু উগ্রপন্থী রাজনৈতিক কর্মীরা ক্ষুব্দ হয়ে এতোটাই দিশেহারা হয়েছেন যে নামের শেষে ‘এক্সেল’ শব্দ থাকায় ‘সার্ফ এক্সেল’ আর ‘মাইক্রোসফট এক্সেল’কে গুলিয়ে ফেলেছেন তারা।