যে কারণে তেল ট্যাংকার হামলায় মাথা ঠাণ্ডা রেখেছে আরব আমিরাত
যুগান্তর ডেস্ক
১৭ মে ২০১৯, ১৭:১৪:৩২ | অনলাইন সংস্করণ
মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষমতার লড়াইয়ে ইরান চিরবৈরী হলেও তেল ট্যাংকার হামলার ঘটনায় সংযুক্ত আরব আমিরাত মেজাজ ঠাণ্ডা রেখেছে।
একটি নিরাপদ ও স্থিতিশীল ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে নিজের খ্যাতি যাতে নষ্ট হয়ে না যায়, সেজন্যই দেশটি এমন মনোভাব দেখিয়েছে।-খবর রয়টার্সের
কিন্তু বুধবার পাম্পিং স্টেশনে সশস্ত্র ড্রোন হামলার ঘটনায় ইরানকে দায়ী করে আমিরাতের মিত্র সৌদি আরব টুইটারের বন্যা বইয়ে দিয়েছে। কিন্তু উপকূলে চারটি তেল ট্যাংকারে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে কাউকে দায়ী করেনি আরব আমিরাত। এ ঘটনায় তদন্তও স্থগিত রেখেছে।
মধ্যপ্রাচ্যে ইরানি আচরণের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিকে সংকটপূর্ণ আখ্যায়িত করে উত্তেজনা প্রশমিত ও সংযমের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আবু ধাবি।
তেল ট্যাংকার হামলা থেকে ইরান নিজের দূরত্ব বজায় রাখছে। এখন পর্যন্ত কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে ইয়েমেনে ইরানি মিত্র হুতি বিদ্রোহীরা সৌদি আরবের তেল পাম্পে ড্রোন হামলার কথা জানিয়েছে।
কিন্তু ইরানকে মোকাবেলায় অপরিশোধিত তেল উৎপাদনে বিশ্বের অন্যতম এই দেশ দুটি এক ধরনের দুর্বোধ্যতা তৈরি করে রেখেছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানকে অস্থিতিশীল শক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে সৌদি-আমিরাত।
বিশ্ব থেকে ইরানকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে তারা যুক্তরাষ্ট্রে লবিং করছে। এছাড়া হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ইয়েমেনে আন্তর্জাতিক সমর্থিত সরকারকে সমর্থন দিতে একটি সামরিক জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা।
আরব আমিরাতের প্রাথমিক বিবৃতিতে কেন তেল ট্যাংকারের কথা উল্লেখ না করে বাণিজ্যিক নৌযানের কথা বলা হয়েছে, জানতে চাইলে একটি তেল সূত্র জানায়, মাঝে মাঝে আপনাকে কূটনৈতিক পথ বেছে নিতে হবে। আমাদের অর্থনৈতিক খ্যাতি নষ্ট হওয়ার সুযোগ করে দিতে পারি না আমরা।
সৌদি আরবের জ্বালানি মন্ত্রী বলেন, তাদের দুটি তেল ট্যাংকার ওই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এক পশ্চিমা কূটনীতিক বলেন, নিজের দোরগোড়ায় কোনো সংকট দেখতে চাচ্ছে না বলেই মনোভাব প্রকাশে সংযম দেখাচ্ছে আরব আমিরাত।
আরেক কূটনীতিক বলেন, দেশটি অনেক বেশি প্রায়োগিক ও কৌশলী। আর ইরান নিয়ে সৌদি আরবের উদ্বেগ অনেক বেশি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
যে কারণে তেল ট্যাংকার হামলায় মাথা ঠাণ্ডা রেখেছে আরব আমিরাত
মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষমতার লড়াইয়ে ইরান চিরবৈরী হলেও তেল ট্যাংকার হামলার ঘটনায় সংযুক্ত আরব আমিরাত মেজাজ ঠাণ্ডা রেখেছে।
একটি নিরাপদ ও স্থিতিশীল ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে নিজের খ্যাতি যাতে নষ্ট হয়ে না যায়, সেজন্যই দেশটি এমন মনোভাব দেখিয়েছে।-খবর রয়টার্সের
কিন্তু বুধবার পাম্পিং স্টেশনে সশস্ত্র ড্রোন হামলার ঘটনায় ইরানকে দায়ী করে আমিরাতের মিত্র সৌদি আরব টুইটারের বন্যা বইয়ে দিয়েছে। কিন্তু উপকূলে চারটি তেল ট্যাংকারে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে কাউকে দায়ী করেনি আরব আমিরাত। এ ঘটনায় তদন্তও স্থগিত রেখেছে।
মধ্যপ্রাচ্যে ইরানি আচরণের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিকে সংকটপূর্ণ আখ্যায়িত করে উত্তেজনা প্রশমিত ও সংযমের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আবু ধাবি।
তেল ট্যাংকার হামলা থেকে ইরান নিজের দূরত্ব বজায় রাখছে। এখন পর্যন্ত কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে ইয়েমেনে ইরানি মিত্র হুতি বিদ্রোহীরা সৌদি আরবের তেল পাম্পে ড্রোন হামলার কথা জানিয়েছে।
কিন্তু ইরানকে মোকাবেলায় অপরিশোধিত তেল উৎপাদনে বিশ্বের অন্যতম এই দেশ দুটি এক ধরনের দুর্বোধ্যতা তৈরি করে রেখেছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানকে অস্থিতিশীল শক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে সৌদি-আমিরাত।
বিশ্ব থেকে ইরানকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে তারা যুক্তরাষ্ট্রে লবিং করছে। এছাড়া হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ইয়েমেনে আন্তর্জাতিক সমর্থিত সরকারকে সমর্থন দিতে একটি সামরিক জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা।
আরব আমিরাতের প্রাথমিক বিবৃতিতে কেন তেল ট্যাংকারের কথা উল্লেখ না করে বাণিজ্যিক নৌযানের কথা বলা হয়েছে, জানতে চাইলে একটি তেল সূত্র জানায়, মাঝে মাঝে আপনাকে কূটনৈতিক পথ বেছে নিতে হবে। আমাদের অর্থনৈতিক খ্যাতি নষ্ট হওয়ার সুযোগ করে দিতে পারি না আমরা।
সৌদি আরবের জ্বালানি মন্ত্রী বলেন, তাদের দুটি তেল ট্যাংকার ওই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এক পশ্চিমা কূটনীতিক বলেন, নিজের দোরগোড়ায় কোনো সংকট দেখতে চাচ্ছে না বলেই মনোভাব প্রকাশে সংযম দেখাচ্ছে আরব আমিরাত।
আরেক কূটনীতিক বলেন, দেশটি অনেক বেশি প্রায়োগিক ও কৌশলী। আর ইরান নিয়ে সৌদি আরবের উদ্বেগ অনেক বেশি।