ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা যা বলল মার্কিন-হামাসের মিত্র কাতার
৩০ জানুয়ারি ২০২০, ১৪:৫৫:৩৯ | অনলাইন সংস্করণ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি পরিকল্পনায় সতর্কভাবে সাড়া দিয়েছে কাতার। বুধবার উপসাগরীয় দেশটি জানিয়েছে, দীর্ঘস্থায়ী শান্তি চেষ্টায় স্বাগত জানাচ্ছে কাতার। তবে হুশিয়ারি করে বলছে– ফিলিস্তিনি অধিকার ছাড়া এই শান্তি অর্জন কখনই সম্ভব হবে না।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানা গেছে, এই পরিকল্পনা ইসরাইলি উদ্দেশ্যের সঙ্গে অতিবেশি সহায়ক হিসেবে দেখা হচ্ছে। যাতে ফিলিস্তিনিদের কোনো অধিকার নেই। এতে পশ্চিমতীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো দখল করতে ইহুদি রাষ্ট্রটিকে মার্কিন সবুজ সংকেত দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া অবিভক্ত জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র কাতার সবসময় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতিপ্রবণ। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিকঘাঁটি এই উপসাগরীয় দেশটিতে অবস্থিত।
আবার তেলসমৃদ্ধ দেশটি গাজা উপত্যকার প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস নেতাদের আমন্ত্রণ জানায়। ভূখণ্ডটির একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে কোটি কোটি ডলার ও ফিলিস্তিনি অভাবী পরিবারগুলোকে নগদ অর্থ সহায়তা দিয়ে আসছে।
কাতারের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কিউএনএ জানায়, অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় সব চেষ্টাকে স্বাগত জানায় কাতার। ফিলিস্তিনি-ইসরাইল সংঘাত নিরসনে বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের সব উদ্যোগে সম্মান দেখাচ্ছে দোহা।
সৌদি জোটের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক অবরোধের মুখে থাকা দেশটি বলছে, ফিলিস্তিনি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি সমর্থনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে কাতার। পূর্ব জেরুজালেম ও নাগরিকদের তাদের ভূমিতে ফেরত যাওয়ার সুযোগসহ একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের অধিকার নিশ্চিত করা না হলে এই শান্তি স্থায়ী হবে না।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা যা বলল মার্কিন-হামাসের মিত্র কাতার
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি পরিকল্পনায় সতর্কভাবে সাড়া দিয়েছে কাতার। বুধবার উপসাগরীয় দেশটি জানিয়েছে, দীর্ঘস্থায়ী শান্তি চেষ্টায় স্বাগত জানাচ্ছে কাতার। তবে হুশিয়ারি করে বলছে– ফিলিস্তিনি অধিকার ছাড়া এই শান্তি অর্জন কখনই সম্ভব হবে না।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানা গেছে, এই পরিকল্পনা ইসরাইলি উদ্দেশ্যের সঙ্গে অতিবেশি সহায়ক হিসেবে দেখা হচ্ছে। যাতে ফিলিস্তিনিদের কোনো অধিকার নেই। এতে পশ্চিমতীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো দখল করতে ইহুদি রাষ্ট্রটিকে মার্কিন সবুজ সংকেত দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া অবিভক্ত জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র কাতার সবসময় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতিপ্রবণ। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিকঘাঁটি এই উপসাগরীয় দেশটিতে অবস্থিত।
আবার তেলসমৃদ্ধ দেশটি গাজা উপত্যকার প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস নেতাদের আমন্ত্রণ জানায়। ভূখণ্ডটির একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে কোটি কোটি ডলার ও ফিলিস্তিনি অভাবী পরিবারগুলোকে নগদ অর্থ সহায়তা দিয়ে আসছে।
কাতারের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কিউএনএ জানায়, অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় সব চেষ্টাকে স্বাগত জানায় কাতার। ফিলিস্তিনি-ইসরাইল সংঘাত নিরসনে বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের সব উদ্যোগে সম্মান দেখাচ্ছে দোহা।
সৌদি জোটের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক অবরোধের মুখে থাকা দেশটি বলছে, ফিলিস্তিনি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি সমর্থনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে কাতার। পূর্ব জেরুজালেম ও নাগরিকদের তাদের ভূমিতে ফেরত যাওয়ার সুযোগসহ একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের অধিকার নিশ্চিত করা না হলে এই শান্তি স্থায়ী হবে না।