চীন যেতে আমেরিকানদের বারণ
করোনাভাইরাসে প্রাণহানি বাড়ার প্রেক্ষাপটে নাগরিকদের চীন সফরে বারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনে যাওয়ার আগে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে চতুর্থ স্তরের সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
দেশটি জানায়, চীনে থাকা যে কোনো আমেরিকানকে বাণিজ্যিক মাধ্যম ব্যবহার করে দেশটি থেকে চলে আসার বিষয়টি ভেবে দেখা উচিত।
গত সপ্তাহে হালনাগাদ ভ্রমণ সতর্কতায় উহান থেকে অপ্রয়োজনীয় কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারকে চলে আসতে নির্দেশ দেয় মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।-খবর এএফপির
এদিকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ঘটনায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। ইতিমধ্যে এই ভাইরাসে শুক্রবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৩ জন। আর আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজারের মতো।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। এখন পর্যন্ত ২০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই মহামারী। সেই প্রেক্ষাপটে নাগরিকরা যাতে চীন ভ্রণের না যান, সেই নির্দেশনা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এর কয়েক ঘণ্টা আগে জেনেভায় সংকটকালীন আলোচনা শেষে ঝুঁকি মূল্যায়ন পুনর্বিবেচনা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। শুরুর থেকে করোনাভাইরাসের হুমকি হালকা করে দেখায় সমালোচনার শিকার হয়েছে এই সংস্থাটিকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরোস আডহানোম গেবরিয়াসুস বলেন, দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দেশগুলোতে এই ভাইরাস ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাই আমাদের সবচেয়ে বড় উদ্বেগ। এটির বিস্তার যাতে আর ঘটতে না পারে, সেজন্য আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজকরতে হবে। কেবল সবাই একসঙ্গে সক্রিয় হয়ে এটাকে বন্ধ করতে পারবো।
নতুন ধরনের এ করোনাভাইরাস বিভিন্ন দেশে ছড়িয়েছে প্রথমত চীনফেরত ব্যক্তিদের মাধ্যমে। কিন্তু জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও ভিয়েতনামে ৮ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, যারা কখনও চীনে যাননি।
অর্থাৎ, সেখানে মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে শুরু করেছে এ ভাইরাস।
যেসব দেশে রোগ নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসা ব্যবস্থা তুলনামূলকভাবে দুর্বল, সেসব দেশে মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ শুরু হলে পরিস্থিতি কী হবে- মূল সেই ভাবনা থেকেই বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এদিকে চীনে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা এক দিনেই ১৭০ থেকে বেড়ে হয়েছে ২১৩ জন। নতুন করে দুই হাজার মানুষের দেহে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, কেবল চীনেই আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৭০০ জনে দাঁড়িয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
চীন যেতে আমেরিকানদের বারণ
করোনাভাইরাসে প্রাণহানি বাড়ার প্রেক্ষাপটে নাগরিকদের চীন সফরে বারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনে যাওয়ার আগে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে চতুর্থ স্তরের সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
দেশটি জানায়, চীনে থাকা যে কোনো আমেরিকানকে বাণিজ্যিক মাধ্যম ব্যবহার করে দেশটি থেকে চলে আসার বিষয়টি ভেবে দেখা উচিত।
গত সপ্তাহে হালনাগাদ ভ্রমণ সতর্কতায় উহান থেকে অপ্রয়োজনীয় কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারকে চলে আসতে নির্দেশ দেয় মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।-খবর এএফপির
এদিকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ঘটনায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। ইতিমধ্যে এই ভাইরাসে শুক্রবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৩ জন। আর আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজারের মতো।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। এখন পর্যন্ত ২০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই মহামারী। সেই প্রেক্ষাপটে নাগরিকরা যাতে চীন ভ্রণের না যান, সেই নির্দেশনা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এর কয়েক ঘণ্টা আগে জেনেভায় সংকটকালীন আলোচনা শেষে ঝুঁকি মূল্যায়ন পুনর্বিবেচনা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। শুরুর থেকে করোনাভাইরাসের হুমকি হালকা করে দেখায় সমালোচনার শিকার হয়েছে এই সংস্থাটিকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরোস আডহানোম গেবরিয়াসুস বলেন, দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দেশগুলোতে এই ভাইরাস ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাই আমাদের সবচেয়ে বড় উদ্বেগ। এটির বিস্তার যাতে আর ঘটতে না পারে, সেজন্য আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজকরতে হবে। কেবল সবাই একসঙ্গে সক্রিয় হয়ে এটাকে বন্ধ করতে পারবো।
নতুন ধরনের এ করোনাভাইরাস বিভিন্ন দেশে ছড়িয়েছে প্রথমত চীনফেরত ব্যক্তিদের মাধ্যমে। কিন্তু জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও ভিয়েতনামে ৮ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, যারা কখনও চীনে যাননি।
অর্থাৎ, সেখানে মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে শুরু করেছে এ ভাইরাস।
যেসব দেশে রোগ নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসা ব্যবস্থা তুলনামূলকভাবে দুর্বল, সেসব দেশে মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ শুরু হলে পরিস্থিতি কী হবে- মূল সেই ভাবনা থেকেই বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এদিকে চীনে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা এক দিনেই ১৭০ থেকে বেড়ে হয়েছে ২১৩ জন। নতুন করে দুই হাজার মানুষের দেহে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, কেবল চীনেই আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৭০০ জনে দাঁড়িয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন।