মাত্র ১০ দিনে যেভাবে হাজার শয্যার হাসপাতাল বানাল চীন
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য উহান শহরে ১০ দিনেই হাসপাতাল নির্মাণ করেছে চীন।
এক হাজার শয্যার হাসপাতালটি সোমবার খুলে দেয়া হবে। ‘ফায়ার গড মাউন্টেইন’ নামের হাসপাতালে রোববার নিয়োগ দেয়া হয়েছে ১ হাজার ৪০০ সেনা চিকিৎসক। তাদের অনেকেই ২০০২-০৩ সালে চীনে আবির্ভাব ঘটা সার্স ভাইরাস প্রতিরোধে কাজ করেছিলেন।
এ ভাইরাসে হংকং ও চীনে মারা গিয়েছিল প্রায় ৬৫০ জন। উহানের হুশেনশানে অস্থায়ী ভিত্তিতে তৈরি এ হাসপাতালটির আয়তন ২৫ হাজার বর্গমিটার।
উহানে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর ২৪ জানুয়ারি হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় উহানের জিয়াংঝিয়া জেলায় পরদিনই (২৫ জানুয়ারি) আরেকটি হাসপাতালের কাজ শুরু হয়।
‘থান্ডার গড মাউন্টেইন’ নামের ১ হাজার ৬শ’ শয্যার হাসপাতালটি বৃহস্পতিবার খুলে দেয়া হবে। নতুন হাসপাতাল দুটি আগে থেকে তৈরি ছোট ছোট ভবন একসঙ্গে জোড়া দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে।
হাসপাতালটির নির্মাণকাজ চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে। ২০০৩ সালে সার্স ভাইরাস মোকাবেলায় বেইজিংয়ে ৭ দিনে নির্মিত হাসপাতাল ছিল বিশ্ব রেকর্ড।
টেলিভিশনে হাসপাতাল নির্মাণের এই দৃশ্য দেখছে বহু মানুষ। গ্লোবাল টাইমস বলছে, চীনে প্রায় চার কোটি মানুষ হাসপাতাল নির্মাণের লাইভ স্ট্রিমিং দেখছে।
ইয়াংঝং হুয়াং নামে একজন কর্মকর্তা বলছেন, চীনে এই হাসপাতালটির মতো প্রকল্প খুব দ্রুত বাস্তবায়নের ইতিহাস আছে।
বেইজিংয়ের হাসপাতালাটির মতো উহানের এই হুশেনশান হাসপাতালটিও আগে থেকে তৈরি ছোট ছোট ভবন একসঙ্গে জোড়া দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে।
হুয়াং বলেন, নির্মাণ কাজ খুব দ্রুত শেষ করার জন্য সারা দেশ থেকে প্রকোশলীদের উহানে নিয়ে আসা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রকৌশল কাজে চীন খুবই দক্ষ। পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষে এটা কল্পনা করাও কঠিন। কিন্তু এটা করা সম্ভব।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
মাত্র ১০ দিনে যেভাবে হাজার শয্যার হাসপাতাল বানাল চীন
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য উহান শহরে ১০ দিনেই হাসপাতাল নির্মাণ করেছে চীন।
এক হাজার শয্যার হাসপাতালটি সোমবার খুলে দেয়া হবে। ‘ফায়ার গড মাউন্টেইন’ নামের হাসপাতালে রোববার নিয়োগ দেয়া হয়েছে ১ হাজার ৪০০ সেনা চিকিৎসক। তাদের অনেকেই ২০০২-০৩ সালে চীনে আবির্ভাব ঘটা সার্স ভাইরাস প্রতিরোধে কাজ করেছিলেন।
এ ভাইরাসে হংকং ও চীনে মারা গিয়েছিল প্রায় ৬৫০ জন। উহানের হুশেনশানে অস্থায়ী ভিত্তিতে তৈরি এ হাসপাতালটির আয়তন ২৫ হাজার বর্গমিটার।
উহানে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর ২৪ জানুয়ারি হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় উহানের জিয়াংঝিয়া জেলায় পরদিনই (২৫ জানুয়ারি) আরেকটি হাসপাতালের কাজ শুরু হয়।
‘থান্ডার গড মাউন্টেইন’ নামের ১ হাজার ৬শ’ শয্যার হাসপাতালটি বৃহস্পতিবার খুলে দেয়া হবে। নতুন হাসপাতাল দুটি আগে থেকে তৈরি ছোট ছোট ভবন একসঙ্গে জোড়া দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে।
হাসপাতালটির নির্মাণকাজ চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে। ২০০৩ সালে সার্স ভাইরাস মোকাবেলায় বেইজিংয়ে ৭ দিনে নির্মিত হাসপাতাল ছিল বিশ্ব রেকর্ড।
টেলিভিশনে হাসপাতাল নির্মাণের এই দৃশ্য দেখছে বহু মানুষ। গ্লোবাল টাইমস বলছে, চীনে প্রায় চার কোটি মানুষ হাসপাতাল নির্মাণের লাইভ স্ট্রিমিং দেখছে।
ইয়াংঝং হুয়াং নামে একজন কর্মকর্তা বলছেন, চীনে এই হাসপাতালটির মতো প্রকল্প খুব দ্রুত বাস্তবায়নের ইতিহাস আছে।
বেইজিংয়ের হাসপাতালাটির মতো উহানের এই হুশেনশান হাসপাতালটিও আগে থেকে তৈরি ছোট ছোট ভবন একসঙ্গে জোড়া দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে।
হুয়াং বলেন, নির্মাণ কাজ খুব দ্রুত শেষ করার জন্য সারা দেশ থেকে প্রকোশলীদের উহানে নিয়ে আসা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রকৌশল কাজে চীন খুবই দক্ষ। পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষে এটা কল্পনা করাও কঠিন। কিন্তু এটা করা সম্ভব।