জাতিসংঘ মিশনে যোগ দিতে লেবাননের পথে ২৫০ জার্মান সেনা
অনলাইন ডেস্ক
০৫ আগস্ট ২০২০, ১৫:৫৫:০৩ | অনলাইন সংস্করণ
লেবাননের রাজধানী বৈরুত বন্দরের ওয়্যার হাউসে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে মেরিটাইম টাস্কফোর্সে যোগ দিতে ২৫০ সেনা নিয়ে একটি জার্মান যুদ্ধ জাহাজ রওয়ানা হয়েছে।
জাহাজটি লেবাননে শান্তিরক্ষা মিশনে ৫ মাস কাজ করবে।স্থানীয় সময় মঙ্গলবার জার্মানির ওয়াইলথেমশাভেন বন্দর থেকে লেবাননের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে।খবর আরব নিউজের।
বাইরের কোন দেশ থেকে যাতে অন্ত্র না আসতে পারে- তা পর্যবেক্ষণ করবে জার্মানির ওই যুদ্ধ জাহাজ।
লিবিয়ায় উত্তেজনা প্রশসন ও অবৈধ অস্ত্রের সরবরাহ বন্ধ করতে গত মে মাস থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইরিনি নামে একটি বিশেষ অভিযান শুরু করে ভূমধ্য সাগরে।
তবে, করোনাভাইরাসের কারণে জার্মান জাহাজের সেনারা লেবাননে নামবে না।জাহাজে থেকেই তাদের কার্যক্রম চালাবে এবং ডিসম্বরের ২০ তারিখে আবার ফিরে যাবে নিজ দেশে।
এদিকে, লেবাননের বৈরুত বন্দরের ওয়্যার হাউসে ভয়াবহ বিস্ফোরণে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে মেরিটাইম টাস্কফোর্সের অধীনে নিয়োজিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ বিজয়ের ২১ সদস্য আহত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বৈরুত মেডিকেল সেন্টারে (এইউবিএমসি) ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদের ইউনিফিলের তত্ত্বাবধানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হেলিকপ্টার/অ্যাম্বুলেন্সযোগে হামুদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তারা আশঙ্কামুক্ত।
শান্তিরক্ষা মিশন ইউনিফিলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আহত নৌ সদস্যদের চিকিৎসা চলমান রয়েছে। এ দুর্ঘটনায় নৌবাহিনী জাহাজ বিজয়ের বিস্তারিত ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে নৌবাহিনী জাহাজ, ইউনিফিল সদর দফতর ও বৈরুতস্থ বাংলাদেশি দূতাবাসের সঙ্গে নৌবাহিনী সদর দফতরের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে।
ইউনিফিল হেড অব মিশন এবং ফোর্স কমান্ডার ও মেরিটাইম টাস্কফোর্স কমান্ডার সার্বিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
এ ব্যাপারে তারা ও সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। ঘটনার অব্যবহৃত পরই বৈরুতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আল মোস্তাহিদুর রহমান সরেজমিন বানৌজা বিজয় পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া আহতদের হাসপাতালে স্থানান্তর ও যথাযথ চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
জাতিসংঘ মিশনে যোগ দিতে লেবাননের পথে ২৫০ জার্মান সেনা
লেবাননের রাজধানী বৈরুত বন্দরের ওয়্যার হাউসে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে মেরিটাইম টাস্কফোর্সে যোগ দিতে ২৫০ সেনা নিয়ে একটি জার্মান যুদ্ধ জাহাজ রওয়ানা হয়েছে।
জাহাজটি লেবাননে শান্তিরক্ষা মিশনে ৫ মাস কাজ করবে।স্থানীয় সময় মঙ্গলবার জার্মানির ওয়াইলথেমশাভেন বন্দর থেকে লেবাননের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে।খবর আরব নিউজের।
বাইরের কোন দেশ থেকে যাতে অন্ত্র না আসতে পারে- তা পর্যবেক্ষণ করবে জার্মানির ওই যুদ্ধ জাহাজ।
লিবিয়ায় উত্তেজনা প্রশসন ও অবৈধ অস্ত্রের সরবরাহ বন্ধ করতে গত মে মাস থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইরিনি নামে একটি বিশেষ অভিযান শুরু করে ভূমধ্য সাগরে।
তবে, করোনাভাইরাসের কারণে জার্মান জাহাজের সেনারা লেবাননে নামবে না।জাহাজে থেকেই তাদের কার্যক্রম চালাবে এবং ডিসম্বরের ২০ তারিখে আবার ফিরে যাবে নিজ দেশে।
এদিকে, লেবাননের বৈরুত বন্দরের ওয়্যার হাউসে ভয়াবহ বিস্ফোরণে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে মেরিটাইম টাস্কফোর্সের অধীনে নিয়োজিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ বিজয়ের ২১ সদস্য আহত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বৈরুত মেডিকেল সেন্টারে (এইউবিএমসি) ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদের ইউনিফিলের তত্ত্বাবধানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হেলিকপ্টার/অ্যাম্বুলেন্সযোগে হামুদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তারা আশঙ্কামুক্ত।
শান্তিরক্ষা মিশন ইউনিফিলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আহত নৌ সদস্যদের চিকিৎসা চলমান রয়েছে। এ দুর্ঘটনায় নৌবাহিনী জাহাজ বিজয়ের বিস্তারিত ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে নৌবাহিনী জাহাজ, ইউনিফিল সদর দফতর ও বৈরুতস্থ বাংলাদেশি দূতাবাসের সঙ্গে নৌবাহিনী সদর দফতরের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে।
ইউনিফিল হেড অব মিশন এবং ফোর্স কমান্ডার ও মেরিটাইম টাস্কফোর্স কমান্ডার সার্বিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
এ ব্যাপারে তারা ও সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। ঘটনার অব্যবহৃত পরই বৈরুতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আল মোস্তাহিদুর রহমান সরেজমিন বানৌজা বিজয় পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া আহতদের হাসপাতালে স্থানান্তর ও যথাযথ চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করেন।