লেবাননে ক্ষমতা যাচ্ছে সেনাবাহিনীর হাতে
লেবাননে গত সপ্তাহে ভয়ানক বিস্ফোরণের পর আন্দোলনের মুখে সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। এরপরও আন্দোলন অব্যাহত থাকে দেশটির প্রেসিডেন্ট ও স্পিকারের পদত্যাগের জন্য। বৃহস্পতিবার দেশটির সংসদ জরুরি অবস্থা অনুমোদন করে। ফলে কার্যত ক্ষমতা যাচ্ছে সেনাবাহিনীর হাতে।
এর আগে বৈরুতে বিস্ফোরণের পর দিন মন্ত্রিসভা দুই সপ্তাহের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছিল। ওই বিস্ফোরণে ২০০ জনের বেশি মানুষ নিহত ও ৬ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দেশটির সংসদ জরুরি অবস্থার জন্য আট দিনের মধ্যে ভোট দিয়েছে। যেটি আইনগতভাবে প্রয়োজন ছিল।
জরুরি অবস্থা সেনাবাহিনীকে বাকস্বাধীনতা, সমাবেশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বন্ধসহ বাড়িতে প্রবেশ করে যে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতারে অনুমতি দেয়; যা নিরাপত্তার হুমকি বলে বিবেচিত হয়।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও বিভিন্ন সংগঠনগুলো বলছে, সামরিক আদালতে বিচারগুলো স্বাভাবিক বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে খাপ খায় না।
লেবাননে জরুরি অবস্থা জারি করার পর মানবাধিকার সংগঠনগুলোর উদ্বেগ বেড়েছে। তারা বলছে, বিস্ফোরণের পর সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের দমাতে নিরাপত্তা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
লেবাননে ক্ষমতা যাচ্ছে সেনাবাহিনীর হাতে
লেবাননে গত সপ্তাহে ভয়ানক বিস্ফোরণের পর আন্দোলনের মুখে সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। এরপরও আন্দোলন অব্যাহত থাকে দেশটির প্রেসিডেন্ট ও স্পিকারের পদত্যাগের জন্য। বৃহস্পতিবার দেশটির সংসদ জরুরি অবস্থা অনুমোদন করে। ফলে কার্যত ক্ষমতা যাচ্ছে সেনাবাহিনীর হাতে।
এর আগে বৈরুতে বিস্ফোরণের পর দিন মন্ত্রিসভা দুই সপ্তাহের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছিল। ওই বিস্ফোরণে ২০০ জনের বেশি মানুষ নিহত ও ৬ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দেশটির সংসদ জরুরি অবস্থার জন্য আট দিনের মধ্যে ভোট দিয়েছে। যেটি আইনগতভাবে প্রয়োজন ছিল।
জরুরি অবস্থা সেনাবাহিনীকে বাকস্বাধীনতা, সমাবেশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বন্ধসহ বাড়িতে প্রবেশ করে যে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতারে অনুমতি দেয়; যা নিরাপত্তার হুমকি বলে বিবেচিত হয়।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও বিভিন্ন সংগঠনগুলো বলছে, সামরিক আদালতে বিচারগুলো স্বাভাবিক বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে খাপ খায় না।
লেবাননে জরুরি অবস্থা জারি করার পর মানবাধিকার সংগঠনগুলোর উদ্বেগ বেড়েছে। তারা বলছে, বিস্ফোরণের পর সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের দমাতে নিরাপত্তা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে।