মাইকে আজানের মামলায় জার্মানিতে মুসলিমদের জয়
জার্মানির ওয়ের-এরকেন্সউইক শহরের মুসলিম বাসিন্দারা পাঁচ বছর ধরে মামলা লড়ে অবশেষে মাইকে আজান দেয়ার অধিকার ফিরে পেয়েছেন।
জার্মানির একটি আদালত বুধবার স্থানীয়দের দায়ের করা এ সংক্রান্ত মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।
জার্মানির উত্তর রাইন-ওয়েস্টফালিয়া অঙ্গরাজ্যের এই শহরের মুসলিম জনগোষ্ঠীটি মূলত তুর্কি বংশোদ্ভূত।
২০১৫ সালে দিতিব নামের জনগোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে মাইকে আজান দেয়ার মাধ্যমে অন্যদের ধর্মীয় স্বাধীনতা হরণের অভিযোগ আনা হয়। শহরটির কর্তৃপক্ষ দিতিব জনগোষ্ঠীকে দুপুরের আগে মসজিদের মাইক ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে রেখেছিল।
তবে একটি মসজিদ থেকে মাত্র ৯০০ মিটার দূরে বসবাসকারী এক দম্পতি শহর কর্তৃপক্ষের ওই অনুমোদনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
তাদের অভিযোগ ছিল– আজানের শব্দের কারণে তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। ওই মামলার পর থেকেই শহরটিতে আজান দেয়া বন্ধ হয়ে যায়।
তবে বুধবার ওই দম্পতির যুক্তি খারিজ করে দেন মুয়েন্সটার শহরের আদালত। ফলে শহরটিতে আবারও আজান দেয়ার অধিকার ফিরে পেয়েছেন মুসলিমরা।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, অন্যদের ধর্মীয়চর্চা করার অধিকারও সমাজকে অবশ্যই মানতে হবে। যতক্ষণ কাউকে ধর্মচর্চায় জোর করা হচ্ছে না, ততক্ষণ অভিযোগ জানানোর কোনো সুযোগ নেই।
মাইকে আজানের মামলায় জার্মানিতে মুসলিমদের জয়
অনলাইন ডেস্ক
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৩:৪০:৩২ | অনলাইন সংস্করণ
জার্মানির ওয়ের-এরকেন্সউইক শহরের মুসলিম বাসিন্দারা পাঁচ বছর ধরে মামলা লড়ে অবশেষে মাইকে আজান দেয়ার অধিকার ফিরে পেয়েছেন।
জার্মানির একটি আদালত বুধবার স্থানীয়দের দায়ের করা এ সংক্রান্ত মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।
জার্মানির উত্তর রাইন-ওয়েস্টফালিয়া অঙ্গরাজ্যের এই শহরের মুসলিম জনগোষ্ঠীটি মূলত তুর্কি বংশোদ্ভূত।
২০১৫ সালে দিতিব নামের জনগোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে মাইকে আজান দেয়ার মাধ্যমে অন্যদের ধর্মীয় স্বাধীনতা হরণের অভিযোগ আনা হয়। শহরটির কর্তৃপক্ষ দিতিব জনগোষ্ঠীকে দুপুরের আগে মসজিদের মাইক ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে রেখেছিল।

তবে একটি মসজিদ থেকে মাত্র ৯০০ মিটার দূরে বসবাসকারী এক দম্পতি শহর কর্তৃপক্ষের ওই অনুমোদনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
তাদের অভিযোগ ছিল– আজানের শব্দের কারণে তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। ওই মামলার পর থেকেই শহরটিতে আজান দেয়া বন্ধ হয়ে যায়।
তবে বুধবার ওই দম্পতির যুক্তি খারিজ করে দেন মুয়েন্সটার শহরের আদালত। ফলে শহরটিতে আবারও আজান দেয়ার অধিকার ফিরে পেয়েছেন মুসলিমরা।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, অন্যদের ধর্মীয়চর্চা করার অধিকারও সমাজকে অবশ্যই মানতে হবে। যতক্ষণ কাউকে ধর্মচর্চায় জোর করা হচ্ছে না, ততক্ষণ অভিযোগ জানানোর কোনো সুযোগ নেই।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023