ফিলিস্তিনি কিশোরকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিল ইসরাইল
অনলাইন ডেস্ক
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:৩২:১২ | অনলাইন সংস্করণ
ইসরাইলের একটি সামরিক আদালত জর্দান নদীর পশ্চিমতীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরের ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি ওই কিশোরের নাম সামের আবদুল করিম আওয়ায়িস। তাকে এক বছরেরও বেশি সময় আগে ধরে নিয়ে গিয়েছিলেন দখলদার ইসরাইলি সেনারা। খবর ফিলিস্তিন নিউজ নেটওয়ার্কের।
ইসরাইলের ‘পেতাহ টিকভা’ ডিটেনশন সেন্টারে সামেরকে কয়েক মাস ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং এ সময় তার ওপর নির্যাতনও চালান ইসরাইলি তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
সামেরের বাবা বর্তমানে ইসরাইলি কারাগারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন। তাকে গত এক বছরেরও বেশি সময় বন্দি থাকাবস্থায় বাবার সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হয়নি।
সামেরের বড় ভাই হাসানকে ২০০৪ সালে ধরে নিয়ে যান ইহুদিবাদী সেনারা। হাসানকে দুবার যাবজ্জীবনের সঙ্গে অতিরিক্ত ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ইসরাইলি আদালত।
এ ছাড়া সামেরের এক চাচা ২০০২ সালে ‘আমারি’ শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত হন।
ফিলিস্তিনের বন্দিবিষয়ক কমিশন গত এপ্রিলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, বর্তমানে ইসরাইলি কারাগারগুলোতে প্রায় ২০০ ফিলিস্তিনি শিশু মানবেতর জীবনযাপন করছে।
এসব শিশুকে ন্যূনতম সহায়তা না করার জন্য জাতিসংঘের তীব্র সমালোচনা করেন ওই কমিশনের প্রধান কাদরি আবু বাকের।
তিনি বলেন, ২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ইসরাইলি সেনারা অন্তত ১৭ হাজার ফিলিস্তিনি শিশুকে আটক করেছে, যাদের মধ্যে ১০ বছরের কম বয়সী হাজার হাজার শিশু ছিল।
ডিফেন্স ফর চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনালের তথ্যানুযায়ী, প্রতি বছর ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৫০০-৭০০ ফিলিস্তিনি শিশুকে আটক করে দখলদার সেনারা এবং ইসরাইলের সামরিক আদালতে তাদের বিচার করা হয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ফিলিস্তিনি কিশোরকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিল ইসরাইল
ইসরাইলের একটি সামরিক আদালত জর্দান নদীর পশ্চিমতীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরের ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি ওই কিশোরের নাম সামের আবদুল করিম আওয়ায়িস। তাকে এক বছরেরও বেশি সময় আগে ধরে নিয়ে গিয়েছিলেন দখলদার ইসরাইলি সেনারা। খবর ফিলিস্তিন নিউজ নেটওয়ার্কের।
ইসরাইলের ‘পেতাহ টিকভা’ ডিটেনশন সেন্টারে সামেরকে কয়েক মাস ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং এ সময় তার ওপর নির্যাতনও চালান ইসরাইলি তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
সামেরের বাবা বর্তমানে ইসরাইলি কারাগারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন। তাকে গত এক বছরেরও বেশি সময় বন্দি থাকাবস্থায় বাবার সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হয়নি।
সামেরের বড় ভাই হাসানকে ২০০৪ সালে ধরে নিয়ে যান ইহুদিবাদী সেনারা। হাসানকে দুবার যাবজ্জীবনের সঙ্গে অতিরিক্ত ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ইসরাইলি আদালত।
এ ছাড়া সামেরের এক চাচা ২০০২ সালে ‘আমারি’ শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত হন।
ফিলিস্তিনের বন্দিবিষয়ক কমিশন গত এপ্রিলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, বর্তমানে ইসরাইলি কারাগারগুলোতে প্রায় ২০০ ফিলিস্তিনি শিশু মানবেতর জীবনযাপন করছে।
এসব শিশুকে ন্যূনতম সহায়তা না করার জন্য জাতিসংঘের তীব্র সমালোচনা করেন ওই কমিশনের প্রধান কাদরি আবু বাকের।
তিনি বলেন, ২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ইসরাইলি সেনারা অন্তত ১৭ হাজার ফিলিস্তিনি শিশুকে আটক করেছে, যাদের মধ্যে ১০ বছরের কম বয়সী হাজার হাজার শিশু ছিল।
ডিফেন্স ফর চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনালের তথ্যানুযায়ী, প্রতি বছর ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৫০০-৭০০ ফিলিস্তিনি শিশুকে আটক করে দখলদার সেনারা এবং ইসরাইলের সামরিক আদালতে তাদের বিচার করা হয়।