সৌদিসহ পাঁচ দেশ ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী: ট্রাম্প
যুগান্তর ডেস্ক
২৪ অক্টোবর ২০২০, ১৭:৫৫:৫৫ | অনলাইন সংস্করণ
সৌদি আরবসহ আরও পাঁচটি দেশ মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র ইহুদি দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক স্থান করতে চায় বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ইসরাইল ও সুদান সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর বিবিসির।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আরব দেশগুলোর সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার নানা উদ্যোগ নেন।
প্রথমে তেল আবিব থেকে ইসরাইলের রাজধানী জেরুজালেমে স্থানান্তরের স্বীকৃতি এবং সেখানে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে নেয়ার মাধ্যমে ইসরাইলকে মধ্যপ্রাচ্যে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেন ট্রাম্প।
তারপর থেকে বিভিন্ন দেশকে চাপ, লোভ ও টোপ দিয়ে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেন তিনি।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৫ সেপ্টেম্বর আরব আমিরাত ও বাহরাইন ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। তারপর থেকে সুদানকে চাপ দিয়ে আসছিল হোয়াইট হাউস।
এরই অংশ হিসেবে দীর্ঘদিনের অবরোধে ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশ সুদানকে আর্থিক সুবিদা ও সন্ত্রাসবাদী দেশের তালিকা থেকে বের করার শর্তে ইসরাইলকে স্বীকৃদি দেয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল ট্রাম্পের প্রশাসন।
শুক্রবার হোয়াইট হাউস থেকে ফোনে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, সুদানের প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লাহ হামদক ও অন্তর্বর্তী সামরিক কাউন্সিলের প্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের সঙ্গে আলোচনায় সুদান-ইসরাইল সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিন দেশের দেয়া যৌথ এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সুদান ও ইসরাইলের মধ্যকার সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণে নেতারা একমত হয়েছেন এবং দেশগুলোর মধ্যকার যুদ্ধাবস্থার অবসানের সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।’
অবশ্য সুদানের অন্তর্বর্তী প্রশাসন এ ধরনের চুক্তি করার এখতিয়ার রাখেন না কিন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দেশটিতে বর্তমানে অন্তর্র্বর্তী প্রশাসন দেশ চালাচ্ছে এবং ২০২২ সাল পর্যন্ত সুদান পার্লামেন্টবিহীন থাকবে।
২০২২ সালে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের কথা রয়েছে ক্ষুদা ও দারিদ্র্যপীড়িত সুদানে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিবাচনের মাত্র ৯ দিন বাকি থাকতে এমন একটি চুক্তি করে ট্রাম্প পুনর্নির্বাচনের জন্য সুযোগ নিতে চাইছেন।
বিশেষত ইসরাইলপন্থী ভোটার ও ইসরাইলপ্রেমী প্রতিষ্ঠানগুলোকে খুশি করার মাধ্যমে ক্ষমতায় আরেকবার থাকার সুযোগ সহজ হবে বলে মনে করছেন তিনি। ট্রাম্পের কথা থেকেও বিষযটি স্পষ্ট।
তিন দেশের নেতাদের আলোচনায় ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনার কি মনে হয় ঘুমপ্রবণ জো বাইডেন এমন একটি চুক্তি করবে পারবে?’
জবাবে নেতানিয়াহু বলেন, ‘একটি বিষয় আমি আপনাকে বলতে চাই। তা হল- আমেরিকার যে কারও কাছ থেকে শান্তি প্রতিষ্ঠায়সহায়তা আমরা পেতে চাই।’
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সৌদিসহ পাঁচ দেশ ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী: ট্রাম্প
সৌদি আরবসহ আরও পাঁচটি দেশ মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র ইহুদি দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক স্থান করতে চায় বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ইসরাইল ও সুদান সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর বিবিসির।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আরব দেশগুলোর সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার নানা উদ্যোগ নেন।
প্রথমে তেল আবিব থেকে ইসরাইলের রাজধানী জেরুজালেমে স্থানান্তরের স্বীকৃতি এবং সেখানে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে নেয়ার মাধ্যমে ইসরাইলকে মধ্যপ্রাচ্যে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেন ট্রাম্প।
তারপর থেকে বিভিন্ন দেশকে চাপ, লোভ ও টোপ দিয়ে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেন তিনি।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৫ সেপ্টেম্বর আরব আমিরাত ও বাহরাইন ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। তারপর থেকে সুদানকে চাপ দিয়ে আসছিল হোয়াইট হাউস।
এরই অংশ হিসেবে দীর্ঘদিনের অবরোধে ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশ সুদানকে আর্থিক সুবিদা ও সন্ত্রাসবাদী দেশের তালিকা থেকে বের করার শর্তে ইসরাইলকে স্বীকৃদি দেয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল ট্রাম্পের প্রশাসন।
শুক্রবার হোয়াইট হাউস থেকে ফোনে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, সুদানের প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লাহ হামদক ও অন্তর্বর্তী সামরিক কাউন্সিলের প্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের সঙ্গে আলোচনায় সুদান-ইসরাইল সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিন দেশের দেয়া যৌথ এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সুদান ও ইসরাইলের মধ্যকার সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণে নেতারা একমত হয়েছেন এবং দেশগুলোর মধ্যকার যুদ্ধাবস্থার অবসানের সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।’
অবশ্য সুদানের অন্তর্বর্তী প্রশাসন এ ধরনের চুক্তি করার এখতিয়ার রাখেন না কিন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দেশটিতে বর্তমানে অন্তর্র্বর্তী প্রশাসন দেশ চালাচ্ছে এবং ২০২২ সাল পর্যন্ত সুদান পার্লামেন্টবিহীন থাকবে।
২০২২ সালে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের কথা রয়েছে ক্ষুদা ও দারিদ্র্যপীড়িত সুদানে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিবাচনের মাত্র ৯ দিন বাকি থাকতে এমন একটি চুক্তি করে ট্রাম্প পুনর্নির্বাচনের জন্য সুযোগ নিতে চাইছেন।
বিশেষত ইসরাইলপন্থী ভোটার ও ইসরাইলপ্রেমী প্রতিষ্ঠানগুলোকে খুশি করার মাধ্যমে ক্ষমতায় আরেকবার থাকার সুযোগ সহজ হবে বলে মনে করছেন তিনি। ট্রাম্পের কথা থেকেও বিষযটি স্পষ্ট।
তিন দেশের নেতাদের আলোচনায় ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনার কি মনে হয় ঘুমপ্রবণ জো বাইডেন এমন একটি চুক্তি করবে পারবে?’
জবাবে নেতানিয়াহু বলেন, ‘একটি বিষয় আমি আপনাকে বলতে চাই। তা হল- আমেরিকার যে কারও কাছ থেকে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা আমরা পেতে চাই।’