‘মিয়ানমারের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করা জরুরি’
অনলাইন ডেস্ক
১০ নভেম্বর ২০২০, ২০:৫৩:১৫ | অনলাইন সংস্করণ
মিয়ানমারের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন দফতরের এশিয়াবিষয়কমন্ত্রী নাইজেল অ্যাডামস। তিনি বলেন, ‘যাতে প্রত্যেকে মিয়ানমারের রাজনৈতিক প্রক্রিয়াতে সম্পূর্ণরূপে অংশ নিতে পারেন তা নিশ্চিত করতে নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করা এখন জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘তবে, আমরা রোহিঙ্গা এবং অন্য সংখ্যালঘুদের আবারও (নির্বাচনে অংশ নেয়া থেকে) বঞ্চিত হওয়ার বিষয়টি দেখে হতাশ হয়েছি।’
নাইজেল অ্যাডামস বলেন, সামরিক একনায়কতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রের পথে মিয়ানমারের যাত্রায় ২০২০ সালের নির্বাচন এক উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।
‘আমরা আরাকান আর্মি দ্বারা সংসদীয় প্রার্থীদের অপহরণের নিন্দা জানাই এবং তাদের তাৎক্ষণিক মুক্তির দাবি করি।’
তিনি জানান, সুস্পষ্ট যুক্তি বা স্বচ্ছতা ছাড়াই বিরোধপূর্ণ জায়গাগুলোতে নির্বাচন বাতিল করা হয়েছে।
যেসব জায়গায় নির্বাচন বাতিল করা হয়েছে সেখানে যত দ্রুত সম্ভব অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন এ ব্রিটিশ মন্ত্রী।
তিনি বলেন, তারা সন্তুষ্ট যে মিয়ানমারের অনেক লোক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের শান্তি ও গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন দেয়া ব্রিটেন অব্যাহত রাখবে বলেও জানান তিনি।
‘এ বিষয়ে আমরা নতুন সরকার ও সুশীল সমাজের সঙ্গেকাজ করব,’ বলেন তিনি।
এদিকে, বার্তা সংস্থা এপির খবর অনুযায়ী মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি সোমবার দাবি করেছে যে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন এবং ক্ষমতা ধরে রাখতে তারা পার্লামেন্টে পর্যাপ্ত আসন জিতেছে।
মিয়ানমারের পার্লামেন্টে আসন রয়েছে ৬৪২টি। ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির লক্ষ্য রয়েছে ৩৭৭টি আসন পাওয়া।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
‘মিয়ানমারের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করা জরুরি’
মিয়ানমারের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন দফতরের এশিয়াবিষয়কমন্ত্রী নাইজেল অ্যাডামস। তিনি বলেন, ‘যাতে প্রত্যেকে মিয়ানমারের রাজনৈতিক প্রক্রিয়াতে সম্পূর্ণরূপে অংশ নিতে পারেন তা নিশ্চিত করতে নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করা এখন জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘তবে, আমরা রোহিঙ্গা এবং অন্য সংখ্যালঘুদের আবারও (নির্বাচনে অংশ নেয়া থেকে) বঞ্চিত হওয়ার বিষয়টি দেখে হতাশ হয়েছি।’
নাইজেল অ্যাডামস বলেন, সামরিক একনায়কতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রের পথে মিয়ানমারের যাত্রায় ২০২০ সালের নির্বাচন এক উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।
‘আমরা আরাকান আর্মি দ্বারা সংসদীয় প্রার্থীদের অপহরণের নিন্দা জানাই এবং তাদের তাৎক্ষণিক মুক্তির দাবি করি।’
তিনি জানান, সুস্পষ্ট যুক্তি বা স্বচ্ছতা ছাড়াই বিরোধপূর্ণ জায়গাগুলোতে নির্বাচন বাতিল করা হয়েছে।
যেসব জায়গায় নির্বাচন বাতিল করা হয়েছে সেখানে যত দ্রুত সম্ভব অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন এ ব্রিটিশ মন্ত্রী।
তিনি বলেন, তারা সন্তুষ্ট যে মিয়ানমারের অনেক লোক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের শান্তি ও গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন দেয়া ব্রিটেন অব্যাহত রাখবে বলেও জানান তিনি।
‘এ বিষয়ে আমরা নতুন সরকার ও সুশীল সমাজের সঙ্গে কাজ করব,’ বলেন তিনি।
এদিকে, বার্তা সংস্থা এপির খবর অনুযায়ী মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি সোমবার দাবি করেছে যে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন এবং ক্ষমতা ধরে রাখতে তারা পার্লামেন্টে পর্যাপ্ত আসন জিতেছে।
মিয়ানমারের পার্লামেন্টে আসন রয়েছে ৬৪২টি। ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির লক্ষ্য রয়েছে ৩৭৭টি আসন পাওয়া।