নিউজিল্যান্ড পুলিশে প্রথম হিজাব পরা নারী
নিউজিল্যান্ড পুলিশ বাহিনীর প্রথম হিজাবি নারী কর্মকর্তা জাইনা আলী। সম্প্রতি তিনি দেশটির পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেছেন।
ফিজি বংশোদ্ভূত ওয়েলিংটনের বাসিন্দা ৩০ বছর বয়সী এই মুসলিম নারী এখন ইতিহাসের অংশ। খবর নিউজিল্যান্ড হ্যারাল্ডের।
জাইনা আলী বলেন, আমার অনেক ভালো লাগছে এটি ভেবে যে, নিউজিল্যান্ডের পুলিশ ইউনিফরম পরে আমি সমাজসেবা করব এবং এর সঙ্গে আমি হিজাবও ব্যবহার করতে পারব।
আমি মনে করি, পুলিশ বাহিনীতে হিজাব অনুমোদনের পর মুসলিম নারীরা পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের জন্য আগ্রহ পোষণ করবেন।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার সময় জাইনা আলী একটি বেসরকারি সংস্থার গ্রাহকসেবা বিভাগে কর্মরত ছিলেন। ওই ঘটনার পর তিনি দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের সহায়তা করার জন্য পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন।
পুলিশ কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করে এ বাহিনীর নকশাকৃত ও অনুমোদিত হেডস্কার্ফ পরিধান করে পুলিশে যোগদান করেন।
দেশটির সংখ্যালঘু মুসলমানদের সহায়তার উদ্দেশ্যে নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে জাইনা আলী সে দেশের পুলিশ বাহিনীর প্রথম হিজাবি নারী অফিসার।
মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার বিষয়টি উল্লেখ করে জাইনা আলী বলেন, আরও আগে যদি পুলিশ বাহিনীতে অংশগ্রহণ করতাম, তা হলে ওই ঘটনায় হতাহত মুসলমানদের সহায়তা করতে পারতাম।
নিউজিল্যান্ডের পুলিশ প্রশাসন ঘোষণা করেছে, তাদের বাহিনীতে দক্ষতাসম্পন্ন সদস্য এবং বিভিন্ন জাতি ও ধর্মের অনুসারীদের প্রয়োজন। দেশের সংখ্যালঘুদের অধিকতর সেবা প্রদানের জন্য পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে বৈচিত্র্য অপরিহার্য।
এর আগে নিউজিল্যান্ড পুলিশ প্রথমবারের মতো তাদের সরকারি ইউনিফরমে হিজাব অন্তর্ভুক্ত করে। তাদের যুক্তি, এটি মুসলিম নারীদের মানসিকতাকে আরও শক্তিশালী করবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
নিউজিল্যান্ড পুলিশে প্রথম হিজাব পরা নারী
নিউজিল্যান্ড পুলিশ বাহিনীর প্রথম হিজাবি নারী কর্মকর্তা জাইনা আলী। সম্প্রতি তিনি দেশটির পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেছেন।
ফিজি বংশোদ্ভূত ওয়েলিংটনের বাসিন্দা ৩০ বছর বয়সী এই মুসলিম নারী এখন ইতিহাসের অংশ। খবর নিউজিল্যান্ড হ্যারাল্ডের।
জাইনা আলী বলেন, আমার অনেক ভালো লাগছে এটি ভেবে যে, নিউজিল্যান্ডের পুলিশ ইউনিফরম পরে আমি সমাজসেবা করব এবং এর সঙ্গে আমি হিজাবও ব্যবহার করতে পারব।
আমি মনে করি, পুলিশ বাহিনীতে হিজাব অনুমোদনের পর মুসলিম নারীরা পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের জন্য আগ্রহ পোষণ করবেন।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার সময় জাইনা আলী একটি বেসরকারি সংস্থার গ্রাহকসেবা বিভাগে কর্মরত ছিলেন। ওই ঘটনার পর তিনি দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের সহায়তা করার জন্য পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন।
পুলিশ কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করে এ বাহিনীর নকশাকৃত ও অনুমোদিত হেডস্কার্ফ পরিধান করে পুলিশে যোগদান করেন।
দেশটির সংখ্যালঘু মুসলমানদের সহায়তার উদ্দেশ্যে নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে জাইনা আলী সে দেশের পুলিশ বাহিনীর প্রথম হিজাবি নারী অফিসার।
মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার বিষয়টি উল্লেখ করে জাইনা আলী বলেন, আরও আগে যদি পুলিশ বাহিনীতে অংশগ্রহণ করতাম, তা হলে ওই ঘটনায় হতাহত মুসলমানদের সহায়তা করতে পারতাম।
নিউজিল্যান্ডের পুলিশ প্রশাসন ঘোষণা করেছে, তাদের বাহিনীতে দক্ষতাসম্পন্ন সদস্য এবং বিভিন্ন জাতি ও ধর্মের অনুসারীদের প্রয়োজন। দেশের সংখ্যালঘুদের অধিকতর সেবা প্রদানের জন্য পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে বৈচিত্র্য অপরিহার্য।
এর আগে নিউজিল্যান্ড পুলিশ প্রথমবারের মতো তাদের সরকারি ইউনিফরমে হিজাব অন্তর্ভুক্ত করে। তাদের যুক্তি, এটি মুসলিম নারীদের মানসিকতাকে আরও শক্তিশালী করবে।