ধ্বংসপ্রাপ্ত আগদাম শহরে ফিরল আজারবাইজানিরা
নাগোরনো-কারাবাখে ধ্বংসপ্রাস্ত আগদাম শহরে ফিরেছে আজারবাইজানিরা। ২৭ বছর পর শনিবার ওই অঞ্চলটিতে প্রবেশ করে আজেরি বাসিন্দারা।
তুর্কি সংবাদমাধ্যম ইয়েনি শাফাক জানিয়েছে, আগদাম শহর থেকে ২০ নভেম্বর আর্মেনিয়ার সেনাদের প্রত্যাহার করা হয়। তবে সেখানে একটি দালানও আস্ত নেই; সবই ধ্বংসপ্রাস্ত।
এক সময় এই শহরটিতে প্রায় দেড় লাখ আজারবাইনি বসবাস করতেন। তবে বর্তমানে এই শহরটির সড়ক সংস্কার না করায় খুবই বেহাল অবস্থা। এছাড়া শহরটিতে একটি দালানও বসবাসযোগ্য নয়। আর্মেনীয়রা অঞ্চলটি ছেড়ে যাওয়ার সময় প্রশাসনি ভবনসহ সব দালান ধ্বংস করে দেয়। অঞ্চলটিতে বসবাস করা আর্মেনীয়রা তাদের বসতবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়।
১৯৯১ সালে আর্মেনিয়া বিরোধীয় নাগোরনো-কারাবাখ দখল করলে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। আন্তর্জাতিকভাবে নাগোরনো-কারাবাখ আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। ৯০ এর দশকে এই দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে নতুন করে সংঘাত শুরু হয়। টানা ৪৪ দিন ধরে চলে যুদ্ধ। এই সংঘাতে বাকু ৩০০ বসতি ও অঞ্চল আর্মেনিয়ার দখল থেকে মুক্ত করে।
পরে ১০ নভেম্বর রাশিয়ার সঙ্গে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের শান্তি চুক্তি হয়। এই চুক্তি অনুযায়ী যুদ্ধ ছাড়াই কয়েকটি অঞ্চল আজারবাইজানের হাতে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে।
সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এই সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে মূলত আর্মেনিয়ার পরাজয় হয়েছে। আর চুক্তি মেনে আজারবাইজানের জয় হয়েছে। এই চুক্তিতে স্বাগত জানিয়েছে তুরস্ক।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ধ্বংসপ্রাপ্ত আগদাম শহরে ফিরল আজারবাইজানিরা
নাগোরনো-কারাবাখে ধ্বংসপ্রাস্ত আগদাম শহরে ফিরেছে আজারবাইজানিরা। ২৭ বছর পর শনিবার ওই অঞ্চলটিতে প্রবেশ করে আজেরি বাসিন্দারা।
তুর্কি সংবাদমাধ্যম ইয়েনি শাফাক জানিয়েছে, আগদাম শহর থেকে ২০ নভেম্বর আর্মেনিয়ার সেনাদের প্রত্যাহার করা হয়। তবে সেখানে একটি দালানও আস্ত নেই; সবই ধ্বংসপ্রাস্ত।
এক সময় এই শহরটিতে প্রায় দেড় লাখ আজারবাইনি বসবাস করতেন। তবে বর্তমানে এই শহরটির সড়ক সংস্কার না করায় খুবই বেহাল অবস্থা। এছাড়া শহরটিতে একটি দালানও বসবাসযোগ্য নয়। আর্মেনীয়রা অঞ্চলটি ছেড়ে যাওয়ার সময় প্রশাসনি ভবনসহ সব দালান ধ্বংস করে দেয়। অঞ্চলটিতে বসবাস করা আর্মেনীয়রা তাদের বসতবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়।
১৯৯১ সালে আর্মেনিয়া বিরোধীয় নাগোরনো-কারাবাখ দখল করলে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। আন্তর্জাতিকভাবে নাগোরনো-কারাবাখ আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। ৯০ এর দশকে এই দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে নতুন করে সংঘাত শুরু হয়। টানা ৪৪ দিন ধরে চলে যুদ্ধ। এই সংঘাতে বাকু ৩০০ বসতি ও অঞ্চল আর্মেনিয়ার দখল থেকে মুক্ত করে।
পরে ১০ নভেম্বর রাশিয়ার সঙ্গে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের শান্তি চুক্তি হয়। এই চুক্তি অনুযায়ী যুদ্ধ ছাড়াই কয়েকটি অঞ্চল আজারবাইজানের হাতে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে।
সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এই সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে মূলত আর্মেনিয়ার পরাজয় হয়েছে। আর চুক্তি মেনে আজারবাইজানের জয় হয়েছে। এই চুক্তিতে স্বাগত জানিয়েছে তুরস্ক।