সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট সারকোজির বিচার শুরু
ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগে প্রথমবারের মতো কোনো ফরাসি প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে প্যারিসের একটি আদালতে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজির বিরুদ্ধে সোমবার থেকে এ বিচারকাজ শুরু হয়। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অধিকাংশই মনে করছেন, সারকোজ়ির দীর্ঘ রাজনৈতিক কেরিয়ারে এ বিচার প্রক্রিয়া বড়সড় একটি অশনিসংকেত।
সাবেক এ ফরাসি প্রেসিডেন্ট বরাবরই তার বিরুদ্ধে আনা যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে এসেছেন।
২০০৭ সালের নির্বাচনী প্রচারের জন্যই লিবিয়া থেকেও অর্থ সাহায্য নেয়ার অভিযোগ রয়েছে সারকোজির বিরুদ্ধে।
সেই তদন্তের সূত্র ধরে ২০১৩ সাল থেকেই সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং তার আইনজীবী থিয়েরি হারজগের কথোপকথনে আড়ি পাততে শুরু করেন তদন্তকারীরা। সেই তদন্তে উঠে আসে, ভুয়া পরিচয়ে কেনা মোবাইলে কথা হয় দুজনের।
তদন্তকারীরা জানান, সারকোজির মোবাইলটি রেজিস্ট্রি করা ছিল পল বিসমুথ নামে। তদন্তে আরও উঠে আসে, বেটেনকোর্টের থেকে অর্থ সংগ্রহের মামলা সম্পর্কিত গোপন তথ্য আজিবার্টের থেকে নেয়ার বিষয়ে বহুবার আলোচনা হয় সারকোজি-হারজগের।
সারকোজির পাশাপাশি একই কারণে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত আজিবার্ট ও হারজগও। বিচার শুরু হয়েছে তাদেরও।
অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিনজনেরই কমপক্ষে ১০ বছরের জেল এবং মোটা অর্থ জরিমানা হতে পারে বলে জানান সে দেশের আইন বিশেষজ্ঞরা।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট সারকোজির বিচার শুরু
ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগে প্রথমবারের মতো কোনো ফরাসি প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে প্যারিসের একটি আদালতে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজির বিরুদ্ধে সোমবার থেকে এ বিচারকাজ শুরু হয়। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অধিকাংশই মনে করছেন, সারকোজ়ির দীর্ঘ রাজনৈতিক কেরিয়ারে এ বিচার প্রক্রিয়া বড়সড় একটি অশনিসংকেত।
সাবেক এ ফরাসি প্রেসিডেন্ট বরাবরই তার বিরুদ্ধে আনা যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে এসেছেন।
২০০৭ সালের নির্বাচনী প্রচারের জন্যই লিবিয়া থেকেও অর্থ সাহায্য নেয়ার অভিযোগ রয়েছে সারকোজির বিরুদ্ধে।
সেই তদন্তের সূত্র ধরে ২০১৩ সাল থেকেই সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং তার আইনজীবী থিয়েরি হারজগের কথোপকথনে আড়ি পাততে শুরু করেন তদন্তকারীরা। সেই তদন্তে উঠে আসে, ভুয়া পরিচয়ে কেনা মোবাইলে কথা হয় দুজনের।
তদন্তকারীরা জানান, সারকোজির মোবাইলটি রেজিস্ট্রি করা ছিল পল বিসমুথ নামে। তদন্তে আরও উঠে আসে, বেটেনকোর্টের থেকে অর্থ সংগ্রহের মামলা সম্পর্কিত গোপন তথ্য আজিবার্টের থেকে নেয়ার বিষয়ে বহুবার আলোচনা হয় সারকোজি-হারজগের।
সারকোজির পাশাপাশি একই কারণে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত আজিবার্ট ও হারজগও। বিচার শুরু হয়েছে তাদেরও।
অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিনজনেরই কমপক্ষে ১০ বছরের জেল এবং মোটা অর্থ জরিমানা হতে পারে বলে জানান সে দেশের আইন বিশেষজ্ঞরা।