দক্ষিণ আফ্রিকার সেই শিশুর বয়স এখন চার বছর
শওকত বিন আশরাফ, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে
২৪ নভেম্বর ২০২০, ২২:৫৪:৪৮ | অনলাইন সংস্করণ
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনের টাইগারবার্গ মেডিকেল রিসার্চ ইউনিভার্সিটিতে ২০১৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর মাত্র ৬৩০ গ্রাম ওজন নিয়ে জন্ম নিয়েছিল একটি কন্যা শিশু। শিশুটির নাম রাখা হয় ওয়ার্ল্ড প্রিমিমন্হ।
হাসপাতালের ডাক্তাররা শিশুকে বাঁচানোর আশা প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু শিশুটিকে হাসপাতালের এনআইসিইউর ইনকিবেউটরে ২ মাস ৭ দিন রাখার পর ৩০০ গ্রাম ওজন বেড়ে মোট ৯৬০ গ্রাম হয়েছিল। এরপর শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয় এবং প্রায় দুই বছর হাসপাতালের নিয়মিত ফলোআপে রাখা হয়।
ওয়ার্ল্ড প্রিমিমন্থ আজ চার বছর বয়সে পা রেখেছে। সুস্থ রয়েছে, ওজন বেড়ে ১৫.৮ কেজি হয়েছে। এতে হাসপাতালের ডাক্তারেরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সৃষ্টিকর্তার নিকট কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
অস্বাভাবিক কম ওজন নিয়ে ভূমিষ্ট হওয়া শিশুটিকে যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে তার মা বাবার কাছে ফিরিয়ে দিতে পারাটা ছিল সৃষ্টিকর্তার অপার কৃপা। গণমাধ্যমের কাছে এমন কথা বলছিলেন টাইগারবার্গ হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর জ্যাক এমিলি। তিনি বলেন, এ শিশুটি জন্মের পর বেঁচে থাকার কোনো লক্ষণ ছিল না। আমরা তখন আমাদের সব চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম আর সৃষ্টিকর্তার সাহায্য চেয়েছিলাম। তাই এই শিশুটি আজ পরিপূর্ণ ওজনে চার বছরে পা রেখেছে এতে আমরা খুশি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
দক্ষিণ আফ্রিকার সেই শিশুর বয়স এখন চার বছর
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনের টাইগারবার্গ মেডিকেল রিসার্চ ইউনিভার্সিটিতে ২০১৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর মাত্র ৬৩০ গ্রাম ওজন নিয়ে জন্ম নিয়েছিল একটি কন্যা শিশু। শিশুটির নাম রাখা হয় ওয়ার্ল্ড প্রিমিমন্হ।
হাসপাতালের ডাক্তাররা শিশুকে বাঁচানোর আশা প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু শিশুটিকে হাসপাতালের এনআইসিইউর ইনকিবেউটরে ২ মাস ৭ দিন রাখার পর ৩০০ গ্রাম ওজন বেড়ে মোট ৯৬০ গ্রাম হয়েছিল। এরপর শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয় এবং প্রায় দুই বছর হাসপাতালের নিয়মিত ফলোআপে রাখা হয়।
ওয়ার্ল্ড প্রিমিমন্থ আজ চার বছর বয়সে পা রেখেছে। সুস্থ রয়েছে, ওজন বেড়ে ১৫.৮ কেজি হয়েছে। এতে হাসপাতালের ডাক্তারেরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সৃষ্টিকর্তার নিকট কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
অস্বাভাবিক কম ওজন নিয়ে ভূমিষ্ট হওয়া শিশুটিকে যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে তার মা বাবার কাছে ফিরিয়ে দিতে পারাটা ছিল সৃষ্টিকর্তার অপার কৃপা। গণমাধ্যমের কাছে এমন কথা বলছিলেন টাইগারবার্গ হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর জ্যাক এমিলি। তিনি বলেন, এ শিশুটি জন্মের পর বেঁচে থাকার কোনো লক্ষণ ছিল না। আমরা তখন আমাদের সব চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম আর সৃষ্টিকর্তার সাহায্য চেয়েছিলাম। তাই এই শিশুটি আজ পরিপূর্ণ ওজনে চার বছরে পা রেখেছে এতে আমরা খুশি।