শেষ সময়ে ইরানে হামলা চালাতে পারেন ট্রাম্প, সতর্ক ইসরাইল
যুগান্তর ডেস্ক
২৫ নভেম্বর ২০২০, ২২:৫৯:৪০ | অনলাইন সংস্করণ
ক্ষমতা ছাড়ার আগে ইরানে সামরিক হামলা চালাতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এ জন্য ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীসতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম অ্যাক্সিওসের বরাতে ফোর্বস জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, ২০ জানুয়ারি নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথ গ্রহণের আগে আগে ‘অত্যন্ত সংবেদনশীল সময়’ আসতে পারে বলে ধারণা করছেন ইসরাইলের সিনিয়র কর্মকর্তারা। তার ভিত্তিতেই প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সামরিক বাহিনীকে।
ইরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্প হামলার নির্দেশ দেবেন এমন কোনো গোয়েন্দা তথ্য বা মূল্যায়নের ভিত্তিতে এই প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে না বলে ইসরাইলি খ্যাতনামা সাংবাদিক বারাক র্যাভিদের করা প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়।
এর আগে গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছিল, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পথ খুঁজেছিলেন। তবে তাকে বিরত রাখতে জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টারা শেষ পর্যন্ত সমর্থ হন।
পদস্থ মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ইরানের নাতাঞ্জ পরমাণু কেন্দ্রে হামলার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইতিবাচক ছিলেন।
শীর্ষ জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি জানতে চেয়েছিলেন ইরানে হামলা চালালে কি পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
এ ব্যাপারে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও, সেনাপ্রধান জেনারেল মাইক মিলি ও ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টোফার সি মিলার সবাই তাকে সতর্ক করে দেন। এরপর হামলার সিদ্ধান্ত থেকে ট্রাম্প সরে আসেন।
ট্রাম্পকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, এ ধরনের হামলার চিন্তা তিনি যেন মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলেন। কারণ ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালালে মধ্যপ্রাচ্যে বিশাল আকারে সামরিক সংঘাত শুরু হতে পারে।
নিজের মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে এমন সংঘাতে জড়ানো ঠিক হবে না। তারা আরও বলেন, ইরানে হামলা চালালে উদ্ভূত পরিস্থিতি আর ওয়াশিংটনের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না।
এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, কর্মকর্তাদের কাছে ট্রাম্প বিকল্পও জানতে চেয়েছিলেন। পরিস্থিতি সম্পর্কে তাকে তারা স্পষ্ট ধারণা দিয়েছেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
শেষ সময়ে ইরানে হামলা চালাতে পারেন ট্রাম্প, সতর্ক ইসরাইল
ক্ষমতা ছাড়ার আগে ইরানে সামরিক হামলা চালাতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এ জন্য ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম অ্যাক্সিওসের বরাতে ফোর্বস জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, ২০ জানুয়ারি নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথ গ্রহণের আগে আগে ‘অত্যন্ত সংবেদনশীল সময়’ আসতে পারে বলে ধারণা করছেন ইসরাইলের সিনিয়র কর্মকর্তারা। তার ভিত্তিতেই প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সামরিক বাহিনীকে।
ইরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্প হামলার নির্দেশ দেবেন এমন কোনো গোয়েন্দা তথ্য বা মূল্যায়নের ভিত্তিতে এই প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে না বলে ইসরাইলি খ্যাতনামা সাংবাদিক বারাক র্যাভিদের করা প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়।
এর আগে গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছিল, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পথ খুঁজেছিলেন। তবে তাকে বিরত রাখতে জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টারা শেষ পর্যন্ত সমর্থ হন।
পদস্থ মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ইরানের নাতাঞ্জ পরমাণু কেন্দ্রে হামলার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইতিবাচক ছিলেন।
শীর্ষ জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি জানতে চেয়েছিলেন ইরানে হামলা চালালে কি পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
এ ব্যাপারে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও, সেনাপ্রধান জেনারেল মাইক মিলি ও ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টোফার সি মিলার সবাই তাকে সতর্ক করে দেন। এরপর হামলার সিদ্ধান্ত থেকে ট্রাম্প সরে আসেন।
ট্রাম্পকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, এ ধরনের হামলার চিন্তা তিনি যেন মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলেন। কারণ ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালালে মধ্যপ্রাচ্যে বিশাল আকারে সামরিক সংঘাত শুরু হতে পারে।
নিজের মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে এমন সংঘাতে জড়ানো ঠিক হবে না। তারা আরও বলেন, ইরানে হামলা চালালে উদ্ভূত পরিস্থিতি আর ওয়াশিংটনের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না।
এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, কর্মকর্তাদের কাছে ট্রাম্প বিকল্পও জানতে চেয়েছিলেন। পরিস্থিতি সম্পর্কে তাকে তারা স্পষ্ট ধারণা দিয়েছেন।