কারাবাখকে ‘প্রজাতন্ত্রের স্বীকৃতি’ দিতে ফ্রান্স সিনেটরদের ভোট
অনলাইন ডেস্ক
২৭ নভেম্বর ২০২০, ২০:০৬:৪২ | অনলাইন সংস্করণ
বিরোধীয় নাগোরনো-কারাাবাখকে প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ফ্রান্সের পার্লামেন্টে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার দেশটির সিনেটরা এ বিরোধীয় অঞ্চলটিকে স্বাধীন প্রজাতন্ত্রের স্বীকৃতি দিতে একটি রেজ্যুলেশন পাস করে। এতে দেশটির সরকারকে নাগোরনো-কারাবাখকে স্বীকৃতি দিতে আহ্বান জানানো হয়। খবর-ওয়াশিংটন পোস্টের।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, প্রতীকী রেজুলেশনে এটা বুঝায় না যে, ফ্রান্স সরকার নাগোরনো-কারাবাখকে স্বীকৃতি দেবে; তবে এটি একটি বার্তা ফ্রান্স আর্মেনিয়ার সম্প্রদায়কে সমর্থন করেছে।
ভোটভুটির মধ্যেই ফ্রান্সের নাগরিকরা নাগোরনো-কারাবাখের পতাকা উত্তোলন করেন। এ ছাড়া গত সোমবার ফ্রান্সের পক্ষ থেকে ত্রাণবাহী জাহাজ আর্মেনিয়ায় পৌঁছে। এর মধ্যে মেডিকেল ও অন্যান্য সাহায্য সামগ্রী ছিল। এ ছাড়া শুক্রবার আরেকটি ত্রাণবাহী জাহাজ পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
কয়েক দশক ধরে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। আন্তর্জাতিকভাবে ওই অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিবেসে স্বীকৃত। কয়েক দশক থেকে এলাকাটিতে দখলে থাকা আর্মেনীয় নৃ-গোষ্ঠীর লোকজন স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করে আসছে।
১৯৯০ এর দশকে এই অঞ্চলটি ঘিরে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে সংঘর্ষে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। পরে সাময়িক যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে যুদ্ধ থামে।
সর্বশেষ ২৭ সেপ্টেম্বর নতুন করে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। ৪৪দিন টানা যুদ্ধে আজারবাইজান ৩০০টি বসতি ও এলাকা দখলমুক্ত করে। আজেরি সেনাবাহিনীর একের পর এক হামলার মুখে আর্মেনীয়রা ১০ নভেম্বর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় শান্তি চুক্তিতে অংশগ্রহণ করে। ফলে যুদ্ধ ছাড়াই কয়েকটি শহরের দখল পায় আজারবাইজান।
এ চুক্তিটিকে আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের বিজয় হিসেবে দেখা হয়। এ চুক্তিকে সমর্থন জানিয়েছে তুরস্ক।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
কারাবাখকে ‘প্রজাতন্ত্রের স্বীকৃতি’ দিতে ফ্রান্স সিনেটরদের ভোট
বিরোধীয় নাগোরনো-কারাাবাখকে প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ফ্রান্সের পার্লামেন্টে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার দেশটির সিনেটরা এ বিরোধীয় অঞ্চলটিকে স্বাধীন প্রজাতন্ত্রের স্বীকৃতি দিতে একটি রেজ্যুলেশন পাস করে। এতে দেশটির সরকারকে নাগোরনো-কারাবাখকে স্বীকৃতি দিতে আহ্বান জানানো হয়। খবর-ওয়াশিংটন পোস্টের।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, প্রতীকী রেজুলেশনে এটা বুঝায় না যে, ফ্রান্স সরকার নাগোরনো-কারাবাখকে স্বীকৃতি দেবে; তবে এটি একটি বার্তা ফ্রান্স আর্মেনিয়ার সম্প্রদায়কে সমর্থন করেছে।
ভোটভুটির মধ্যেই ফ্রান্সের নাগরিকরা নাগোরনো-কারাবাখের পতাকা উত্তোলন করেন। এ ছাড়া গত সোমবার ফ্রান্সের পক্ষ থেকে ত্রাণবাহী জাহাজ আর্মেনিয়ায় পৌঁছে। এর মধ্যে মেডিকেল ও অন্যান্য সাহায্য সামগ্রী ছিল। এ ছাড়া শুক্রবার আরেকটি ত্রাণবাহী জাহাজ পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
কয়েক দশক ধরে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। আন্তর্জাতিকভাবে ওই অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিবেসে স্বীকৃত। কয়েক দশক থেকে এলাকাটিতে দখলে থাকা আর্মেনীয় নৃ-গোষ্ঠীর লোকজন স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করে আসছে।
১৯৯০ এর দশকে এই অঞ্চলটি ঘিরে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে সংঘর্ষে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। পরে সাময়িক যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে যুদ্ধ থামে।
সর্বশেষ ২৭ সেপ্টেম্বর নতুন করে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। ৪৪দিন টানা যুদ্ধে আজারবাইজান ৩০০টি বসতি ও এলাকা দখলমুক্ত করে। আজেরি সেনাবাহিনীর একের পর এক হামলার মুখে আর্মেনীয়রা ১০ নভেম্বর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় শান্তি চুক্তিতে অংশগ্রহণ করে। ফলে যুদ্ধ ছাড়াই কয়েকটি শহরের দখল পায় আজারবাইজান।
এ চুক্তিটিকে আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের বিজয় হিসেবে দেখা হয়। এ চুক্তিকে সমর্থন জানিয়েছে তুরস্ক।