মধ্যরাতেই শেষ হচ্ছে আর্মেনিয়াকে দেয়া ডেডলাইন
অনলাইন ডেস্ক
৩০ নভেম্বর ২০২০, ২১:৪২:০১ | অনলাইন সংস্করণ
আর্মেনিয়াকে বিরোধীয় লাচিন অঞ্চল থেকে ছেড়ে যাওয়ার সময়সীমা সোমবার মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে। ২৮ বছর পর অধিকৃত এই অঞ্চলটিতে মধ্যরাত থেকেই দখলে যাওয়ার কথা রয়েছে আজারবাইজানের।
আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী এদিন স্থানীয় সময় মধ্যরাত থেকে লাচিন অঞ্চলটি খালি করে দেয়ার কথা রয়েছে। এর আগে কালবাজার ও আগদাম অঞ্চল ছেড়ে যায় আর্মেনিয়া।
তুর্কি সংবাদমাধ্যম ইয়েনি শাফাক জানিয়েছে, আর্মেনিয়ার অবৈধ বসতি ও নাগরিকদের এই অঞ্চলটি ছেড়ে যাওয়ার সময়সীমা আজই শেষ দিন।
১৯৯২ সালের ১৮ মে আর্মেনিয়ার বাহিনী লাচিন অঞ্চল দখলের পর খানখেন্দি ও শুশা শহর দখল করে। ওই সময়ে লাচিন শহর ও এর ১২৫ গ্রামে ৬৫ হাজারের বেশি আজারবাইজানি বসবাস ছিল। দখলের আগে এই অঞ্চলটিতে আর্মেনীয় নাগরিকদের বসবাস ছিল না।
সাবেক সোভিয়েতভুক্ত দুই দেশের মধ্যে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে যুদ্ধ চলে আসছে বহুদিন ধরে। ১৯৯১ সালে আর্মেনিয়া নাগোরনো-কারাবাখ দখল করলে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ওই যুদ্ধে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন। নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত।
পরে চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধ হলেও সর্বশেষ ২৭ সেপ্টেম্বর আবারও দুই দেশ যুদ্ধে জড়ায়। আর্মেনিয়া গত ১০ নভেম্বর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আজারবাইজানের সঙ্গে চুক্তি করতে বাধ্য হয়।
৪৪ দিন চলা এই যুদ্ধে বাকু ৩০০টির বেশি বসতি ও এলাকা দখলমুক্ত করে।
চুক্তিটি আজারবাইজানের জয় ও আর্মেনিয়ার পরাজয়ের দলিল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এ চুক্তিটিকে তুরস্ক সমর্থন জানিয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
মধ্যরাতেই শেষ হচ্ছে আর্মেনিয়াকে দেয়া ডেডলাইন
আর্মেনিয়াকে বিরোধীয় লাচিন অঞ্চল থেকে ছেড়ে যাওয়ার সময়সীমা সোমবার মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে। ২৮ বছর পর অধিকৃত এই অঞ্চলটিতে মধ্যরাত থেকেই দখলে যাওয়ার কথা রয়েছে আজারবাইজানের।
আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী এদিন স্থানীয় সময় মধ্যরাত থেকে লাচিন অঞ্চলটি খালি করে দেয়ার কথা রয়েছে। এর আগে কালবাজার ও আগদাম অঞ্চল ছেড়ে যায় আর্মেনিয়া।
তুর্কি সংবাদমাধ্যম ইয়েনি শাফাক জানিয়েছে, আর্মেনিয়ার অবৈধ বসতি ও নাগরিকদের এই অঞ্চলটি ছেড়ে যাওয়ার সময়সীমা আজই শেষ দিন।
১৯৯২ সালের ১৮ মে আর্মেনিয়ার বাহিনী লাচিন অঞ্চল দখলের পর খানখেন্দি ও শুশা শহর দখল করে। ওই সময়ে লাচিন শহর ও এর ১২৫ গ্রামে ৬৫ হাজারের বেশি আজারবাইজানি বসবাস ছিল। দখলের আগে এই অঞ্চলটিতে আর্মেনীয় নাগরিকদের বসবাস ছিল না।
সাবেক সোভিয়েতভুক্ত দুই দেশের মধ্যে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে যুদ্ধ চলে আসছে বহুদিন ধরে। ১৯৯১ সালে আর্মেনিয়া নাগোরনো-কারাবাখ দখল করলে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ওই যুদ্ধে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন। নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত।
পরে চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধ হলেও সর্বশেষ ২৭ সেপ্টেম্বর আবারও দুই দেশ যুদ্ধে জড়ায়। আর্মেনিয়া গত ১০ নভেম্বর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আজারবাইজানের সঙ্গে চুক্তি করতে বাধ্য হয়।
৪৪ দিন চলা এই যুদ্ধে বাকু ৩০০টির বেশি বসতি ও এলাকা দখলমুক্ত করে।
চুক্তিটি আজারবাইজানের জয় ও আর্মেনিয়ার পরাজয়ের দলিল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এ চুক্তিটিকে তুরস্ক সমর্থন জানিয়েছে।