বিতর্কিত দ্বীপপুঞ্জে এস-৩০০ মোতায়েন রাশিয়ার, কী করবে জাপান?
অনলাইন ডেস্ক
০২ ডিসেম্বর ২০২০, ২১:৫৬:০১ | অনলাইন সংস্করণ
উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিতর্কিত কুরিল দ্বীপপুঞ্জে একটি এস-৩০০ বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। মস্কোর এমন পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে জাপানের।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই ব্যবস্থাটির প্রস্তুতি কর্নেল জেনারেল জেনাড্ডি জিদকো পরীক্ষা করেছেন।
তুর্কি সংবাদ মাধ্যম ইয়েনি শাফাক জানিয়েছে, এ পদক্ষেপটি অবশ্যই জাপানের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ উসকে দেবে, জাপান এ দ্বীপটিকে তাদের ভূখণ্ড বলে বিবেচনা করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এ দ্বীপটি নিয়ে বিরোধ চলছে।
১৯৪৫ সালের ইয়ালটা সম্মেলনে ইউএসএসআর তার পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে একটি চুক্তির আওতায় সামরিক অভিযান শুরু করতে সম্মত হয়েছিল এবং এর বিনিময়ে কুরিল দ্বীপপুঞ্জসহ কয়েকটি জাপানি অঞ্চল পেয়েছিল।
যুদ্ধের পর জাপান কুরিল দ্বীপপুঞ্জে সোভিয়েত ইউনিয়নের সার্বভৌমত্ব প্রত্যাখ্যান করে। এই বিরোধের কারণে জাপান ও রাশিয়ার মধ্যে শান্তি চুক্তি হয়নি এবং প্রযুক্তিগত যুদ্ধ চলে আসছে। উভয় দেশই এই ভূখণ্ড দাবি করে আসছে। এখন পর্যন্ত কুরিলের সার্বভৌমত্বের বিষয়টি অনিশ্চিত রয়ে গেছে।
টোকিও নিয়মিতভাবে ওই দ্বীপে রাশিয়ান কর্মকর্তাদের ভ্রমণের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।
রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ মনে করছে যদি দ্বীপটিকে জাপানিদের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়, তাহলে সেখানে সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বসবে। এটি সরাসরি রাশিয়ার জন্য হুমকি তৈরি করবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বিতর্কিত দ্বীপপুঞ্জে এস-৩০০ মোতায়েন রাশিয়ার, কী করবে জাপান?
উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিতর্কিত কুরিল দ্বীপপুঞ্জে একটি এস-৩০০ বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। মস্কোর এমন পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে জাপানের।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই ব্যবস্থাটির প্রস্তুতি কর্নেল জেনারেল জেনাড্ডি জিদকো পরীক্ষা করেছেন।
তুর্কি সংবাদ মাধ্যম ইয়েনি শাফাক জানিয়েছে, এ পদক্ষেপটি অবশ্যই জাপানের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ উসকে দেবে, জাপান এ দ্বীপটিকে তাদের ভূখণ্ড বলে বিবেচনা করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এ দ্বীপটি নিয়ে বিরোধ চলছে।
১৯৪৫ সালের ইয়ালটা সম্মেলনে ইউএসএসআর তার পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে একটি চুক্তির আওতায় সামরিক অভিযান শুরু করতে সম্মত হয়েছিল এবং এর বিনিময়ে কুরিল দ্বীপপুঞ্জসহ কয়েকটি জাপানি অঞ্চল পেয়েছিল।
যুদ্ধের পর জাপান কুরিল দ্বীপপুঞ্জে সোভিয়েত ইউনিয়নের সার্বভৌমত্ব প্রত্যাখ্যান করে। এই বিরোধের কারণে জাপান ও রাশিয়ার মধ্যে শান্তি চুক্তি হয়নি এবং প্রযুক্তিগত যুদ্ধ চলে আসছে। উভয় দেশই এই ভূখণ্ড দাবি করে আসছে। এখন পর্যন্ত কুরিলের সার্বভৌমত্বের বিষয়টি অনিশ্চিত রয়ে গেছে।
টোকিও নিয়মিতভাবে ওই দ্বীপে রাশিয়ান কর্মকর্তাদের ভ্রমণের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।
রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ মনে করছে যদি দ্বীপটিকে জাপানিদের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়, তাহলে সেখানে সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বসবে। এটি সরাসরি রাশিয়ার জন্য হুমকি তৈরি করবে।