করোনায় সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট গিসকার্ডের মৃত্যু
অনলাইন ডেস্ক
০৩ ডিসেম্বর ২০২০, ১১:৫৭:৪৯ | অনলাইন সংস্করণ
প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট ভ্যালারি গিসকার্ড ডিএসটেইং মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।
১৯৭০-এর দশকে ইউরোপীয় একীভূতকরণের মূল স্থাপতি ছিলেন তিনি। ১৯৭৪ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের নেতৃত্ব দেন গিসকার্ড।
ভাইরাসসংশ্লিষ্ট জটিলতায় আক্রান্ত হওয়ার পর নিজের পারিবারিক বাড়ির কাছেই তার মৃত্যু হয়েছে।
শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা দেখা দেয়ার পর গত সেপ্টেম্বরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে মধ্য নভেম্বরেও ফের তিনি হাসপাতালে যান।
প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনকালে ফরাসি সমাজে আধুনিকতার দিকনির্দেশনা দেন তিনি। তার আমলে পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে বিবাহবিচ্ছেদ ও গর্ভপাতের সুযোগ দেয়া হয়েছে।
ইউরোপীয় একীভূতকরণের অন্যতম স্থপতি ছিলেন এই ফরাসি প্রেসিডেন্ট। শার্লি ডি গলের দীর্ঘ শাসনের পর তিনি ক্ষমতায় আসেন।
এর পর অর্থনীতিকে উদারীকরণ ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলে তিনি বেশ কিছু উদ্যোগ নেন। ফ্রান্সের উচ্চগতির টিজিভি নেটওয়ার্কের মতো বড় বড় প্রকল্পও বাস্তবায়ন হয় তার আমলে।
তবে এমন উদ্যোগের পরও সমাজতান্ত্রিক ফ্রান্সকোস মিটার্যান্ডের কাছে পুননির্বাচনের চেষ্টায় তিনি হেরে যান।
বর্তমান ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, সাত বছরের শাসনামলে এক রূপান্তরিত ফ্রান্স উপহার দিয়েছেন তিনি। তার নির্দেশনা আজও আমাদের পথ চলার পাথেয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
করোনায় সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট গিসকার্ডের মৃত্যু
প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট ভ্যালারি গিসকার্ড ডিএসটেইং মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।
১৯৭০-এর দশকে ইউরোপীয় একীভূতকরণের মূল স্থাপতি ছিলেন তিনি। ১৯৭৪ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের নেতৃত্ব দেন গিসকার্ড।
ভাইরাসসংশ্লিষ্ট জটিলতায় আক্রান্ত হওয়ার পর নিজের পারিবারিক বাড়ির কাছেই তার মৃত্যু হয়েছে।
শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা দেখা দেয়ার পর গত সেপ্টেম্বরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে মধ্য নভেম্বরেও ফের তিনি হাসপাতালে যান।
প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনকালে ফরাসি সমাজে আধুনিকতার দিকনির্দেশনা দেন তিনি। তার আমলে পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে বিবাহবিচ্ছেদ ও গর্ভপাতের সুযোগ দেয়া হয়েছে।
ইউরোপীয় একীভূতকরণের অন্যতম স্থপতি ছিলেন এই ফরাসি প্রেসিডেন্ট। শার্লি ডি গলের দীর্ঘ শাসনের পর তিনি ক্ষমতায় আসেন।
এর পর অর্থনীতিকে উদারীকরণ ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলে তিনি বেশ কিছু উদ্যোগ নেন। ফ্রান্সের উচ্চগতির টিজিভি নেটওয়ার্কের মতো বড় বড় প্রকল্পও বাস্তবায়ন হয় তার আমলে।
তবে এমন উদ্যোগের পরও সমাজতান্ত্রিক ফ্রান্সকোস মিটার্যান্ডের কাছে পুননির্বাচনের চেষ্টায় তিনি হেরে যান।
বর্তমান ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, সাত বছরের শাসনামলে এক রূপান্তরিত ফ্রান্স উপহার দিয়েছেন তিনি। তার নির্দেশনা আজও আমাদের পথ চলার পাথেয়।