মধ্যপ্রাচ্যের ৫ দেশে অস্ত্রের বাজার জার্মানির
যুগান্তর ডেস্ক
০৪ জানুয়ারি ২০২১, ১৮:১৮:৪৭ | অনলাইন সংস্করণ
যুদ্ধ কবলিত মধ্যপ্রাচের দেশগুলোতে কোটি কোটি ডলারের মারণাস্ত্র বিক্রি করছে জার্মানি। এক্ষেত্রে কোনো নীতি-নৈতিকতার ধার ধারছে না ইউরোপের প্রভাবশালী দেশটি।
২০২০ সালে অন্তত ৫টি দেশে ১৯৫ কোটি ডলারের (১৬১ ইউরো) অস্ত্র রফতানির অনুমোদন দিয়েছে চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের সরকার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র দিয়েছে মিসরকে।
ক্রেতা আরব দেশগুলো এসব অস্ত্র প্রধানত ইয়েমেন আর লিবিয়ায় প্রাণঘাতী যুদ্ধে ব্যবহার করছে। খবর ডেইলি সাবাহ ও ডয়চে ভেলের।
সম্প্রতি জার্মান পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ বুন্দেসট্যাগে গ্রিন পার্টির এক সাংসদের এক প্রশ্নের প্রেক্ষিতে মধ্যপ্রাচ্যে বিশাল পরিমাণ অস্ত্র বিক্রির এসব তথ্য জানিয়েছে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়।
ইয়েমেনে ২০১৪ সাল থেকে হুতি বিদ্রোহীদের দমনে হামলা চালিয়ে আসছে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। জোটে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর, কুয়েত, জর্ডান ও বাহরাইন।
ছয় বছরের যুদ্ধে দুই লাখ ৩৩ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। অন্যদিকে লিবিয়ার গৃহযুদ্ধে দু’টি বিবদমান পক্ষকে মদত দিয়ে আসছিল কাতার, তুরস্ক এবং আরব আমিরাত ও মিশর।
যদিও বর্তমানে সেখানে অস্ত্র বিরতি চলছে। সমালোচনা ও বিতর্ক সত্ত্বেও গত বছর (২০২০ সালে) বড় অংকের অস্ত্র বিক্রি করেছে জার্মানি।
মিসরে গত বছর ৭৫ কোটি ইউরো বা ৯১ কোটি ডলারের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে জার্মান সরকার।
তালিকায় থাকা দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অস্ত্র বিক্রির ছাড় দেওয়া হয়েছে তেল সমৃদ্ধ দেশ কাতারে। যার পরিমান সাড়ে ৩০ কোটি ইউরো বা প্রায় ৩৭ কোটি ডলার।
২০১৯ সালে জার্মানি-সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে কয়েকশ’ কোটি ইউরোর অংশীদারিত্ব চুক্তি হয়েছে।
আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স আল নাহিয়ান ১২ জুন বার্লিন সফরে আসলে নতুন এই সম্পর্কের সূচনা হয়।
ইয়েমেন, লিবিয়া যুদ্ধে বির্তকিত ভূমিকার কারণে জার্মানির গ্রিন পার্টি এসব চুক্তির বিরোধিতা করে আসলেও গেল বছর পাঁচ কোটি ইউরোর বেশি বা ছয় কোটি ডলারের উপরে অস্ত্র রফতানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
কুয়েতের কাছেও দুই কোটি ৩৪ লাখ ইউরো বা দুই কোটি ৮৪ লাখ ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে জার্মানি। ২০২০ সালেই এই রফতানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
কূটনৈতিক নানা ইস্যুতে টানাপোড়েন থাকলেও জার্মানির কাছ থেকে ঠিকই অস্ত্র আমদানি করছে তুরস্ক। বিদায়ী বছরে দেশটিতে প্রায় দুই কোটি ৩০ লাখ ইউরোর অস্ত্র রফতানির অনুমোদন দিয়েছে জার্মান সরকার।
এছাড়াও গত বছর জর্ডানে ১৬ লাখ ইউরো আর বাহরাইনে ১৫ লাখ ইউরো মূল্যের অস্ত্র বিক্রির লাইসেন্স দিয়েছিল জার্মান সরকার।
বিশ্বে অস্ত্র বাণিজ্যে জার্মানির অবস্থান পঞ্চম। স্টকহম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিপ্রি) এর তথ্যানুযায়ী, এই তালিকার প্রথম চারে আছে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স ও চীন।
২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই দেশগুলো অস্ত্র রফতানির ৭৬ ভাগ সরবরাহ করেছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
মধ্যপ্রাচ্যের ৫ দেশে অস্ত্রের বাজার জার্মানির
যুদ্ধ কবলিত মধ্যপ্রাচের দেশগুলোতে কোটি কোটি ডলারের মারণাস্ত্র বিক্রি করছে জার্মানি। এক্ষেত্রে কোনো নীতি-নৈতিকতার ধার ধারছে না ইউরোপের প্রভাবশালী দেশটি।
২০২০ সালে অন্তত ৫টি দেশে ১৯৫ কোটি ডলারের (১৬১ ইউরো) অস্ত্র রফতানির অনুমোদন দিয়েছে চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের সরকার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র দিয়েছে মিসরকে।
ক্রেতা আরব দেশগুলো এসব অস্ত্র প্রধানত ইয়েমেন আর লিবিয়ায় প্রাণঘাতী যুদ্ধে ব্যবহার করছে। খবর ডেইলি সাবাহ ও ডয়চে ভেলের।
সম্প্রতি জার্মান পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ বুন্দেসট্যাগে গ্রিন পার্টির এক সাংসদের এক প্রশ্নের প্রেক্ষিতে মধ্যপ্রাচ্যে বিশাল পরিমাণ অস্ত্র বিক্রির এসব তথ্য জানিয়েছে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়।
ইয়েমেনে ২০১৪ সাল থেকে হুতি বিদ্রোহীদের দমনে হামলা চালিয়ে আসছে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। জোটে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর, কুয়েত, জর্ডান ও বাহরাইন।
ছয় বছরের যুদ্ধে দুই লাখ ৩৩ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। অন্যদিকে লিবিয়ার গৃহযুদ্ধে দু’টি বিবদমান পক্ষকে মদত দিয়ে আসছিল কাতার, তুরস্ক এবং আরব আমিরাত ও মিশর।
যদিও বর্তমানে সেখানে অস্ত্র বিরতি চলছে। সমালোচনা ও বিতর্ক সত্ত্বেও গত বছর (২০২০ সালে) বড় অংকের অস্ত্র বিক্রি করেছে জার্মানি।
মিসরে গত বছর ৭৫ কোটি ইউরো বা ৯১ কোটি ডলারের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে জার্মান সরকার।
তালিকায় থাকা দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অস্ত্র বিক্রির ছাড় দেওয়া হয়েছে তেল সমৃদ্ধ দেশ কাতারে। যার পরিমান সাড়ে ৩০ কোটি ইউরো বা প্রায় ৩৭ কোটি ডলার।
২০১৯ সালে জার্মানি-সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে কয়েকশ’ কোটি ইউরোর অংশীদারিত্ব চুক্তি হয়েছে।
আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স আল নাহিয়ান ১২ জুন বার্লিন সফরে আসলে নতুন এই সম্পর্কের সূচনা হয়।
ইয়েমেন, লিবিয়া যুদ্ধে বির্তকিত ভূমিকার কারণে জার্মানির গ্রিন পার্টি এসব চুক্তির বিরোধিতা করে আসলেও গেল বছর পাঁচ কোটি ইউরোর বেশি বা ছয় কোটি ডলারের উপরে অস্ত্র রফতানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
কুয়েতের কাছেও দুই কোটি ৩৪ লাখ ইউরো বা দুই কোটি ৮৪ লাখ ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে জার্মানি। ২০২০ সালেই এই রফতানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
কূটনৈতিক নানা ইস্যুতে টানাপোড়েন থাকলেও জার্মানির কাছ থেকে ঠিকই অস্ত্র আমদানি করছে তুরস্ক। বিদায়ী বছরে দেশটিতে প্রায় দুই কোটি ৩০ লাখ ইউরোর অস্ত্র রফতানির অনুমোদন দিয়েছে জার্মান সরকার।
এছাড়াও গত বছর জর্ডানে ১৬ লাখ ইউরো আর বাহরাইনে ১৫ লাখ ইউরো মূল্যের অস্ত্র বিক্রির লাইসেন্স দিয়েছিল জার্মান সরকার।
বিশ্বে অস্ত্র বাণিজ্যে জার্মানির অবস্থান পঞ্চম। স্টকহম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিপ্রি) এর তথ্যানুযায়ী, এই তালিকার প্রথম চারে আছে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স ও চীন।
২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই দেশগুলো অস্ত্র রফতানির ৭৬ ভাগ সরবরাহ করেছে।