পর্তুগালের জনসংখ্যার ৫ শতাংশ করোনা আক্রান্ত
ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী, পর্তুগাল থেকে
১৪ জানুয়ারি ২০২১, ২২:০৪:৪৩ | অনলাইন সংস্করণ
ইউরোপে মহামারির প্রথম আঘাতে প্রতিবেশী দেশগুলো মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়ে পড়েছিল। পর্তুগাল ২০২০ সালের মার্চ এবং এপ্রিল মাসের লকডাউনের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে; কিন্তু দ্বিতীয় আঘাতে পর্তুগালে করোনার সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যায়। বর্তমানে দেশটির প্রায় পাঁচ শতাংশ জনগণ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
১৫ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত সেই গত ২০২০ সালের প্রথম জরুরি অবস্থার আদলে আবারো জরুরি অবস্থা জারি করে জানানো হয়- কম জরুরি সব ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, বিউটি পার্লার, সেলুন ইত্যাদি বন্ধ থাকবে। রেস্টুরেন্ট, পানশালা, কফি শপ বন্ধ থাকবে; তবে হোম ডেলিভারি দেয়া যাবে। অর্থাৎ রেস্টুরেন্টে বসে গ্রাহকরা খাবার খেতে পারবে না বা পরিবেশন করা যাবে না, ফার্মেসি এবং এ সম্পর্কিত ক্লিনিক খোলা থাকবে।
সুপার মার্কেট, মিনি মার্কেট অর্থাৎ মানুষের এবং পশুখাদ্য তথা হাইজিন পণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে এবং পূর্বের খোলা বন্ধের নিয়ম বলবৎ থাকবে। ১০০ বর্গমিটারে ৫ জন গ্রহণযোগ্য হবে।
সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে এবং আলাদা স্বাস্থ্য নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হবে। সব ধরনের পাবলিক সার্ভিস সেবা চালু থাকবে তবে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে যেতে হবে পূর্বের মতো। বিচারের আদালত খোলা থাকবে। জিমনেসিয়াম এবং বিভিন্ন খেলাধুলা ও শরীরচর্চামূলক পরিচালনা করা যাবে তবে দর্শকবিহীনভাবে।
ভ্রমণের ক্ষেত্রে আরোপিত বিধি নিষেধ ও ভ্রমণ সংক্রান্ত নতুন বিষয়সমূহ বজায় রেখে ভ্রমণ চালু থাকবে। টেলিওয়ার্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে তাদের কর্মচারীরা লে-অফের মাধ্যমে বেতন পাবেন।
২০২০ সালের মার্চ মাসের মাঝামাঝিতে শুরু হওয়া সংক্রমণে প্রথম সাত মাসে প্রায় ৭০ হাজারের মতো লোক আক্রান্ত হলেও ১৩ জানুয়ারি সেই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৭ হাজারে। এ সময়ে মৃত্যু ২ হাজার থেকে ৮ হাজারে এসে দাঁড়িয়েছে। জরুরি অবস্থায় পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আরও বেশি কঠোরতা নিয়ে তা ১৫ দিন করে বর্ধিত হতে থাকবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পর্তুগালের জনসংখ্যার ৫ শতাংশ করোনা আক্রান্ত
ইউরোপে মহামারির প্রথম আঘাতে প্রতিবেশী দেশগুলো মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়ে পড়েছিল। পর্তুগাল ২০২০ সালের মার্চ এবং এপ্রিল মাসের লকডাউনের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে; কিন্তু দ্বিতীয় আঘাতে পর্তুগালে করোনার সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যায়। বর্তমানে দেশটির প্রায় পাঁচ শতাংশ জনগণ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
১৫ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত সেই গত ২০২০ সালের প্রথম জরুরি অবস্থার আদলে আবারো জরুরি অবস্থা জারি করে জানানো হয়- কম জরুরি সব ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, বিউটি পার্লার, সেলুন ইত্যাদি বন্ধ থাকবে। রেস্টুরেন্ট, পানশালা, কফি শপ বন্ধ থাকবে; তবে হোম ডেলিভারি দেয়া যাবে। অর্থাৎ রেস্টুরেন্টে বসে গ্রাহকরা খাবার খেতে পারবে না বা পরিবেশন করা যাবে না, ফার্মেসি এবং এ সম্পর্কিত ক্লিনিক খোলা থাকবে।
সুপার মার্কেট, মিনি মার্কেট অর্থাৎ মানুষের এবং পশুখাদ্য তথা হাইজিন পণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে এবং পূর্বের খোলা বন্ধের নিয়ম বলবৎ থাকবে। ১০০ বর্গমিটারে ৫ জন গ্রহণযোগ্য হবে।
সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে এবং আলাদা স্বাস্থ্য নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হবে। সব ধরনের পাবলিক সার্ভিস সেবা চালু থাকবে তবে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে যেতে হবে পূর্বের মতো। বিচারের আদালত খোলা থাকবে। জিমনেসিয়াম এবং বিভিন্ন খেলাধুলা ও শরীরচর্চামূলক পরিচালনা করা যাবে তবে দর্শকবিহীনভাবে।
ভ্রমণের ক্ষেত্রে আরোপিত বিধি নিষেধ ও ভ্রমণ সংক্রান্ত নতুন বিষয়সমূহ বজায় রেখে ভ্রমণ চালু থাকবে। টেলিওয়ার্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে তাদের কর্মচারীরা লে-অফের মাধ্যমে বেতন পাবেন।
২০২০ সালের মার্চ মাসের মাঝামাঝিতে শুরু হওয়া সংক্রমণে প্রথম সাত মাসে প্রায় ৭০ হাজারের মতো লোক আক্রান্ত হলেও ১৩ জানুয়ারি সেই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৭ হাজারে। এ সময়ে মৃত্যু ২ হাজার থেকে ৮ হাজারে এসে দাঁড়িয়েছে। জরুরি অবস্থায় পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আরও বেশি কঠোরতা নিয়ে তা ১৫ দিন করে বর্ধিত হতে থাকবে।