বাইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কণ্ঠে ট্রাম্পের সুর, ক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনিরা
অনলাইন ডেস্ক
২২ জানুয়ারি ২০২১, ০০:৩১:৪৫ | অনলাইন সংস্করণ
যুক্তরাষ্ট্রে ডেনাল্ড ট্রাম্পের জামানা শেষ হওয়ায় হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন নির্যাতিত ফিলিস্তিনিরা।
ভেবে ছিলেন, তাদের দুর্দিন বুঝি শেষ হলো। কিন্তু নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কণ্ঠে ট্রাম্পের সুর শুনে যারপরনাই হতাশ ফিলিস্তিনিরা। খবর জেরুজালেম পোস্টের।
মার্কিন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেনের একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ফিলিস্তিনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
অ্যান্থনি ব্লিংকেন বলেছেন, তিনি পবিত্র আল-কুদস বা জেরুজালেম শহরকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের রাজধানী মনে করেন।
মার্কিন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন
মঙ্গলবার সিনেটের এক শুনানিতে তাকে জিজ্ঞেস করা হয় তিনি জেরুজালেম শহরকে ইসরাইলের রাজধানী মনে করেন কিনা এবং ট্রাম্পের বিদায়ের পর জেরুজালেম শহরেই মার্কিন দূতাবাস রাখা হবে কিনা। জবাবে ব্লিংকেন দুইবার হ্যাঁ বলেন।
দীর্ঘদিনের অনুসৃত নীতি উপেক্ষা করে ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেম শহরকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন এবং তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেম শহরে স্থানান্তর করেন।
ট্রাম্পের বিদায়ের পর সেই ধারা অব্যাহত থাকবে কিনা তা নিয়ে নানা প্রশ্ন ছিল, সেই প্রশ্নের অবসান ঘটালেন ব্লিংকেন।
তার এই ঘোষণার পর গাজাভিত্তিক ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, আন্তর্জাতিক আইন উপেক্ষা করে জেরুজালেম শহরকে ইহুদিবাদী ইসরাইল দখল করে নিয়েছে। ব্লিংকেনের বক্তব্যে এখন ট্রাম্পেরই সুর বাজছে।
হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেছেন, এটি গোটা আরব জাতির জন্য আরেকটি প্রকাশ্য অপমান।
গাজাভিত্তিক ইসলামি জিহাদ আন্দোলনও বলেছে, যেসব দেশ বাইডেন প্রশাসনের কাছে নতুন কিছু প্রত্যাশা করছিল এই বক্তব্যের মধ্যদিয়ে মার্কিন প্রশাসন তাদের মুখে থাপ্পড় মেরেছে।
সংগঠনের মুখপাত্র দাউদ শিহাব বলেন, ব্লিংকেনের এই বক্তব্যের মধ্যদিয়ে আবার পরিষ্কার হলো যে, তারা দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইল সরকারকে সমর্থন করছে এবং তাদের নেতৃত্বে কোনো পরিবর্তন আসবে না। এও পরিষ্কার হলো যে, ফিলিস্তিনিদেরকে দীর্ঘ সংগ্রাম করতে হবে।
১৯৯৫ সালে মার্কিন কংগ্রেস আল-কুদস শহরকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্প কেবল সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছেন এবং তার উত্তরসূরি জো বাইডেন কংগ্রেসের সিদ্ধান্তকে উল্টে দিতে পারবেন না বলেই বিশ্বাস করছেন ফিলিস্তিনি নেতারা।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বাইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কণ্ঠে ট্রাম্পের সুর, ক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনিরা
যুক্তরাষ্ট্রে ডেনাল্ড ট্রাম্পের জামানা শেষ হওয়ায় হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন নির্যাতিত ফিলিস্তিনিরা।
ভেবে ছিলেন, তাদের দুর্দিন বুঝি শেষ হলো। কিন্তু নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কণ্ঠে ট্রাম্পের সুর শুনে যারপরনাই হতাশ ফিলিস্তিনিরা। খবর জেরুজালেম পোস্টের।
মার্কিন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেনের একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ফিলিস্তিনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
অ্যান্থনি ব্লিংকেন বলেছেন, তিনি পবিত্র আল-কুদস বা জেরুজালেম শহরকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের রাজধানী মনে করেন।
মার্কিন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন
মঙ্গলবার সিনেটের এক শুনানিতে তাকে জিজ্ঞেস করা হয় তিনি জেরুজালেম শহরকে ইসরাইলের রাজধানী মনে করেন কিনা এবং ট্রাম্পের বিদায়ের পর জেরুজালেম শহরেই মার্কিন দূতাবাস রাখা হবে কিনা। জবাবে ব্লিংকেন দুইবার হ্যাঁ বলেন।
দীর্ঘদিনের অনুসৃত নীতি উপেক্ষা করে ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেম শহরকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন এবং তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেম শহরে স্থানান্তর করেন।
ট্রাম্পের বিদায়ের পর সেই ধারা অব্যাহত থাকবে কিনা তা নিয়ে নানা প্রশ্ন ছিল, সেই প্রশ্নের অবসান ঘটালেন ব্লিংকেন।
তার এই ঘোষণার পর গাজাভিত্তিক ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, আন্তর্জাতিক আইন উপেক্ষা করে জেরুজালেম শহরকে ইহুদিবাদী ইসরাইল দখল করে নিয়েছে। ব্লিংকেনের বক্তব্যে এখন ট্রাম্পেরই সুর বাজছে।
হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেছেন, এটি গোটা আরব জাতির জন্য আরেকটি প্রকাশ্য অপমান।
গাজাভিত্তিক ইসলামি জিহাদ আন্দোলনও বলেছে, যেসব দেশ বাইডেন প্রশাসনের কাছে নতুন কিছু প্রত্যাশা করছিল এই বক্তব্যের মধ্যদিয়ে মার্কিন প্রশাসন তাদের মুখে থাপ্পড় মেরেছে।
সংগঠনের মুখপাত্র দাউদ শিহাব বলেন, ব্লিংকেনের এই বক্তব্যের মধ্যদিয়ে আবার পরিষ্কার হলো যে, তারা দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইল সরকারকে সমর্থন করছে এবং তাদের নেতৃত্বে কোনো পরিবর্তন আসবে না। এও পরিষ্কার হলো যে, ফিলিস্তিনিদেরকে দীর্ঘ সংগ্রাম করতে হবে।
১৯৯৫ সালে মার্কিন কংগ্রেস আল-কুদস শহরকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্প কেবল সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছেন এবং তার উত্তরসূরি জো বাইডেন কংগ্রেসের সিদ্ধান্তকে উল্টে দিতে পারবেন না বলেই বিশ্বাস করছেন ফিলিস্তিনি নেতারা।