ইউরোপের ‘বুড়োর’ ১১৭ তম জন্মদিন আজ
লুসিলে র্যানডন। ফ্রান্সের এই নারীর জীবনে বিশেষ দিন আজ। ইউরোপের সবচেয়ে বয়স্ক এই মানুষটির ১১৭ তম জন্মদিন আজ। জন্মদিনের ঠিক আগমুহূর্তে সুখবর পেয়েছেন লুসিলে।
সম্প্রতি তিনি করোনামুক্ত হয়েছে। এই মহামারি তাকে পরাস্ত করতে পারেননি। করোনা জয় করে লুসিলে বলেন, না, আমি ভয় পাচ্ছি না। কারণ, আমি মৃত্যুতে ভয় পাই না। করোনা যে আমাকে আক্রমণ করেছে টেরই পাইনি।
লুসিলে ১৯০৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি ইউরোপের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ। শুধু তাই নয়, জেরোনটলজি রিসার্চ গ্রুপের র্যাংকিং অনুযায়ী, বিশ্বের দ্বিতীয় প্রবীণ নাগরিক তিনি।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ১৯৪৪ সাল থেকে পুরোপুরি খ্রিষ্টধর্ম প্রচারক হিসেবে নিযুক্ত হন লুসিলে। এর সঙ্গে তার নামও বদলে যায়। পরিবর্তিত নাম হয় সিস্টার আঁন্দ্রে।
১৬ জানুয়ারি লুসিলের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। কিন্তু এরপর তাঁর শরীরে করোনার মারাত্মক কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি।
ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চল তুলনের একটি অবসরোত্তর সরকারি ভবনে থাকেন লুসিলে। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর নিবাসের অন্যদের কাছ থেকে আইসোলেশনে চলে যান। বর্তমানে তিনি পুরোপুরি সুস্থ আছেন।
লুসিলে হুইলচেয়ারে চলাফেরা করেন। তিনি অন্ধ। বৃহস্পতিবার তার ১১৭তম জন্মদিন। তিনি এই দিনটির অপেক্ষায় ছিলেন। তবে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় এ উদ্যাপন হবে খুব পরিসরে এবং ঘরোয়া পরিবেশে।
সেইন্ট ক্যাথারিন সরকারি নিবাসের মুখপাত্র ডেভিল তাভেলা লুলিসো সম্পর্কে বলেন, তিনি খুবই ভাগ্যবান। এই বয়সেও তার তেমন কোনো রোগ নেই। তিনি নিজের কথা ভাবেন না, বৃদ্ধাশ্রমের অন্যদের অবস্থা নিয়ে চিন্তিত।
করোনার বিষয়ে ভয় পাচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ফ্রান্সের একটি টিভি চ্যানেলকে লুসিলে বলেন, ‘না, আমি ভয় পাচ্ছি না। কারণ, আমি মৃত্যুতে ভয় পাই না।’
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ইউরোপের ‘বুড়োর’ ১১৭ তম জন্মদিন আজ
লুসিলে র্যানডন। ফ্রান্সের এই নারীর জীবনে বিশেষ দিন আজ। ইউরোপের সবচেয়ে বয়স্ক এই মানুষটির ১১৭ তম জন্মদিন আজ। জন্মদিনের ঠিক আগমুহূর্তে সুখবর পেয়েছেন লুসিলে।
সম্প্রতি তিনি করোনামুক্ত হয়েছে। এই মহামারি তাকে পরাস্ত করতে পারেননি। করোনা জয় করে লুসিলে বলেন, না, আমি ভয় পাচ্ছি না। কারণ, আমি মৃত্যুতে ভয় পাই না। করোনা যে আমাকে আক্রমণ করেছে টেরই পাইনি।
লুসিলে ১৯০৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি ইউরোপের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ। শুধু তাই নয়, জেরোনটলজি রিসার্চ গ্রুপের র্যাংকিং অনুযায়ী, বিশ্বের দ্বিতীয় প্রবীণ নাগরিক তিনি।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ১৯৪৪ সাল থেকে পুরোপুরি খ্রিষ্টধর্ম প্রচারক হিসেবে নিযুক্ত হন লুসিলে। এর সঙ্গে তার নামও বদলে যায়। পরিবর্তিত নাম হয় সিস্টার আঁন্দ্রে।
১৬ জানুয়ারি লুসিলের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। কিন্তু এরপর তাঁর শরীরে করোনার মারাত্মক কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি।
ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চল তুলনের একটি অবসরোত্তর সরকারি ভবনে থাকেন লুসিলে। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর নিবাসের অন্যদের কাছ থেকে আইসোলেশনে চলে যান। বর্তমানে তিনি পুরোপুরি সুস্থ আছেন।
লুসিলে হুইলচেয়ারে চলাফেরা করেন। তিনি অন্ধ। বৃহস্পতিবার তার ১১৭তম জন্মদিন। তিনি এই দিনটির অপেক্ষায় ছিলেন। তবে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় এ উদ্যাপন হবে খুব পরিসরে এবং ঘরোয়া পরিবেশে।
সেইন্ট ক্যাথারিন সরকারি নিবাসের মুখপাত্র ডেভিল তাভেলা লুলিসো সম্পর্কে বলেন, তিনি খুবই ভাগ্যবান। এই বয়সেও তার তেমন কোনো রোগ নেই। তিনি নিজের কথা ভাবেন না, বৃদ্ধাশ্রমের অন্যদের অবস্থা নিয়ে চিন্তিত।
করোনার বিষয়ে ভয় পাচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ফ্রান্সের একটি টিভি চ্যানেলকে লুসিলে বলেন, ‘না, আমি ভয় পাচ্ছি না। কারণ, আমি মৃত্যুতে ভয় পাই না।’