কাশ্মীরে সন্তানের লাশ চাওয়ায় বাবার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
অনলাইন ডেস্ক
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৬:২০:০৪ | অনলাইন সংস্করণ
অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে পুলিশের গুলিতে নিহত ছেলের লাশ চাইতে গিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার শিকার হয়েছেন এক বাবা।
সন্তান হারানো মোশতাক আহমদ ওয়ানীর বিরুদ্ধে অবৈধ বৈঠক ও উগ্রবাদিতার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করেছে ভারতনিয়ন্ত্রিত ওই অঞ্চলটির পুলিশ।
ডন জানিয়েছে, গত ৩০ ডিসেম্বর শ্রীনগরের উপকণ্ঠে মোশতাকের ১৬ বছর বয়সী ছেলে আতহার ও তার দুই বন্ধুকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে আত্মসমর্পণে অস্বীকৃতির অভিযোগ এনেছে পুলিশ। পরে গ্রাম থেকে ১১৫ কিলোমিটার দূরে একটি কবরস্থানে পরিবারের সম্মতি ছাড়াই তাদের দাফন করা হয়।
তারা চরমপন্থী ছিল না জানিয়ে লাশ ফেরত চেয়েছেন নিহতদের স্বজনরা। মিথ্যা অভিযোগ এনে যুবকদের হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি তাদের।
আতহার আহমদের হত্যাকাণ্ড ও দাফনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে কাশ্মীরি নাগরিকরা এর প্রতিবাদ করে মরদেহ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
ডনের রিপোর্টে বলা হয়, গত এপ্রিলে জারি করা একটি আইনের অজুহাতে এ পর্যন্ত ১৫০-এরও বেশি যুবককে কাশ্মীরি উগ্রবাদী আখ্যা দিয়ে বেনামি কবরে দাফন করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
নিহতদের পরিবারকে তাদের দাফন কাজে শরিক হতে দেওয়া হয়নি।
ডন উর্দু অবলম্বনে-মুহাম্মদ বিন ওয়াহিদ
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
কাশ্মীরে সন্তানের লাশ চাওয়ায় বাবার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে পুলিশের গুলিতে নিহত ছেলের লাশ চাইতে গিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার শিকার হয়েছেন এক বাবা।
সন্তান হারানো মোশতাক আহমদ ওয়ানীর বিরুদ্ধে অবৈধ বৈঠক ও উগ্রবাদিতার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করেছে ভারতনিয়ন্ত্রিত ওই অঞ্চলটির পুলিশ।
ডন জানিয়েছে, গত ৩০ ডিসেম্বর শ্রীনগরের উপকণ্ঠে মোশতাকের ১৬ বছর বয়সী ছেলে আতহার ও তার দুই বন্ধুকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে আত্মসমর্পণে অস্বীকৃতির অভিযোগ এনেছে পুলিশ। পরে গ্রাম থেকে ১১৫ কিলোমিটার দূরে একটি কবরস্থানে পরিবারের সম্মতি ছাড়াই তাদের দাফন করা হয়।
তারা চরমপন্থী ছিল না জানিয়ে লাশ ফেরত চেয়েছেন নিহতদের স্বজনরা। মিথ্যা অভিযোগ এনে যুবকদের হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি তাদের।
আতহার আহমদের হত্যাকাণ্ড ও দাফনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে কাশ্মীরি নাগরিকরা এর প্রতিবাদ করে মরদেহ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
ডনের রিপোর্টে বলা হয়, গত এপ্রিলে জারি করা একটি আইনের অজুহাতে এ পর্যন্ত ১৫০-এরও বেশি যুবককে কাশ্মীরি উগ্রবাদী আখ্যা দিয়ে বেনামি কবরে দাফন করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
নিহতদের পরিবারকে তাদের দাফন কাজে শরিক হতে দেওয়া হয়নি।
ডন উর্দু অবলম্বনে- মুহাম্মদ বিন ওয়াহিদ