কাশ্মীর সীমান্তে গোলাগুলি বন্ধে ভারত-পাকিস্তানের বিরল সমঝোতা
যুগান্তর ডেস্ক
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১২:২২:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ
কাশ্মীরের বিরোধপূর্ণ সীমান্তে অস্ত্রবিরতি করতে সম্মত হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান।
বৃহস্পতিবার বিরল এক যৌথ বিবৃতিতে দেশ দুটির সামরিক বাহিনী এ কথা জানিয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
সাম্প্রতিক কয়েক মাসে এ দুই বাহিনীর মধ্যে কাশ্মীর সীমান্ত নিয়ে কয়েকশ বার গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এমতাবস্থায় চরম অনিরাপত্তা ও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে কাশ্মীরীদের জীবনে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৪-২৫ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত থেকে কাশ্মীর সীমান্ত নিয়ে সম্পাদিত সব ধরনের চুক্তি কঠোরভাবে প্রতিপালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুপক্ষ। লাইন অব কন্ট্রোলসহ সব এলাকায় শান্তিচুক্তি মেনে চলা হবে। প্রায় দেড় যুগ পর কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে সমঝোতায় এলো দুই দেশ।
এর আগে ২০০৩ সালে পারমাণবিক শক্তিধর এ দুটি প্রতিবেশী দেশ কাশ্মীর অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণরেখা (লাইন অব কট্রোল বা এলওসি) বরাবর গোলাগুলি বন্ধ করতে অস্ত্রবিরতির চুক্তি করেছিল। কিন্তু গত কয়েক বছরে ওই চুক্তির প্রয়োগ দেখা যায়নি। দুই পাশের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যায় ব্যাপকভাবে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০১৪ সাল থেকে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়, ফলে প্রায় ৩০০ বেসামরিক হতাহত হন। চলতি বছরের মাত্র দুই মাসে ২৫৩ বার অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে, তাতে আট বেসামরিক আহত হয়েছেন।
চলতি বছরের শুরু থেকে পাকিস্তান ৫৯১ বার অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করেছে বলে ভারতের হিসাব।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
কাশ্মীর সীমান্তে গোলাগুলি বন্ধে ভারত-পাকিস্তানের বিরল সমঝোতা
কাশ্মীরের বিরোধপূর্ণ সীমান্তে অস্ত্রবিরতি করতে সম্মত হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান।
বৃহস্পতিবার বিরল এক যৌথ বিবৃতিতে দেশ দুটির সামরিক বাহিনী এ কথা জানিয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
সাম্প্রতিক কয়েক মাসে এ দুই বাহিনীর মধ্যে কাশ্মীর সীমান্ত নিয়ে কয়েকশ বার গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এমতাবস্থায় চরম অনিরাপত্তা ও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে কাশ্মীরীদের জীবনে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৪-২৫ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত থেকে কাশ্মীর সীমান্ত নিয়ে সম্পাদিত সব ধরনের চুক্তি কঠোরভাবে প্রতিপালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুপক্ষ। লাইন অব কন্ট্রোলসহ সব এলাকায় শান্তিচুক্তি মেনে চলা হবে। প্রায় দেড় যুগ পর কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে সমঝোতায় এলো দুই দেশ।
এর আগে ২০০৩ সালে পারমাণবিক শক্তিধর এ দুটি প্রতিবেশী দেশ কাশ্মীর অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণরেখা (লাইন অব কট্রোল বা এলওসি) বরাবর গোলাগুলি বন্ধ করতে অস্ত্রবিরতির চুক্তি করেছিল। কিন্তু গত কয়েক বছরে ওই চুক্তির প্রয়োগ দেখা যায়নি। দুই পাশের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যায় ব্যাপকভাবে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০১৪ সাল থেকে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়, ফলে প্রায় ৩০০ বেসামরিক হতাহত হন। চলতি বছরের মাত্র দুই মাসে ২৫৩ বার অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে, তাতে আট বেসামরিক আহত হয়েছেন।
চলতি বছরের শুরু থেকে পাকিস্তান ৫৯১ বার অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করেছে বলে ভারতের হিসাব।