শামিমাকে ব্রিটেনে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি সুপ্রিমকোর্ট
অনলাইন ডেস্ক
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১০:১৩:৪৮ | অনলাইন সংস্করণ
আইএসে যোগ দেওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ তরুণী শামিমা বেগমকে সিরিয়া থেকে লন্ডনে ফেরার অনুমতি দেয়নি যুক্তরাজ্যের সুপ্রিমকোর্ট।
শুক্রবার আদালতের দেওয়া রায়ের ফলে শামিমা দেশে ফিরে তার নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত আইনগতভাবে মোকাবিলা করতে পারবেন না। খবর বিবিসির।
কোর্ট অব আপিল গত বছরের জুলাইয়ে বলেছিল, তার বিরুদ্ধে নেওয়া সিদ্ধান্ত মোকাবিলায় তাকে ন্যায়সঙ্গত সুযোগ দেয়া হচ্ছে। ক্যাম্প থেকে সে তার মামলা লড়তে পারে না। এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে তখন সুপ্রিমকোর্টকে অনুরোধ জানায় ব্রিটিশ সরকার।
এর আগে নাগরিকত্ব বাতিল হওয়ার সিদ্ধান্ত আইনগতভাবে মোকাবিলায় ব্রিটেনে ফিরে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন শামিমা। তাকে বীভৎস উগ্রবাদী বলে আখ্যায়িত করেছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সান।
পত্রিকাটি একটি প্রতিবেদনে বলে, আমাদের মাটিতে তার স্থান হতে পারে না। শামিমার দাবি ব্রিটিশ সরকারের এই সিদ্ধান্ত বেআইনি। এতে তিনি রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়েছেন এবং তার মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে।
সিরিয়ায় আইএসে যোগ দেওয়ার বছর দুয়েক আগে জাতীয় নিরাপত্তার কথা বিবেচনা নিয়ে তার নাগরিকত্ব বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। তখন ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন সাজিদ জাভিদ।
স্কুলের দুই বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে শামীমা যখন সিরিয়ায় পাড়ি জমান, তখন তার বয়স ছিল ১৫ বছর। পরে এক আইএস যোদ্ধাকে বিয়ে করেন তিনি।
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে একটি ক্যাম্পে বর্তমানে ২১ বছর বয়সী ওই তরুণী মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তার স্বামী সিরীয় কারাগারে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এবং তাদের তিনটি সন্তানই মারা গেছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
শামিমাকে ব্রিটেনে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি সুপ্রিমকোর্ট
আইএসে যোগ দেওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ তরুণী শামিমা বেগমকে সিরিয়া থেকে লন্ডনে ফেরার অনুমতি দেয়নি যুক্তরাজ্যের সুপ্রিমকোর্ট।
শুক্রবার আদালতের দেওয়া রায়ের ফলে শামিমা দেশে ফিরে তার নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত আইনগতভাবে মোকাবিলা করতে পারবেন না। খবর বিবিসির।
কোর্ট অব আপিল গত বছরের জুলাইয়ে বলেছিল, তার বিরুদ্ধে নেওয়া সিদ্ধান্ত মোকাবিলায় তাকে ন্যায়সঙ্গত সুযোগ দেয়া হচ্ছে। ক্যাম্প থেকে সে তার মামলা লড়তে পারে না। এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে তখন সুপ্রিমকোর্টকে অনুরোধ জানায় ব্রিটিশ সরকার।
এর আগে নাগরিকত্ব বাতিল হওয়ার সিদ্ধান্ত আইনগতভাবে মোকাবিলায় ব্রিটেনে ফিরে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন শামিমা। তাকে বীভৎস উগ্রবাদী বলে আখ্যায়িত করেছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সান।
পত্রিকাটি একটি প্রতিবেদনে বলে, আমাদের মাটিতে তার স্থান হতে পারে না। শামিমার দাবি ব্রিটিশ সরকারের এই সিদ্ধান্ত বেআইনি। এতে তিনি রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়েছেন এবং তার মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে।
সিরিয়ায় আইএসে যোগ দেওয়ার বছর দুয়েক আগে জাতীয় নিরাপত্তার কথা বিবেচনা নিয়ে তার নাগরিকত্ব বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। তখন ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন সাজিদ জাভিদ।
স্কুলের দুই বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে শামীমা যখন সিরিয়ায় পাড়ি জমান, তখন তার বয়স ছিল ১৫ বছর। পরে এক আইএস যোদ্ধাকে বিয়ে করেন তিনি।
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে একটি ক্যাম্পে বর্তমানে ২১ বছর বয়সী ওই তরুণী মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তার স্বামী সিরীয় কারাগারে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এবং তাদের তিনটি সন্তানই মারা গেছে।