খাসোগি হত্যা: যে কারণে যুবরাজকে দায়ী করল যুক্তরাষ্ট্র
অনলাইন ডেস্ক
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৫:৩২:৪৯ | অনলাইন সংস্করণ
সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যায় সৌদি আরবের সিংহাসনের উত্তরাধিকারী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান অনুমোদন দিয়েছিলেন। শুক্রবার মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, সৌদি সরকারের কঠোর সমালোচক জামাল খাসোগিকে ধরে আনতে কিংবা হত্যা পরিকল্পনায় যুবরাজের সায় ছিল।
তিনটি কারণে যুবরাজের সবুজ সংকেত ছিল বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রথমত, ২০১৭ সাল থেকে সৌদির নীতি নির্ধারণের নিয়ন্ত্রণ তার হাতে। দ্বিতীয়ত, তার একজন উপদেষ্টা ও সুরক্ষা বাহিনীর সদস্য এই হত্যায় সরাসরি জড়িত। তৃতীয়ত, দেশের বাইরে ভিন্নমতাবলম্বীদের দমন করতে সহিংস পদক্ষেপে তার অব্যাহত সমর্থন।
যুবরাজের সুরক্ষায় কাজ করে অভিজাত বাহিনী র্যাপিড ইন্টারভেনশন ফোর্স। তাদের জবাবদিহিও একমাত্র যুবরাজের কাছে।
এর আগে সিআইএ ধারণা করেছিল, সৌদি যুবরাজের নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। কিন্তু তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন কখনোই তার জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেনি।
২০১৮ সালের ২ অক্টোবর ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে নির্মমভাবে হত্যা করে সৌদি গুপ্তচরেরা। পরে তার লাশ কেটে টুকরো টুকরো করে দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমা বিশ্বে এমবিএস নামে পরিচিত যুবরাজ শুরু থেকেই হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
খাসোগি হত্যা: যে কারণে যুবরাজকে দায়ী করল যুক্তরাষ্ট্র
সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যায় সৌদি আরবের সিংহাসনের উত্তরাধিকারী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান অনুমোদন দিয়েছিলেন। শুক্রবার মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, সৌদি সরকারের কঠোর সমালোচক জামাল খাসোগিকে ধরে আনতে কিংবা হত্যা পরিকল্পনায় যুবরাজের সায় ছিল।
তিনটি কারণে যুবরাজের সবুজ সংকেত ছিল বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রথমত, ২০১৭ সাল থেকে সৌদির নীতি নির্ধারণের নিয়ন্ত্রণ তার হাতে। দ্বিতীয়ত, তার একজন উপদেষ্টা ও সুরক্ষা বাহিনীর সদস্য এই হত্যায় সরাসরি জড়িত। তৃতীয়ত, দেশের বাইরে ভিন্নমতাবলম্বীদের দমন করতে সহিংস পদক্ষেপে তার অব্যাহত সমর্থন।
যুবরাজের সুরক্ষায় কাজ করে অভিজাত বাহিনী র্যাপিড ইন্টারভেনশন ফোর্স। তাদের জবাবদিহিও একমাত্র যুবরাজের কাছে।
এর আগে সিআইএ ধারণা করেছিল, সৌদি যুবরাজের নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। কিন্তু তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন কখনোই তার জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেনি।
২০১৮ সালের ২ অক্টোবর ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে নির্মমভাবে হত্যা করে সৌদি গুপ্তচরেরা। পরে তার লাশ কেটে টুকরো টুকরো করে দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমা বিশ্বে এমবিএস নামে পরিচিত যুবরাজ শুরু থেকেই হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।