জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশন ও কনস্যুলেটে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন
কৌশলী ইমা, যুক্তরাষ্ট্র থেকে
১৮ মার্চ ২০২১, ২২:১৮:০৮ | অনলাইন সংস্করণ
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ও বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল নিউইয়র্কের যৌথ উদ্যোগে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২১ উদযাপন করা হয়।
দুই পর্বে ভাগ করে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় সময় বুধবার সকালে স্থায়ী মিশন ও কনস্যুলেট স্ব-স্ব কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিবসটির কর্মসূচি শুরু করে। এরপর জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
সকালের আয়োজনের মধ্যে আরও ছিল- দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, মুক্ত আলোচনা এবং জন্মদিনের কেক কাটা পর্ব।
স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এবং কনস্যুলেট জেনারেলের অডিটোরিয়ামে আলাদা আলাদাভাবে আয়োজিত সকালের পর্বে জাতির পিতা ও তার পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
বিকালে স্থায়ী মিশন ও কনস্যুলেটের যৌথ উদ্যোগে শিশুদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভার্চুয়ালভাবে অনুষ্ঠিত হয় শিশু আনন্দমেলা। এতে নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশি শিশুদের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপস্থাপন এবং ‘নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বঙ্গবন্ধুর উদ্দেশ্যে পত্রলিখন’ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। বিকালের এই ভার্চুয়াল আয়োজনে জাতির পিতার জন্ম থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠা, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠনসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তার অবদানের ওপর একটি শিশুতোষ গ্রাফিক্স ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
সকালের আলোচনা পর্ব এবং বিকালের ‘শিশু আনন্দমেলা’ উভয় পর্বেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। এছাড়া শিশুদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, নিউইয়র্কের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুন্নেছা।
স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলার স্বাধিকার আদায়ের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে জাতির পিতা সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমাদের উপহার দিয়েছেন স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশ।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশন ও কনস্যুলেটে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ও বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল নিউইয়র্কের যৌথ উদ্যোগে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২১ উদযাপন করা হয়।
দুই পর্বে ভাগ করে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় সময় বুধবার সকালে স্থায়ী মিশন ও কনস্যুলেট স্ব-স্ব কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিবসটির কর্মসূচি শুরু করে। এরপর জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
সকালের আয়োজনের মধ্যে আরও ছিল- দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, মুক্ত আলোচনা এবং জন্মদিনের কেক কাটা পর্ব।
স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এবং কনস্যুলেট জেনারেলের অডিটোরিয়ামে আলাদা আলাদাভাবে আয়োজিত সকালের পর্বে জাতির পিতা ও তার পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
বিকালে স্থায়ী মিশন ও কনস্যুলেটের যৌথ উদ্যোগে শিশুদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভার্চুয়ালভাবে অনুষ্ঠিত হয় শিশু আনন্দমেলা। এতে নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশি শিশুদের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপস্থাপন এবং ‘নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বঙ্গবন্ধুর উদ্দেশ্যে পত্রলিখন’ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। বিকালের এই ভার্চুয়াল আয়োজনে জাতির পিতার জন্ম থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠা, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠনসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তার অবদানের ওপর একটি শিশুতোষ গ্রাফিক্স ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
সকালের আলোচনা পর্ব এবং বিকালের ‘শিশু আনন্দমেলা’ উভয় পর্বেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। এছাড়া শিশুদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, নিউইয়র্কের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুন্নেছা।
স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলার স্বাধিকার আদায়ের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে জাতির পিতা সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমাদের উপহার দিয়েছেন স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশ।