‘খেলা হবে’ শেষে বাংলাদেশের ‘কাকলী ফার্নিচার’ কলকাতায় সুপারহিট!
যুগান্তর ডেস্ক
২১ মে ২০২১, ১৭:১১:৩৫ | অনলাইন সংস্করণ

নারায়ণগঞ্জের ডাকাসাই আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানের জনপ্রিয় স্লোগান ‘খেলা হবে’ নিয়ে মেতেছিল পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন।
নির্বাচন চলাকালীন বাংলাদেশ থেকে ধার করে নেওয়া স্লোগানটি আওড়াননি, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন শহরের অলি-গলি খুঁজেও এমন লোক পাওয়া যাবে না।
এবার বাংলাদেশ থেকে এক অপরিচিত আসবাবপত্র বিপণির বিজ্ঞাপন বার্তা ধার নিল পশ্চিমবঙ্গ।
ওপার বাংলার সোশ্যাল মিডিয়া দাপাচ্ছে এখন বাংলাদেশের ‘কাকলী ফার্নিচার’। আসবাবপত্র বিপণির বিজ্ঞাপন বার্তা, ‘দামে কম মানে ভালো...’। এ নিয়েই ভারী হয়ে উঠেছে তাদের ফেসবুক, টুইটার।
কাকলি ফার্ণিচারের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা সেই বিজ্ঞাপন ভিডিও এখন রীতিমতো গণসংক্রমণের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে পশ্চিমবঙ্গের সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফেসবুক খুললেই চোখে পড়ছে ’দামে কম মানে ভালো কাকলী ফার্ণিচার’।
শুধু ভিডিও নয়, ভার্চুয়াল ওয়ালে নানা অজুহাতে ‘দামে কম মানে ভালো কাকলী ফার্ণিচার' লিখেও ছবি পোস্ট করছেন ভারতীয় নেটিজেনরা।
কাঁটাতার পেরিয়ে এই বিজ্ঞাপন এখন ওপার বাংলায় জনপ্রিয়তার তুঙ্গে!। এ নিয়ে মজার মজার মিম বানিয়ে ফেসবুকে ছাড়ছেন নেটিজেনরা। কেউ কাউকে ট্রল করতে এর আশ্রয় নিচ্ছেন। এক কথায় ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের হাহাকারে অনেকেই হাস্যরসের স্বাদ নিচ্ছেন কাকলী ফার্ণিচাররের বিজ্ঞাপন বার্তা দিয়ে।
কেউ বলছেন বন্ধুর বিয়ের ফুলশয্যায় কাকলি ফার্নিচারের খাট উপহার দেওয়ার কথা। রাজনীতি মিশিয়েও কেউ স্ট্যাটাসে লিখছেন, ‘দিদি বলেছেন মরার পর ২০০০ টাকা দেবেন, সেই টাকায় কাকলী ফার্নিচারের খাট হবে তো!’
‘হাড় ভাঙলেও কাকলি ফার্নিচারের খাট ভাঙবে না।’ এমন মিমও রাতারাতি ভাইরাল হয়েছে।
বিয়ের বাসর থেকে ফুলশয্যা এরপর মরদেহ বহনের বেলায়ও ‘কাকলী ফার্নিচার’-এর খাট ব্যবহারের প্রসঙ্গ টেনে মজা লুটছেন নেটিজেনদের।
এভাবেই গত দু’দিনে কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গে কাকলী ফার্নিচার নিয়ে শত শত মিম ছড়িয়ে পড়েছে।
কাকলী ফার্ণিচারের প্রভাব পড়েছে কলকাতার সেলিব্রেটিদের সোশ্যাল মিডিয়াতেও।
পশ্চিমবঙ্গের চিত্র পরিচালক অনীক দত্ত ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, ঘুষ দস্তিদার শুনসি আগে। এখন শুনসি কাকলী ফার্নিচারস!
সংগীতকার জয় সরকারও ফেসবুকে কাকলী ফার্নিচার নিয়ে মজাদার পোস্ট করেছেন নিজের ওয়ালে।
নামের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় তৃণমূল কংগ্রসের এমপি কাকলী ঘোষ দস্তিদার এ নিয়ে বেশ বিব্রত অবস্থায় পড়েছেন। ঘুষ কেলেঙ্কারীতে সম্প্রতি অনেক মিমের কেন্দ্রীয় চরিত্র এ রাজনীতিক। তাই তার ছবি ব্যবহার করে স্লোগানটা একটু পাল্টে ভারতীয় নেটিজেনরা মিম বানিয়েছে, ‘মানে কম, দামে ভালো কাকলী’!
বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন কলকাতায় এমন ভাইরাল হলো কেন সে প্রশ্নে কলকাতার একটি নামি বিজ্ঞাপন সংস্থার কর্মকর্তা শৌনক মিত্র বলেন, বাংলাদেশের ওই ব্র্যান্ডটি ফেসবুকে তাদের বিজ্ঞাপনে যে অদ্ভুত একটা সারল্য ও তার পাশাপাশি একটা ইঙ্গিতপূর্ণ মেজাজ ধরতে পেরেছে - সেখানেই এটি কলকাতার মন জয় করে ফেলেছে!
তথ্যসূত্র: এই সময়, জি-নিউজ, হিন্দুস্তান বাংলা
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
‘খেলা হবে’ শেষে বাংলাদেশের ‘কাকলী ফার্নিচার’ কলকাতায় সুপারহিট!

নারায়ণগঞ্জের ডাকাসাই আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানের জনপ্রিয় স্লোগান ‘খেলা হবে’ নিয়ে মেতেছিল পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন।
নির্বাচন চলাকালীন বাংলাদেশ থেকে ধার করে নেওয়া স্লোগানটি আওড়াননি, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন শহরের অলি-গলি খুঁজেও এমন লোক পাওয়া যাবে না।
এবার বাংলাদেশ থেকে এক অপরিচিত আসবাবপত্র বিপণির বিজ্ঞাপন বার্তা ধার নিল পশ্চিমবঙ্গ।
ওপার বাংলার সোশ্যাল মিডিয়া দাপাচ্ছে এখন বাংলাদেশের ‘কাকলী ফার্নিচার’। আসবাবপত্র বিপণির বিজ্ঞাপন বার্তা, ‘দামে কম মানে ভালো...’। এ নিয়েই ভারী হয়ে উঠেছে তাদের ফেসবুক, টুইটার।
কাকলি ফার্ণিচারের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা সেই বিজ্ঞাপন ভিডিও এখন রীতিমতো গণসংক্রমণের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে পশ্চিমবঙ্গের সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফেসবুক খুললেই চোখে পড়ছে ’দামে কম মানে ভালো কাকলী ফার্ণিচার’।
শুধু ভিডিও নয়, ভার্চুয়াল ওয়ালে নানা অজুহাতে ‘দামে কম মানে ভালো কাকলী ফার্ণিচার' লিখেও ছবি পোস্ট করছেন ভারতীয় নেটিজেনরা।
কাঁটাতার পেরিয়ে এই বিজ্ঞাপন এখন ওপার বাংলায় জনপ্রিয়তার তুঙ্গে!। এ নিয়ে মজার মজার মিম বানিয়ে ফেসবুকে ছাড়ছেন নেটিজেনরা। কেউ কাউকে ট্রল করতে এর আশ্রয় নিচ্ছেন। এক কথায় ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের হাহাকারে অনেকেই হাস্যরসের স্বাদ নিচ্ছেন কাকলী ফার্ণিচাররের বিজ্ঞাপন বার্তা দিয়ে।
কেউ বলছেন বন্ধুর বিয়ের ফুলশয্যায় কাকলি ফার্নিচারের খাট উপহার দেওয়ার কথা। রাজনীতি মিশিয়েও কেউ স্ট্যাটাসে লিখছেন, ‘দিদি বলেছেন মরার পর ২০০০ টাকা দেবেন, সেই টাকায় কাকলী ফার্নিচারের খাট হবে তো!’
‘হাড় ভাঙলেও কাকলি ফার্নিচারের খাট ভাঙবে না।’ এমন মিমও রাতারাতি ভাইরাল হয়েছে।
বিয়ের বাসর থেকে ফুলশয্যা এরপর মরদেহ বহনের বেলায়ও ‘কাকলী ফার্নিচার’-এর খাট ব্যবহারের প্রসঙ্গ টেনে মজা লুটছেন নেটিজেনদের।
এভাবেই গত দু’দিনে কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গে কাকলী ফার্নিচার নিয়ে শত শত মিম ছড়িয়ে পড়েছে।
কাকলী ফার্ণিচারের প্রভাব পড়েছে কলকাতার সেলিব্রেটিদের সোশ্যাল মিডিয়াতেও।
পশ্চিমবঙ্গের চিত্র পরিচালক অনীক দত্ত ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, ঘুষ দস্তিদার শুনসি আগে। এখন শুনসি কাকলী ফার্নিচারস!
সংগীতকার জয় সরকারও ফেসবুকে কাকলী ফার্নিচার নিয়ে মজাদার পোস্ট করেছেন নিজের ওয়ালে।
নামের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় তৃণমূল কংগ্রসের এমপি কাকলী ঘোষ দস্তিদার এ নিয়ে বেশ বিব্রত অবস্থায় পড়েছেন। ঘুষ কেলেঙ্কারীতে সম্প্রতি অনেক মিমের কেন্দ্রীয় চরিত্র এ রাজনীতিক। তাই তার ছবি ব্যবহার করে স্লোগানটা একটু পাল্টে ভারতীয় নেটিজেনরা মিম বানিয়েছে, ‘মানে কম, দামে ভালো কাকলী’!
বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন কলকাতায় এমন ভাইরাল হলো কেন সে প্রশ্নে কলকাতার একটি নামি বিজ্ঞাপন সংস্থার কর্মকর্তা শৌনক মিত্র বলেন, বাংলাদেশের ওই ব্র্যান্ডটি ফেসবুকে তাদের বিজ্ঞাপনে যে অদ্ভুত একটা সারল্য ও তার পাশাপাশি একটা ইঙ্গিতপূর্ণ মেজাজ ধরতে পেরেছে - সেখানেই এটি কলকাতার মন জয় করে ফেলেছে!
তথ্যসূত্র: এই সময়, জি-নিউজ, হিন্দুস্তান বাংলা