ইস্তাম্বুল খাল খনন কখন শুরু ও শেষ হবে, খরচ কেমন হবে?
সরোয়ার আলম, আঙ্কারা, তুরস্ক থেকে
০৩ জুলাই ২০২১, ১৫:০২:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ
ইস্তাম্বুল খাল বা ক্যানাল ইস্তাম্বুল মূলত তুরস্ক নিয়ে দেশটির রাষ্ট্রপতি এরদোগান যে সামরিক ছক এঁকেছেন বিশাল এক প্ল্যানের অংশ। এই খালের সঙ্গে মন্ট্রেক্স চুক্তির কোন সম্পর্ক আছে কি-না সে বিষয়টি আগেই খোলাসা করেছি।
ইস্তাম্বুল খাল খনন কখন শুরু হবে, কবে শেষ হবে, কত খরচ হবে
আসলে ইস্তাম্বুল খাল খনন কিন্তু একটা প্রকল্প হিসেবেই আছে। খননের কাজ এখনও শুরু হয়নি। এরদোগান কয়েকদিন আগে প্রস্তাবিত এই খালের উপর দিয়ে একটি ব্রিজের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন। প্রথমে এভাবে ছয়টা নতুন ব্রিজ আগে তৈরি হবে। সময় লাগবে দেড় বছর।
এই দেড় বছরে খালের টেন্ডার হবে। তার পরে খাল খননের কাজ শুরু হবে। মূল খনন কাজে সময় লাগবে সাড়ে পাঁচ বছর।
আমার ধারণা ২০২৩ সালের নির্বাচনের কিছুদিন আগে শুরু হবে এই খননের কাজ এবং এটি তখন নির্বাচনে বিশাল এক টোপ হিসেবে ব্যবহার করবেন রাষ্ট্রপতি এরদোগান।
সুতরাং দেড় বছর ব্রিজের কাজ প্লাস সাড়ে পাঁচ বছর খনন কাজ মোট সাত বছর পরে চালু হবে এই খাল।
এখন থেকে হিসেব করলে ২০২৮ বা ২০২৯ সালে চালু হবে এই খাল। বছরে ১ বিলিয়ন করে টোল আদায় হলে ১৫ বিলিয়ন টাকা তুলতে অর্থাৎ খালের মোট খরচ তুলতে সময় লাগবে আরও ১৫ বছর। সে হিসেবে ২০৪৪ -২০৪৫ সালের দিকে তুরস্ক এই খাল থেকে লাভ করতে শুরু করবে।
খাল খননের মূল উদ্দেশ্য কী?
বসফরাসের নিরাপত্তা, অথবা বিপুল পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা, আসল উদ্দেশ্য না।
এগুলো হয়তো গৌণ কারণের মধ্যে থাকতে পারে তবে আমার কাছে মনে হয় মুখ্য কারণ হলো, তুরস্কের নিরাপত্তার জন্য নতুন প্রতিরক্ষা প্রাচীর হবে এই খাল। অর্থাৎ এটি তুরস্কের একবিংশ শতাব্দীর নতুন সামরিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পরিকল্পিত লাইন অফ ডিফেন্সের একটি অংশ।
ইস্তাম্বুলকে পশ্চিম দিক থেকে আসা, বিশেষ করে গ্রীস বা ইউরোপের হুমকি থেকে বাঁচানোর প্ল্যানের অংশ হিসেবে এই প্রকল্প হাতে নিয়ে থাকতে পারেন এরদোগান।
আর এ কারণেই এটি যদি একটি প্রতিরক্ষা কৌশলের অংশ হয় তাহলে এখান থেকে অর্থনৈতিক লাভ করাটা মুখ্য বিষয় নয়। যেমন সমরাস্ত্র তৈরির কোনো প্রকল্প হাতে নিলে তাতে আর্থিক লাভ ক্ষতির চেয়ে দেশের নিরাপত্তাকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। এজন্যই হয়তো বিভিন্ন অজুহাতে পশ্চিমা দেশগুলো এর বিরোধিতা করে থাকতে পারে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ইস্তাম্বুল খাল খনন কখন শুরু ও শেষ হবে, খরচ কেমন হবে?
ইস্তাম্বুল খাল বা ক্যানাল ইস্তাম্বুল মূলত তুরস্ক নিয়ে দেশটির রাষ্ট্রপতি এরদোগান যে সামরিক ছক এঁকেছেন বিশাল এক প্ল্যানের অংশ। এই খালের সঙ্গে মন্ট্রেক্স চুক্তির কোন সম্পর্ক আছে কি-না সে বিষয়টি আগেই খোলাসা করেছি।
ইস্তাম্বুল খাল খনন কখন শুরু হবে, কবে শেষ হবে, কত খরচ হবে
আসলে ইস্তাম্বুল খাল খনন কিন্তু একটা প্রকল্প হিসেবেই আছে। খননের কাজ এখনও শুরু হয়নি। এরদোগান কয়েকদিন আগে প্রস্তাবিত এই খালের উপর দিয়ে একটি ব্রিজের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন। প্রথমে এভাবে ছয়টা নতুন ব্রিজ আগে তৈরি হবে। সময় লাগবে দেড় বছর।
এই দেড় বছরে খালের টেন্ডার হবে। তার পরে খাল খননের কাজ শুরু হবে। মূল খনন কাজে সময় লাগবে সাড়ে পাঁচ বছর।
আমার ধারণা ২০২৩ সালের নির্বাচনের কিছুদিন আগে শুরু হবে এই খননের কাজ এবং এটি তখন নির্বাচনে বিশাল এক টোপ হিসেবে ব্যবহার করবেন রাষ্ট্রপতি এরদোগান।
সুতরাং দেড় বছর ব্রিজের কাজ প্লাস সাড়ে পাঁচ বছর খনন কাজ মোট সাত বছর পরে চালু হবে এই খাল।
এখন থেকে হিসেব করলে ২০২৮ বা ২০২৯ সালে চালু হবে এই খাল। বছরে ১ বিলিয়ন করে টোল আদায় হলে ১৫ বিলিয়ন টাকা তুলতে অর্থাৎ খালের মোট খরচ তুলতে সময় লাগবে আরও ১৫ বছর। সে হিসেবে ২০৪৪ -২০৪৫ সালের দিকে তুরস্ক এই খাল থেকে লাভ করতে শুরু করবে।
খাল খননের মূল উদ্দেশ্য কী?
বসফরাসের নিরাপত্তা, অথবা বিপুল পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা, আসল উদ্দেশ্য না।
এগুলো হয়তো গৌণ কারণের মধ্যে থাকতে পারে তবে আমার কাছে মনে হয় মুখ্য কারণ হলো, তুরস্কের নিরাপত্তার জন্য নতুন প্রতিরক্ষা প্রাচীর হবে এই খাল। অর্থাৎ এটি তুরস্কের একবিংশ শতাব্দীর নতুন সামরিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পরিকল্পিত লাইন অফ ডিফেন্সের একটি অংশ।
ইস্তাম্বুলকে পশ্চিম দিক থেকে আসা, বিশেষ করে গ্রীস বা ইউরোপের হুমকি থেকে বাঁচানোর প্ল্যানের অংশ হিসেবে এই প্রকল্প হাতে নিয়ে থাকতে পারেন এরদোগান।
আর এ কারণেই এটি যদি একটি প্রতিরক্ষা কৌশলের অংশ হয় তাহলে এখান থেকে অর্থনৈতিক লাভ করাটা মুখ্য বিষয় নয়। যেমন সমরাস্ত্র তৈরির কোনো প্রকল্প হাতে নিলে তাতে আর্থিক লাভ ক্ষতির চেয়ে দেশের নিরাপত্তাকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। এজন্যই হয়তো বিভিন্ন অজুহাতে পশ্চিমা দেশগুলো এর বিরোধিতা করে থাকতে পারে।