কাসেম সোলাইমানি হত্যায় জড়িত ২ কমান্ডার নিহতের দাবি
যুগান্তর ডেস্ক
২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫:৩৫:৩৪ | অনলাইন সংস্করণ
ইরানের কুদস বাহিনীর সাবেক প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও ইরাকের হাশদ আশ-শাবির উপ প্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসের হত্যায় জড়িত দুই কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে।
ইরাকের উত্তরাঞ্চলের এরবিলে প্রতিরোধ যোদ্ধারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের দুই কমান্ডারকে হত্যা করে বলে সূত্রের বরাতে ইরানের প্রেসটিভি জানিয়েছে। তবে আমেরিকা ও ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, এসব কমান্ডার কয়েকদিনের ব্যবধানে আলাদা দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম দি ক্র্যাডেলের বরাতে খবরে বলা হয়, জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও আল-মুহান্দিসের হত্যার প্রতিশোধ নিতে প্রতিরোধ যোদ্ধারা অভিযান চালায়।
এতে মার্কিন সেনাবাহিনীর রেড হর্স ইউনিটের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল জেমস সি. উইলিস (৫৫) এবং ইসরাইলের নাহাল ব্রিগেডের কর্মকর্তা কর্নেল শ্যারন অ্যাজম্যান (৪২) নিহত হন।
এদিকে পেন্টাগন দাবি করেছে, গত ২৭ জুন কাতারের আল-উদেইদ ঘাঁটিতে যুদ্ধ-বহির্ভূত ঘটনায় উইলিস মারা গেছেন। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানায় নি পেন্টাগন।
অন্যদিকে ইসরাইলের মধ্যাঞ্চলে ফিটনেস প্রশিক্ষণের সময় গত ১ জুলাই কর্নেল অ্যাজম্যান মারা গেছেন বলে দাবি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
তবে এসব রিপোর্ট নাকচ করে নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে দ্যি ক্র্যাডেল বলছে, উইলিস ও অ্যাজম্যান দুজনই ইরাকের এরবিলে নিহত হয়েছেন। তবে হত্যাকাণ্ডের সুনির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করেনি তারা।
২০২০ সালের একবারে শুরুতে ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে জেনারেল সোলাইমানিকে বহনকারী গাড়ির ওপর ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করে মার্কিন সেনারা।
হামলায় ইরাকের স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী হাশদ আশ-শাবির উপ প্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ দুই দেশের আরও ৮ কমান্ডার শহীদ হন। এই হত্যাকাণ্ড বিশ্বব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি করে। নিন্দার ঝড় উঠে সর্বত্র।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
কাসেম সোলাইমানি হত্যায় জড়িত ২ কমান্ডার নিহতের দাবি
ইরানের কুদস বাহিনীর সাবেক প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও ইরাকের হাশদ আশ-শাবির উপ প্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসের হত্যায় জড়িত দুই কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে।
ইরাকের উত্তরাঞ্চলের এরবিলে প্রতিরোধ যোদ্ধারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের দুই কমান্ডারকে হত্যা করে বলে সূত্রের বরাতে ইরানের প্রেসটিভি জানিয়েছে। তবে আমেরিকা ও ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, এসব কমান্ডার কয়েকদিনের ব্যবধানে আলাদা দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম দি ক্র্যাডেলের বরাতে খবরে বলা হয়, জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও আল-মুহান্দিসের হত্যার প্রতিশোধ নিতে প্রতিরোধ যোদ্ধারা অভিযান চালায়।
এতে মার্কিন সেনাবাহিনীর রেড হর্স ইউনিটের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল জেমস সি. উইলিস (৫৫) এবং ইসরাইলের নাহাল ব্রিগেডের কর্মকর্তা কর্নেল শ্যারন অ্যাজম্যান (৪২) নিহত হন।
এদিকে পেন্টাগন দাবি করেছে, গত ২৭ জুন কাতারের আল-উদেইদ ঘাঁটিতে যুদ্ধ-বহির্ভূত ঘটনায় উইলিস মারা গেছেন। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানায় নি পেন্টাগন।
অন্যদিকে ইসরাইলের মধ্যাঞ্চলে ফিটনেস প্রশিক্ষণের সময় গত ১ জুলাই কর্নেল অ্যাজম্যান মারা গেছেন বলে দাবি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
তবে এসব রিপোর্ট নাকচ করে নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে দ্যি ক্র্যাডেল বলছে, উইলিস ও অ্যাজম্যান দুজনই ইরাকের এরবিলে নিহত হয়েছেন। তবে হত্যাকাণ্ডের সুনির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করেনি তারা।
২০২০ সালের একবারে শুরুতে ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে জেনারেল সোলাইমানিকে বহনকারী গাড়ির ওপর ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করে মার্কিন সেনারা।
হামলায় ইরাকের স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী হাশদ আশ-শাবির উপ প্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ দুই দেশের আরও ৮ কমান্ডার শহীদ হন। এই হত্যাকাণ্ড বিশ্বব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি করে। নিন্দার ঝড় উঠে সর্বত্র।