যুক্তরাষ্ট্রসহ ১০ দেশের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের প্রক্রিয়া শুরু তুরস্কের
অনলাইন ডেস্ক
২৪ অক্টোবর ২০২১, ১৪:০৭:২৬ | অনলাইন সংস্করণ
যুক্তরাষ্ট্রসহ ১০ পশ্চিমা দেশের রাষ্ট্রদূতকে দেশ থেকে বহিষ্কারের প্রক্রিয়া শুরু করেছে তুরস্ক।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান শনিবারই ওই ১০ রাষ্ট্রদূতের পারসনা নন গ্রাটা (কূটনৈতিক দায়মুক্তি প্রত্যাহার) করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন।
এরদোগান বলেন, আমি আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ এবং কী করতে হবে তা বলে দিয়েছি। ওই ১০ রাষ্ট্রদূতকে এখনই তুরস্কে পারসনা নন গ্রাটা ঘোষণা করতে হবে। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর এসকেসেহিরে এক বক্তৃতায় শনিবার এ নির্দেশ দেন এরদোগান। খবর মিডলইস্ট আইয়ের।
এরদোগান যে ১০ দেশের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করতে বলেছেন, তার সাতটিই তুরস্কের ন্যাটো জোটের মিত্র।
২০১৩ সালে তুরস্কে দেশব্যাপী বিক্ষোভে অর্থায়ন এবং ২০১৬ সালে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে ওসমান কাভালা ২০১৭ সাল থেকে কারাগারে রয়েছেন। যদিও কাভালা এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন এবং তিনি এখনও দোষী সাব্যস্ত হননি।
গত ১৮ অক্টোবর এক যৌথ বিবৃতিতে, আমেরিকা, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতরা ওসমান কাভালার মামলার একটি ন্যায়সঙ্গত ও দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানান।
তারা কাভালার অবিলম্বে মুক্তির আহ্বানও জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই রাষ্ট্রদূতদের তলব করে তাদের বিবৃতিকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে অভিহিত করে এবং অসন্তোষ জানায়।
আঙ্কারা শেষ পর্যন্ত সত্যি সত্যি এ রাষ্ট্রদূতদের বহিষ্কার করলে, এরদোগানের ক্ষমতায় থাকা ১৯ বছরের মধ্যে পশ্চিমের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কের ফাটল এবারই সবচেয়ে বড় আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এরদোগান বলেন, তাদের তুরস্ককে জানা ও বোঝা উচিত, যেদিন তারা তা পারবে না, সেদিন তাদের চলে যাওয়া উচিত।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
যুক্তরাষ্ট্রসহ ১০ দেশের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের প্রক্রিয়া শুরু তুরস্কের
যুক্তরাষ্ট্রসহ ১০ পশ্চিমা দেশের রাষ্ট্রদূতকে দেশ থেকে বহিষ্কারের প্রক্রিয়া শুরু করেছে তুরস্ক।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান শনিবারই ওই ১০ রাষ্ট্রদূতের পারসনা নন গ্রাটা (কূটনৈতিক দায়মুক্তি প্রত্যাহার) করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন।
এরদোগান বলেন, আমি আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ এবং কী করতে হবে তা বলে দিয়েছি। ওই ১০ রাষ্ট্রদূতকে এখনই তুরস্কে পারসনা নন গ্রাটা ঘোষণা করতে হবে। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর এসকেসেহিরে এক বক্তৃতায় শনিবার এ নির্দেশ দেন এরদোগান। খবর মিডলইস্ট আইয়ের।
এরদোগান যে ১০ দেশের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করতে বলেছেন, তার সাতটিই তুরস্কের ন্যাটো জোটের মিত্র।
২০১৩ সালে তুরস্কে দেশব্যাপী বিক্ষোভে অর্থায়ন এবং ২০১৬ সালে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে ওসমান কাভালা ২০১৭ সাল থেকে কারাগারে রয়েছেন। যদিও কাভালা এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন এবং তিনি এখনও দোষী সাব্যস্ত হননি।
গত ১৮ অক্টোবর এক যৌথ বিবৃতিতে, আমেরিকা, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতরা ওসমান কাভালার মামলার একটি ন্যায়সঙ্গত ও দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানান।
তারা কাভালার অবিলম্বে মুক্তির আহ্বানও জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই রাষ্ট্রদূতদের তলব করে তাদের বিবৃতিকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে অভিহিত করে এবং অসন্তোষ জানায়।
আঙ্কারা শেষ পর্যন্ত সত্যি সত্যি এ রাষ্ট্রদূতদের বহিষ্কার করলে, এরদোগানের ক্ষমতায় থাকা ১৯ বছরের মধ্যে পশ্চিমের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কের ফাটল এবারই সবচেয়ে বড় আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এরদোগান বলেন, তাদের তুরস্ককে জানা ও বোঝা উচিত, যেদিন তারা তা পারবে না, সেদিন তাদের চলে যাওয়া উচিত।