ইরানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির নতুন আইনে ঝুঁকিতে নারীরা: এইচআরডব্লিউ
অনলাইন ডেস্ক
১৩ নভেম্বর ২০২১, ১১:০৩:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ
ইরানে জন্মহার বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রণীত নতুন আইন নারীদের প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ খর্ব করে তাদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে বলে সতর্ক করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।
চলতি মাসের শেষের দিকে বিলটি আইনে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ওই আইনের আওতায়, গর্ভকালীন একজন নারীর স্বাস্থ্য হুমকির মুখে থাকলে, শিশুসহ পরিবারের অন্যান্যদের জন্য বিভিন্ন অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান এবং জনস্বাস্থ্য পরিচর্যা ব্যবস্থায় বন্ধ্যাকরণ এবং বিনামূল্যে গর্ভনিরোধক সামগ্রী বিতরণের ব্যবস্থা থাকবে। খবর ভয়েস অব আমেরিকার।
এইচআরডব্লিউয়ের ইরান বিষয়ক সিনিয়র গবেষক তারা সেপেহরি ফার বলেছেন, ইরানি আইনপ্রণেতারা দেশটির জন্য অধিক গুরুতর সমস্যাগুলো এড়িয়ে যাচ্ছেন। উপরন্তু, এর পরিবর্তে নারীদের মৌলিক অধিকারের ওপর ছড়ি ঘুরাচ্ছেন।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি সংক্রান্ত আইন স্পষ্টভাবে দেশের অর্ধেক জনসংখ্যার অধিকার, মর্যাদা এবং স্বাস্থ্যকে ক্ষুণ্ন করবে। পাশাপাশি তাদের প্রয়োজনীয় প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা এবং তথ্যের অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে।
গত এক দশকে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা খাতে নারীদের প্রবেশাধিকার সীমিত করে জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্য ইরান জনসংখ্যা নীতিকে পরিবার পরিকল্পনা এবং গর্ভনিরোধক অধিকার প্রদান থেকে বঞ্চিত করেছে।
এইচআরডব্লিউ বলছে, নতুন আইনের বেশ কয়েকটি নিবন্ধ নিরাপদ গর্ভপাতের সুযোগকে আরও সংকুচিত করেছে।
বর্তমানে, গর্ভাবস্থার প্রথম চার মাসে বৈধভাবে গর্ভপাত করা যাবে, যদি তিনজন ডাক্তার সম্মত হন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ইরানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির নতুন আইনে ঝুঁকিতে নারীরা: এইচআরডব্লিউ
ইরানে জন্মহার বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রণীত নতুন আইন নারীদের প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ খর্ব করে তাদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে বলে সতর্ক করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।
চলতি মাসের শেষের দিকে বিলটি আইনে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ওই আইনের আওতায়, গর্ভকালীন একজন নারীর স্বাস্থ্য হুমকির মুখে থাকলে, শিশুসহ পরিবারের অন্যান্যদের জন্য বিভিন্ন অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান এবং জনস্বাস্থ্য পরিচর্যা ব্যবস্থায় বন্ধ্যাকরণ এবং বিনামূল্যে গর্ভনিরোধক সামগ্রী বিতরণের ব্যবস্থা থাকবে। খবর ভয়েস অব আমেরিকার।
এইচআরডব্লিউয়ের ইরান বিষয়ক সিনিয়র গবেষক তারা সেপেহরি ফার বলেছেন, ইরানি আইনপ্রণেতারা দেশটির জন্য অধিক গুরুতর সমস্যাগুলো এড়িয়ে যাচ্ছেন। উপরন্তু, এর পরিবর্তে নারীদের মৌলিক অধিকারের ওপর ছড়ি ঘুরাচ্ছেন।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি সংক্রান্ত আইন স্পষ্টভাবে দেশের অর্ধেক জনসংখ্যার অধিকার, মর্যাদা এবং স্বাস্থ্যকে ক্ষুণ্ন করবে। পাশাপাশি তাদের প্রয়োজনীয় প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা এবং তথ্যের অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে।
গত এক দশকে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা খাতে নারীদের প্রবেশাধিকার সীমিত করে জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্য ইরান জনসংখ্যা নীতিকে পরিবার পরিকল্পনা এবং গর্ভনিরোধক অধিকার প্রদান থেকে বঞ্চিত করেছে।
এইচআরডব্লিউ বলছে, নতুন আইনের বেশ কয়েকটি নিবন্ধ নিরাপদ গর্ভপাতের সুযোগকে আরও সংকুচিত করেছে।
বর্তমানে, গর্ভাবস্থার প্রথম চার মাসে বৈধভাবে গর্ভপাত করা যাবে, যদি তিনজন ডাক্তার সম্মত হন।