যুদ্ধের থেকে বেশি মানুষ মারা যাবে আফগানিস্তানে যদি...
jugantor
যুদ্ধের থেকে বেশি মানুষ মারা যাবে আফগানিস্তানে যদি...

  অনলাইন ডেস্ক  

০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭:৪৮:৪২  |  অনলাইন সংস্করণ

চলমান আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকলে আফগানিস্তানের শীতকালে (ডিসেম্বর থেকে মার্চ)দশ লাখ মানুষ মারা যেতে পারে। আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপ (আইসিজি) এই হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

গ্রুপটি বলছে, চলমান সংকট এবং অনাহারে আফগানিস্তানে দুই দশকের যুদ্ধের চেয়ে বেশি মৃত্যু হতে পারে। তাদের সুপারিশ, দুর্ভিক্ষ এড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে এবং নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে।

গত ১৫ আগস্ট তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর দেশটিতে আন্তর্জাতিক সহায়তা স্থগিত করা হয়েছে। আফগানিস্তানেতীব্র খাদ্য ও মানবিক সংকট চলছে। সরকারি কর্মচারীদের বেতন নেই। মৌলিক সেবা প্রদান করা হচ্ছে না এবং আর্থিক খাত পঙ্গু হয়ে গেছে।

আইসিজিরপ্রতিবেদনে আফগানিস্তানের এই অবস্থার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রকৃত অপরাধী বলে সমালোচনা করা হয়েছে। কারণ তারা বিদেশী নির্ভরএকটিসরকার তৈরি করেছিল। এখন আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সহায়তা প্রত্যাহারের পর দেশটি ধ্বংসের কিনারেদাঁড়িয়েছে।

তবে প্রতিবেদনে পরিস্থিতির জন্য তালেবানকেও দায়ী করা হয়েছে। প্রতিবেদনেবলা হয়েছে, আফগানিস্তানের বর্তমান ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী আধুনিক অর্থনীতি পরিচালনা করতে পারে না। এছাড়া অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন না করতে পারা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে তালেবানের সমালোচনা করেছে সংস্থাটি।

বিশ্লেষকদের বরাতে আইসিজি বলছে, পশ্চিমারা চায় তালেবান ব্যর্থ হোক। সহিংসভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করায় তারা সহায়তা বন্ধ করে তালেবানকে শাস্তি দিতে চায়। তবে প্রকৃত অর্থে আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষ এর ভুক্তভোগী হচ্ছে।

যুদ্ধের থেকে বেশি মানুষ মারা যাবে আফগানিস্তানে যদি...

 অনলাইন ডেস্ক 
০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ০৫:৪৮ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ

চলমান আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকলে আফগানিস্তানের শীতকালে (ডিসেম্বর থেকে মার্চ) দশ লাখ মানুষ মারা যেতে পারে। আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপ (আইসিজি) এই হুঁশিয়ারি দিয়েছে। 

গ্রুপটি বলছে, চলমান সংকট এবং অনাহারে আফগানিস্তানে দুই দশকের যুদ্ধের চেয়ে বেশি মৃত্যু হতে পারে। তাদের সুপারিশ, দুর্ভিক্ষ এড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে এবং নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে। 

গত ১৫ আগস্ট তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর দেশটিতে আন্তর্জাতিক সহায়তা স্থগিত করা হয়েছে। আফগানিস্তানে তীব্র খাদ্য ও মানবিক সংকট চলছে। সরকারি কর্মচারীদের বেতন নেই। মৌলিক সেবা প্রদান করা হচ্ছে না এবং আর্থিক খাত পঙ্গু হয়ে গেছে।

আইসিজির প্রতিবেদনে আফগানিস্তানের এই অবস্থার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রকৃত অপরাধী বলে সমালোচনা করা হয়েছে।  কারণ তারা বিদেশী নির্ভর একটি সরকার তৈরি করেছিল। এখন আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সহায়তা প্রত্যাহারের পর দেশটি ধ্বংসের কিনারে দাঁড়িয়েছে।

তবে প্রতিবেদনে পরিস্থিতির জন্য তালেবানকেও দায়ী করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের বর্তমান ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী আধুনিক অর্থনীতি পরিচালনা করতে পারে না। এছাড়া অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন না করতে পারা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে তালেবানের সমালোচনা করেছে সংস্থাটি।  

বিশ্লেষকদের বরাতে আইসিজি বলছে, পশ্চিমারা চায় তালেবান ব্যর্থ হোক। সহিংসভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করায় তারা সহায়তা বন্ধ করে তালেবানকে শাস্তি দিতে চায়। তবে প্রকৃত অর্থে আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষ এর ভুক্তভোগী হচ্ছে।        

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন