ডায়মন্ড চুরির ঘটনা ভুলে এক হচ্ছে সৌদি-থাইল্যান্ড
অনলাইন ডেস্ক
২৫ জানুয়ারি ২০২২, ২২:১৪:৪৪ | অনলাইন সংস্করণ
সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে হয়েছে বৈঠকটি।
মোহাম্মদ বিন সালমানের আমন্ত্রণে সৌদি সফরে যান থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ৩০ বছর পর থাইল্যান্ডের সরকারি পর্যায়ের কেউ সৌদি সফর করলেন।
এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে সৌদি আরবে কোনো রাষ্ট্রীয় সফরে না যাওয়ার কারণ হলো একটি নীল ডায়মন্ড।
১৯৮৯ সালে প্রিন্স ফয়সাল বিন ফাহাদের প্রাসাদ থেকে ৯১ কেজি স্বর্ণালঙ্কার চুরি করেন তেকামোং নামের একজন থাই কর্মী। এর মধ্যে ছিল ৫০ ক্যারেটের একটি নীল ডায়মন্ডও।
তেকামোং ভ্যাকুয়াম ক্লিনারে স্বর্ণগুলো ভরে সেগুলো থাইল্যান্ডে পাচার করে দেন। সৌদি আরব বিষয়টি জানতে পেরে থাই সরকারের প্রতি কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আহ্বান জানায়।
সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে থাইল্যান্ড তেকামোংকে আটক করে বেশিরভাগ স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধারও করে। কিন্তু সৌদি দাবি করে, থাইল্যান্ডের সরকারি কর্মকর্তারা আসল স্বর্ণালঙ্কার সরিয়ে নকল স্বর্ণালঙ্কার সৌদির কাছে পাঠিয়েছে। এছাড়া মহামূল্যবান নীল ডায়মন্ডটি ছিল না। এতেই ক্ষেপে যায় মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষমতাশালী দেশটি।
এরপর ঘটনাটি তদন্ত করতে থাইল্যান্ডে যান সৌদির রাষ্ট্রীয় পরিবারের কাছের লোক মোহাম্মদ আল-রুয়াইলি। কিন্তু থাইল্যান্ডে তাকে হত্যা করা হয়। এই ঘটনাগুলোর পর সৌদি ও থাইল্যান্ডের মধ্যে থাকা সম্পর্কে ফাটল ধরে।
তবে অবশেষে সৌদির সঙ্গে নতুন করে আবার সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী থাইল্যান্ড। আর এ কারণে দেশটির প্রধানমন্ত্রী রিয়াদ সফরে গেলেন। সৌদিও সেই স্বর্ণালঙ্কার ও নীল ডায়মন্ডের কথা ভুলে গিয়ে থাইল্যান্ডের সঙ্গে নতুন করে এক হচ্ছে।
সূত্র: আল আরাবিয়া
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ডায়মন্ড চুরির ঘটনা ভুলে এক হচ্ছে সৌদি-থাইল্যান্ড
সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে হয়েছে বৈঠকটি।
মোহাম্মদ বিন সালমানের আমন্ত্রণে সৌদি সফরে যান থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ৩০ বছর পর থাইল্যান্ডের সরকারি পর্যায়ের কেউ সৌদি সফর করলেন।
এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে সৌদি আরবে কোনো রাষ্ট্রীয় সফরে না যাওয়ার কারণ হলো একটি নীল ডায়মন্ড।
১৯৮৯ সালে প্রিন্স ফয়সাল বিন ফাহাদের প্রাসাদ থেকে ৯১ কেজি স্বর্ণালঙ্কার চুরি করেন তেকামোং নামের একজন থাই কর্মী। এর মধ্যে ছিল ৫০ ক্যারেটের একটি নীল ডায়মন্ডও।
তেকামোং ভ্যাকুয়াম ক্লিনারে স্বর্ণগুলো ভরে সেগুলো থাইল্যান্ডে পাচার করে দেন। সৌদি আরব বিষয়টি জানতে পেরে থাই সরকারের প্রতি কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আহ্বান জানায়।
সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে থাইল্যান্ড তেকামোংকে আটক করে বেশিরভাগ স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধারও করে। কিন্তু সৌদি দাবি করে, থাইল্যান্ডের সরকারি কর্মকর্তারা আসল স্বর্ণালঙ্কার সরিয়ে নকল স্বর্ণালঙ্কার সৌদির কাছে পাঠিয়েছে। এছাড়া মহামূল্যবান নীল ডায়মন্ডটি ছিল না। এতেই ক্ষেপে যায় মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষমতাশালী দেশটি।
এরপর ঘটনাটি তদন্ত করতে থাইল্যান্ডে যান সৌদির রাষ্ট্রীয় পরিবারের কাছের লোক মোহাম্মদ আল-রুয়াইলি। কিন্তু থাইল্যান্ডে তাকে হত্যা করা হয়। এই ঘটনাগুলোর পর সৌদি ও থাইল্যান্ডের মধ্যে থাকা সম্পর্কে ফাটল ধরে।
তবে অবশেষে সৌদির সঙ্গে নতুন করে আবার সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী থাইল্যান্ড। আর এ কারণে দেশটির প্রধানমন্ত্রী রিয়াদ সফরে গেলেন। সৌদিও সেই স্বর্ণালঙ্কার ও নীল ডায়মন্ডের কথা ভুলে গিয়ে থাইল্যান্ডের সঙ্গে নতুন করে এক হচ্ছে।
সূত্র: আল আরাবিয়া