কাদা-পানির স্রোতে উল্টে গেল দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন (ভিডিও)
যুগান্তর ডেস্ক
১৭ মে ২০২২, ১৯:১৬:১১ | অনলাইন সংস্করণ
আসামে বন্যার মধ্যে পানির স্রোতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেনের অনেকগুলো বগির উল্টে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে অনলাইনে।
মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে খেলনার মতো একের পর এক বগি উল্টানোর চিত্রই সেখানকার বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহতা বোঝাচ্ছে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।
বন্যার কারণে ১৫ মে থেকে হাফলংয়ের সঙ্গে সড়ক, রেল যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। ডিমা হাসাওয়ের অবস্থা আরও ভয়াবহ। বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো অবস্থা এই জেলার। বন্যার কারণে ডিমা হাসাওয়ের লামডিং-বদরপুর ট্রেন শাখা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে দক্ষিণ আসাম, মণিপুর, মিজোরাম এবং ত্রিপুরার রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে, মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে গোটা হাফলং স্টেশন গ্রাস করে ফেলল কাদা-পানির স্রোত। পুরো চেহারাই যেন বদলে গেল স্টেশনের। কোথায় স্টেশন! যেদিকে চোখ যায় কেবল ঘোলা পানি।
চারদিকে ঘোলা বানের পানি; সেই সঙ্গে চলছে অঝোরে বৃষ্টি। তার মধ্যেই গাছ, কাঠ, ধ্বংসস্তূপ ঠেলে নিয়ে স্টেশনেই দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেনের উপর আছড়ে পড়ল সেই স্রোত, খেলনার মতো একের পর এক বগি উল্টে দিল।
আসাম রাজ্য সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, হোজাইয়ে মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন ৭৯ হাজার মানুষ। অন্য দিকে, কাছাড়ে বন্যা উপদ্রুত মানুষের সংখ্যা ৫২ হাজার।
এছাড়া রাজ্যের ২০ জেলার ৬৫২ টি গ্রামে বন্যা উপদ্রুত মানুষের সংখ্যা ২ লাখেরও বেশি। বানের পানিতে তলিয়ে গেছে রাজ্যের প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর জমির ফসল।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
কাদা-পানির স্রোতে উল্টে গেল দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন (ভিডিও)
আসামে বন্যার মধ্যে পানির স্রোতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেনের অনেকগুলো বগির উল্টে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে অনলাইনে।
মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে খেলনার মতো একের পর এক বগি উল্টানোর চিত্রই সেখানকার বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহতা বোঝাচ্ছে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।
বন্যার কারণে ১৫ মে থেকে হাফলংয়ের সঙ্গে সড়ক, রেল যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। ডিমা হাসাওয়ের অবস্থা আরও ভয়াবহ। বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো অবস্থা এই জেলার। বন্যার কারণে ডিমা হাসাওয়ের লামডিং-বদরপুর ট্রেন শাখা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে দক্ষিণ আসাম, মণিপুর, মিজোরাম এবং ত্রিপুরার রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে, মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে গোটা হাফলং স্টেশন গ্রাস করে ফেলল কাদা-পানির স্রোত। পুরো চেহারাই যেন বদলে গেল স্টেশনের। কোথায় স্টেশন! যেদিকে চোখ যায় কেবল ঘোলা পানি।
চারদিকে ঘোলা বানের পানি; সেই সঙ্গে চলছে অঝোরে বৃষ্টি। তার মধ্যেই গাছ, কাঠ, ধ্বংসস্তূপ ঠেলে নিয়ে স্টেশনেই দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেনের উপর আছড়ে পড়ল সেই স্রোত, খেলনার মতো একের পর এক বগি উল্টে দিল।
আসাম রাজ্য সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, হোজাইয়ে মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন ৭৯ হাজার মানুষ। অন্য দিকে, কাছাড়ে বন্যা উপদ্রুত মানুষের সংখ্যা ৫২ হাজার।
এছাড়া রাজ্যের ২০ জেলার ৬৫২ টি গ্রামে বন্যা উপদ্রুত মানুষের সংখ্যা ২ লাখেরও বেশি। বানের পানিতে তলিয়ে গেছে রাজ্যের প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর জমির ফসল।