মা-বাবাকে না জানিয়ে হাসপাতালে যাওয়াই কাল হলো অভিনেত্রীর
যুগান্তর ডেস্ক
১৭ মে ২০২২, ২০:২৬:১০ | অনলাইন সংস্করণ
প্লাস্টিক সার্জারি করাতে গিয়ে মৃত্যু হল ভারতীয় টিভি অভিনেত্রী চেতনা রাজের। সোমবার সন্ধ্যায় বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে মাত্র ২১ বছর বয়সেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন এ অভিনেত্রী।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, পরিবারকে না জানিয়ে এদিন সকালে চর্বি কমানোর অস্ত্রোপচারের জন্য বেঙ্গালুরুর শেঠি কসমেটিক হাসপাতালে ভর্তি হন চেতনা। এরপর অস্ত্রোপচারের সময় তার ফুসফুসে পানি জমে যায় এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে। বিকাল ৪টা পর্যন্ত চিকিৎসকরা সব চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারেনি।
বেঙ্গালুরুতেই চেতনার বড় হয়ে ওঠা। কলেজের পড়াশোনা এখনও শেষ করতে পারেননি তিনি। মডেলিং জগতে পা রাখার পর বিভিন্ন দক্ষিণী টিভি ধারাবাহিকে অভিনয় করার সুযোগ পান চেতনা।
‘গীতা’, ‘দোরেসানি’, ‘ওলাভিনা নিলদানা’ নামে কন্নড় ধারাবাহিকে অভিনয় করে সুনাম অর্জন করছিলেন তিনি। এ ছাড়াও, কন্নড় সিনেমা ‘হাভাইয়ামি’তেও অভিনয় করেন চেতনা।
অভিনয়ে সুনাম করার সঙ্গে স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে পড়েন তিনি। হঠাৎ মেদ ঝরানোর শখ জাগে তার। ঘনিষ্ঠজনদের বক্তব্য, সেই শখ ক্রমে মারাত্মক আকার নেয়। এ কারণে সোমবারই প্লাস্টিক সার্জারি করানোর সিদ্ধান্ত নেন কন্নড় নায়িকা।
মেদ কমানোর অস্ত্রোপচারের জন্য বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে ভর্তিও হন তিনি। তবে চিকিৎসকদের জানিয়েছিলেন, তারা যেন কোনোভাবেই চেতনার পরিবারকে প্লাস্টিক সার্জারির বিষয়ে না জানান।
মা-বাবার কাছ থেকে লুকিয়েই অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পর নায়িকার ফুসফুসে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে।
হাসপাতাল সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, ফুসফুসের ভেতর পানি জমতে শুরু করে চেতনার। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালের কর্মীরা তাঁকে বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। ওই অবস্থাতেও হাসপাতালের চিকিৎসকদের চেতনা নির্দেশ দেন, তার অসুস্থতা সম্পর্কে যেন বাইরের কেউ কিছু জানতে না পারে।
চেতনা বলেছিলেন, কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করলে যেন বলা হয়, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। চিকিৎসকরা প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে বুকে পাম্প করা সত্ত্বেও বাঁচাতে পারেননি চেতনাকে।
চেতনার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর তার বাবা-মা ওই হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
মা-বাবাকে না জানিয়ে হাসপাতালে যাওয়াই কাল হলো অভিনেত্রীর
প্লাস্টিক সার্জারি করাতে গিয়ে মৃত্যু হল ভারতীয় টিভি অভিনেত্রী চেতনা রাজের। সোমবার সন্ধ্যায় বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে মাত্র ২১ বছর বয়সেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন এ অভিনেত্রী।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, পরিবারকে না জানিয়ে এদিন সকালে চর্বি কমানোর অস্ত্রোপচারের জন্য বেঙ্গালুরুর শেঠি কসমেটিক হাসপাতালে ভর্তি হন চেতনা। এরপর অস্ত্রোপচারের সময় তার ফুসফুসে পানি জমে যায় এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে। বিকাল ৪টা পর্যন্ত চিকিৎসকরা সব চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারেনি।
বেঙ্গালুরুতেই চেতনার বড় হয়ে ওঠা। কলেজের পড়াশোনা এখনও শেষ করতে পারেননি তিনি। মডেলিং জগতে পা রাখার পর বিভিন্ন দক্ষিণী টিভি ধারাবাহিকে অভিনয় করার সুযোগ পান চেতনা।
‘গীতা’, ‘দোরেসানি’, ‘ওলাভিনা নিলদানা’ নামে কন্নড় ধারাবাহিকে অভিনয় করে সুনাম অর্জন করছিলেন তিনি। এ ছাড়াও, কন্নড় সিনেমা ‘হাভাইয়ামি’তেও অভিনয় করেন চেতনা।
অভিনয়ে সুনাম করার সঙ্গে স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে পড়েন তিনি। হঠাৎ মেদ ঝরানোর শখ জাগে তার। ঘনিষ্ঠজনদের বক্তব্য, সেই শখ ক্রমে মারাত্মক আকার নেয়। এ কারণে সোমবারই প্লাস্টিক সার্জারি করানোর সিদ্ধান্ত নেন কন্নড় নায়িকা।
মেদ কমানোর অস্ত্রোপচারের জন্য বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে ভর্তিও হন তিনি। তবে চিকিৎসকদের জানিয়েছিলেন, তারা যেন কোনোভাবেই চেতনার পরিবারকে প্লাস্টিক সার্জারির বিষয়ে না জানান।
মা-বাবার কাছ থেকে লুকিয়েই অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পর নায়িকার ফুসফুসে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে।
হাসপাতাল সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, ফুসফুসের ভেতর পানি জমতে শুরু করে চেতনার। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালের কর্মীরা তাঁকে বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। ওই অবস্থাতেও হাসপাতালের চিকিৎসকদের চেতনা নির্দেশ দেন, তার অসুস্থতা সম্পর্কে যেন বাইরের কেউ কিছু জানতে না পারে।
চেতনা বলেছিলেন, কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করলে যেন বলা হয়, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। চিকিৎসকরা প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে বুকে পাম্প করা সত্ত্বেও বাঁচাতে পারেননি চেতনাকে।
চেতনার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর তার বাবা-মা ওই হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।