আলোচিত শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডে অবশেষে মুক্তি পেলেন মা ইন্দ্রাণী
যুগান্তর ডেস্ক
২০ মে ২০২২, ২১:৩৬:০১ | অনলাইন সংস্করণ
আলোচিত শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডে শুক্রবার জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন মূল অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়।
শুক্রবার ভারতের মুম্বাইয়ের বাইকুল্লা মহিলা কারাগার থেকে ছাড়া পান ইন্দ্রাণী।
কারাগার থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমি খুব খুশি। নিজের মেয়ে শিনা বোরাকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার ইন্দ্রাণী প্রায় সাত বছর পর জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
এর আগে তার জামিনের আবেদন বহুবার খারিজ হয়ে যায় আদালতে। গত বুধবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় এই ঘটনায় ছয় বছর হেফাজতে কাটিয়েছেন।
তবে ইন্দ্রাণী মুক্তি পেলেও এই মামলার বিচার শীগগিরই শেষ হবে না বলে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে। এই মামলায় অপর অভিযুক্ত পিটার মুখোপাধ্যায় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জামিন পেয়েছিলেন। সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত ইন্দ্রানিকে জামিন দিয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের এপ্রিলের কোন এক সময় খুন করা হয় ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে শিনা বোরাকে (২৪)। তবে তিন বছর পর ২০১৫ সালের ২১ আগস্ট ইন্দ্রাণীর সাবেক ড্রাইভার শ্যামবর রাই গ্রেফতারের পর আলোচিত এই ঘটনাটি সামনে আসে। সেই সময়ই ইন্দ্রাণীকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, গুয়াহাটিতে নানা-নানির কাছে থাকতেন শিনা ও তার ভাই মিখাইল। শিনা-মিখাইল ইন্দ্রাণীর আগের পক্ষের সন্তান। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব পিটার মুখোপাধ্যায়কে মুম্বাইয়ে বিয়ে করেছিলেন ইন্দ্রাণী।
ঘটনার তদন্তে উঠে আসে বর্তমান স্বামী পিটার মুখোপাধ্যায় ও সাবেক স্বামী সঞ্জীব খান্নার নামও। একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসতে থাকে। কীভাবে ক্ষমতাশালী হলেন ইন্দ্রানী, পিটারের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে বিস্তর তোলপাড় চলছিল। এদিকে পিটারের সঙ্গে ইন্দ্রাণীর বিয়ের কথা জানার পর মুম্বাইয়ে গিয়েছিলেন শিনা। সেই সময় শিনাকে নিজের বোন হিসেবে পরিচয় দিতেন ইন্দ্রাণী। শিনার সঙ্গে মায়ের বর্তমান স্বামী পিটারের ছেলে রাহুলের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। এসব নিয়ে সম্পর্কের টানাপোড়েনে সাবেক স্বামী সঞ্জীব খান্নার সহায়তায় শিনাকে ইন্দ্রাণী হত্যা করেন বলে তদন্তে উঠে আসে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
আলোচিত শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডে অবশেষে মুক্তি পেলেন মা ইন্দ্রাণী
আলোচিত শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডে শুক্রবার জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন মূল অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়।
শুক্রবার ভারতের মুম্বাইয়ের বাইকুল্লা মহিলা কারাগার থেকে ছাড়া পান ইন্দ্রাণী।
কারাগার থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমি খুব খুশি। নিজের মেয়ে শিনা বোরাকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার ইন্দ্রাণী প্রায় সাত বছর পর জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
এর আগে তার জামিনের আবেদন বহুবার খারিজ হয়ে যায় আদালতে। গত বুধবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় এই ঘটনায় ছয় বছর হেফাজতে কাটিয়েছেন।
তবে ইন্দ্রাণী মুক্তি পেলেও এই মামলার বিচার শীগগিরই শেষ হবে না বলে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে। এই মামলায় অপর অভিযুক্ত পিটার মুখোপাধ্যায় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জামিন পেয়েছিলেন। সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত ইন্দ্রানিকে জামিন দিয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের এপ্রিলের কোন এক সময় খুন করা হয় ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে শিনা বোরাকে (২৪)। তবে তিন বছর পর ২০১৫ সালের ২১ আগস্ট ইন্দ্রাণীর সাবেক ড্রাইভার শ্যামবর রাই গ্রেফতারের পর আলোচিত এই ঘটনাটি সামনে আসে। সেই সময়ই ইন্দ্রাণীকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, গুয়াহাটিতে নানা-নানির কাছে থাকতেন শিনা ও তার ভাই মিখাইল। শিনা-মিখাইল ইন্দ্রাণীর আগের পক্ষের সন্তান। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব পিটার মুখোপাধ্যায়কে মুম্বাইয়ে বিয়ে করেছিলেন ইন্দ্রাণী।
ঘটনার তদন্তে উঠে আসে বর্তমান স্বামী পিটার মুখোপাধ্যায় ও সাবেক স্বামী সঞ্জীব খান্নার নামও। একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসতে থাকে। কীভাবে ক্ষমতাশালী হলেন ইন্দ্রানী, পিটারের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে বিস্তর তোলপাড় চলছিল। এদিকে পিটারের সঙ্গে ইন্দ্রাণীর বিয়ের কথা জানার পর মুম্বাইয়ে গিয়েছিলেন শিনা। সেই সময় শিনাকে নিজের বোন হিসেবে পরিচয় দিতেন ইন্দ্রাণী। শিনার সঙ্গে মায়ের বর্তমান স্বামী পিটারের ছেলে রাহুলের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। এসব নিয়ে সম্পর্কের টানাপোড়েনে সাবেক স্বামী সঞ্জীব খান্নার সহায়তায় শিনাকে ইন্দ্রাণী হত্যা করেন বলে তদন্তে উঠে আসে।