কারাগারের নির্জন সেলে নেওয়া হলো সু চিকে
মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে গৃহবন্দি অবস্থা থেকে রাজধানী নেপিদোতে অবস্থিত সেনা-নির্মিত কারাগারের নির্জন সেলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার জান্তার একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
জাও মিন তুন এক বিবৃতিতে বলেন, ফৌজদারি আইন অনুযায়ী... (অং সান সু চিকে) বুধবার থেকে কারাগারে নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছে।
গত বছর একটি অভ্যুত্থানে তার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে সু চি রাজধানী নেপিদোর একটি অজ্ঞাত স্থানে গৃহবন্দি ছিলেন। তার সঙ্গে বেশ কয়েকজন গৃহকর্মী এবং তার পোষা কুকুর ছিল বলে এ ব্যাপারে অবগত এক সূত্র জানিয়েছিল।
নোবেল বিজয়ী সু চি (৭৭) জান্তা আদালতে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার শুনানির সময় শুধু ওই বাড়ি ছেড়েছিলেন। ওই মামলায় সু চির দেড়শ বছরেরও বেশি সাজা দেওয়া হতে পারে।
সু চির আইনজীবীদের গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে। সাংবাদিকদেরও তার বিচারে চলাকালে উপস্থিত হতে দেওয়া হয় না।
এর আগে পূর্ববর্তী জান্তা শাসনের অধীনেও সু চি মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে তার পারিবারিক প্রাসাদে দীর্ঘদিন গৃহবন্দি ছিলেন।
তিনি ইতোমধ্যে দুর্নীতি, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উসকানি, কোভিড -১৯ নিয়ম লঙ্ঘন এবং একটি টেলিযোগাযোগ আইন ভঙ্গের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। আদালত তাকে এ পর্যন্ত ১১ বছরের সাজা দিয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
কারাগারের নির্জন সেলে নেওয়া হলো সু চিকে
মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে গৃহবন্দি অবস্থা থেকে রাজধানী নেপিদোতে অবস্থিত সেনা-নির্মিত কারাগারের নির্জন সেলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার জান্তার একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
জাও মিন তুন এক বিবৃতিতে বলেন, ফৌজদারি আইন অনুযায়ী... (অং সান সু চিকে) বুধবার থেকে কারাগারে নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছে।
গত বছর একটি অভ্যুত্থানে তার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে সু চি রাজধানী নেপিদোর একটি অজ্ঞাত স্থানে গৃহবন্দি ছিলেন। তার সঙ্গে বেশ কয়েকজন গৃহকর্মী এবং তার পোষা কুকুর ছিল বলে এ ব্যাপারে অবগত এক সূত্র জানিয়েছিল।
নোবেল বিজয়ী সু চি (৭৭) জান্তা আদালতে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার শুনানির সময় শুধু ওই বাড়ি ছেড়েছিলেন। ওই মামলায় সু চির দেড়শ বছরেরও বেশি সাজা দেওয়া হতে পারে।
সু চির আইনজীবীদের গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে। সাংবাদিকদেরও তার বিচারে চলাকালে উপস্থিত হতে দেওয়া হয় না।
এর আগে পূর্ববর্তী জান্তা শাসনের অধীনেও সু চি মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে তার পারিবারিক প্রাসাদে দীর্ঘদিন গৃহবন্দি ছিলেন।
তিনি ইতোমধ্যে দুর্নীতি, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উসকানি, কোভিড -১৯ নিয়ম লঙ্ঘন এবং একটি টেলিযোগাযোগ আইন ভঙ্গের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। আদালত তাকে এ পর্যন্ত ১১ বছরের সাজা দিয়েছে।