প্রকাশ্যে অস্ত্র বহনের অনুমতি পেল নিউইয়র্কের মানুষ
অনলাইন ডেস্ক
২৪ জুন ২০২২, ১২:৪৪:৫৫ | অনলাইন সংস্করণ
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে প্রকাশ্যে লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র বহনের অনুমতি দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিমকোর্ট।
এর আগে এ ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করেছিল নিউইয়র্ক স্টেট। কেবল বিশেষ প্রয়োজনে আবেদন জানিয়ে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র বহন করার নিয়ম ছিল। কিন্তু তা নাগরিকদের বন্দুক সংরক্ষণ অধিকার বিরোধী বলে মতামত দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র বহনের অনুমতি দিলেন মার্কিন সুপ্রিমকোর্ট।
তবে স্টেট আগ্নেয়াস্ত্র বহনে নিজের মতো করে কিছু বিধিবিধান রাখতে পারবে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিমকোর্ট।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন আদালতের এ রুলিংয়ের নিন্দা ও সমলোচনা করে বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত সাধারণ জ্ঞান ও সংবিধান— দুটোরই পরিপন্থী; এ সিদ্ধান্ত আমাদের সমাজকে আরও গভীর সমস্যায় ফেলবে।
আমেরিকায় সম্প্রতি যে ভয়াবহ বন্দুক সহিংসতার ঢেউ শুরু হয়েছে তা নিয়ন্ত্রণে যখন নানা পর্যায়ে ব্যাপক চেষ্টা চলছে, তখন সুপ্রিমকোর্টের এই রায় প্রকাশ হলো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ রায়ের ফলে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও বন্দুক সহিংসতা থামানোর প্রচেষ্টা হুমকির মুখে পড়ল।
এদিকে সুপ্রিমকোর্ট নিউইয়র্কে প্রকাশ্যে লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র বহনের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্তকে বেপরোয়া ও নিন্দনীয় বলে মন্তব্য করেছেন ডেমোক্র্যাট দল থেকে নির্বাচিত গভর্নর ক্যাথি হোকুল।
তিনি বলেন, বন্দুক হামলায় নিহতদের পরিবারের সদস্যদের কষ্ট ভোলার নয়। নিউইয়র্কে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র বহনের সুযোগ থাকার অর্থ হলো হঠাৎ করে যে কেউ সাবওয়ে, স্কুল কিংবা দোকানে ঢুকে পড়তে পারে, যার কারণে নিউইয়র্কারদের জীবন ঝুঁকির মুখ পড়বে।
অন্যদিকে নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেছেন, নিউইয়র্ক সিটিতে বন্দুক বহনের বিষয়ে যে নিয়ম রয়েছে, সুপ্রিমকোর্টের রুলিংয়ের কারণে তাতে কোনো পরিবর্তন হবে না।
তিনি বলেন, সুপ্রিমকোর্টের এই সিদ্ধান্তে বন্দুক হামলার ঝুঁকি থেকে সিটি ও স্টেটের বাসিন্দারা আরও বেশি অনিরাপদ হলো। নিউইয়র্কসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ বন্দুক সহিংসতার বিষয়টিকে উপেক্ষা করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিকে আমলে না নেওয়ায় মানুষের ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে পড়ল বলে মনে করেন মেয়র এরিক অ্যাডামস।
সূত্র: বিবিসি
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রকাশ্যে অস্ত্র বহনের অনুমতি পেল নিউইয়র্কের মানুষ
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে প্রকাশ্যে লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র বহনের অনুমতি দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিমকোর্ট।
এর আগে এ ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করেছিল নিউইয়র্ক স্টেট। কেবল বিশেষ প্রয়োজনে আবেদন জানিয়ে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র বহন করার নিয়ম ছিল। কিন্তু তা নাগরিকদের বন্দুক সংরক্ষণ অধিকার বিরোধী বলে মতামত দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র বহনের অনুমতি দিলেন মার্কিন সুপ্রিমকোর্ট।
তবে স্টেট আগ্নেয়াস্ত্র বহনে নিজের মতো করে কিছু বিধিবিধান রাখতে পারবে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিমকোর্ট।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন আদালতের এ রুলিংয়ের নিন্দা ও সমলোচনা করে বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত সাধারণ জ্ঞান ও সংবিধান— দুটোরই পরিপন্থী; এ সিদ্ধান্ত আমাদের সমাজকে আরও গভীর সমস্যায় ফেলবে।
আমেরিকায় সম্প্রতি যে ভয়াবহ বন্দুক সহিংসতার ঢেউ শুরু হয়েছে তা নিয়ন্ত্রণে যখন নানা পর্যায়ে ব্যাপক চেষ্টা চলছে, তখন সুপ্রিমকোর্টের এই রায় প্রকাশ হলো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ রায়ের ফলে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও বন্দুক সহিংসতা থামানোর প্রচেষ্টা হুমকির মুখে পড়ল।
এদিকে সুপ্রিমকোর্ট নিউইয়র্কে প্রকাশ্যে লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র বহনের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্তকে বেপরোয়া ও নিন্দনীয় বলে মন্তব্য করেছেন ডেমোক্র্যাট দল থেকে নির্বাচিত গভর্নর ক্যাথি হোকুল।
তিনি বলেন, বন্দুক হামলায় নিহতদের পরিবারের সদস্যদের কষ্ট ভোলার নয়। নিউইয়র্কে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র বহনের সুযোগ থাকার অর্থ হলো হঠাৎ করে যে কেউ সাবওয়ে, স্কুল কিংবা দোকানে ঢুকে পড়তে পারে, যার কারণে নিউইয়র্কারদের জীবন ঝুঁকির মুখ পড়বে।
অন্যদিকে নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেছেন, নিউইয়র্ক সিটিতে বন্দুক বহনের বিষয়ে যে নিয়ম রয়েছে, সুপ্রিমকোর্টের রুলিংয়ের কারণে তাতে কোনো পরিবর্তন হবে না।
তিনি বলেন, সুপ্রিমকোর্টের এই সিদ্ধান্তে বন্দুক হামলার ঝুঁকি থেকে সিটি ও স্টেটের বাসিন্দারা আরও বেশি অনিরাপদ হলো। নিউইয়র্কসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ বন্দুক সহিংসতার বিষয়টিকে উপেক্ষা করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিকে আমলে না নেওয়ায় মানুষের ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে পড়ল বলে মনে করেন মেয়র এরিক অ্যাডামস।
সূত্র: বিবিসি