একটি ওষুধ কিনতে লাগবে ১৯ কোটি টাকা, যোগাড় করে দিল সাধারণ মানুষ!
অনলাইন ডেস্ক
২৬ জুন ২০২২, ০৪:৫৩:২৬ | অনলাইন সংস্করণ
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ মিশরের ১ বছর ১১ মাস বয়সী রুকায়া নামের একটি শিশু ‘স্পাইনাল মাসকিউলার অ্যাট্রোফি’ নামে মেরুদন্ডের জটিল রোগে আক্রান্ত।
এ রোগ থেকে সেরে ওঠতে হলে দুই বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই তাকে একটি ইনজেকশন দিতে হবে।
শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য ডাক্তার তাকে ‘জোলগেনসমা’ নামে একটি ইনজেকশন দিতে বলেন।
তবে এটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি ওষুধ এবং ইনজেকশন। সুইজারল্যান্ডের নোভারতিস ফার্মাসিউক্যালস শুধুমাত্র এটি উৎপাদন করে।
ডলারের হিসাবে ইনজেকশনটির মূল্য ২.১ মিলিয়ন। আর বাংলাদেশী টাকার হিসেবে ১৯ কোটি টাকারও বেশি।
তবে একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে এতো টাকা দেওয়া সম্ভব না।
ফলে রুকাইয়ার বাবা সাধারণ মানুষের কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করেন। তার আবেদনে সাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে মিশরের ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসেন। তারা যোগাড় করে দেন ওষুধের ১৯ কোটি টাকা!
কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ শিশুদের জন্য তাদের সমাবর্তন বাতিল করে দেন। সমাবর্তনের টাকাগুলো রুকাইয়াকে দিয়ে দেন তারা।
সূত্র: আল আরাবিয়া
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
একটি ওষুধ কিনতে লাগবে ১৯ কোটি টাকা, যোগাড় করে দিল সাধারণ মানুষ!
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ মিশরের ১ বছর ১১ মাস বয়সী রুকায়া নামের একটি শিশু ‘স্পাইনাল মাসকিউলার অ্যাট্রোফি’ নামে মেরুদন্ডের জটিল রোগে আক্রান্ত।
এ রোগ থেকে সেরে ওঠতে হলে দুই বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই তাকে একটি ইনজেকশন দিতে হবে।
শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য ডাক্তার তাকে ‘জোলগেনসমা’ নামে একটি ইনজেকশন দিতে বলেন।
তবে এটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি ওষুধ এবং ইনজেকশন। সুইজারল্যান্ডের নোভারতিস ফার্মাসিউক্যালস শুধুমাত্র এটি উৎপাদন করে।
ডলারের হিসাবে ইনজেকশনটির মূল্য ২.১ মিলিয়ন। আর বাংলাদেশী টাকার হিসেবে ১৯ কোটি টাকারও বেশি।
তবে একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে এতো টাকা দেওয়া সম্ভব না।
ফলে রুকাইয়ার বাবা সাধারণ মানুষের কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করেন। তার আবেদনে সাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে মিশরের ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসেন। তারা যোগাড় করে দেন ওষুধের ১৯ কোটি টাকা!
কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ শিশুদের জন্য তাদের সমাবর্তন বাতিল করে দেন। সমাবর্তনের টাকাগুলো রুকাইয়াকে দিয়ে দেন তারা।
সূত্র: আল আরাবিয়া