ইউক্রেনের হাতে থাকা শেষ বড় শহরটি ঘিরে চলছে তুমুল লড়াই
অনলাইন ডেস্ক
২৭ জুন ২০২২, ১৪:৫৭:৩২ | অনলাইন সংস্করণ
ইউক্রেনে টানা চার মাসের সম্মুখ সমরে রাশিয়ার ‘অর্জনই’ যেন বেশি। মূলত পুরো ইউক্রেন ছেড়ে দেশটির পূর্বাঞ্চলেই এখন চলছে দুপক্ষের তীব্র লড়াই। এই লড়াইয়ে দিন দুয়েক আগেই পূর্ব ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় শহর সেভেরোদোনেৎস্কের দখল নিয়েছিল রাশিয়ার সামরিক বাহিনী।
আর এর পরই রুশ সেনা ও মস্কোপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধাদের নজর এখন লুহানস্ক প্রদেশে ইউক্রেনীয় সেনাদের হাতে থাকা শেষ বড় শহর লিসিচানস্কে। যোদ্ধাদের ইতোমধ্যে এই শহরের ভেতরে পাঠানো শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে রুশসমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।
সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শনিবার লুহানস্কের সেভেরোদোনেৎস্ক শহরের দখল নেওয়ার পর রাশিয়ার নজর এখন লিসিচানস্ক শহরে। এই শহরটি সেভেরোদোনেৎস্ক শহরের যমজ শহর (টুইন সিটি) নামে পরিচিত। সেভেরোদোনেৎস্ক শহরটি মূলত পূর্ব ইউক্রেনের লুহানস্ক অঞ্চলের সিভারস্কি ডোনেটস নদীর পশ্চিমতীরে অবস্থিত। আর এর পার্শ্ববর্তী ছোট শহর লিসিচানস্ক এবার দখলে নিতে পারলে মস্কো লুহানস্কের পুরোটাই দখল করতে সক্ষম হবে। মূলত লুহানস্ক হচ্ছে দোনবাসের দুটি প্রদেশের একটি, যা রাশিয়া বিচ্ছিন্নতাবাদীদের রক্ষার নামে দখলের জন্য হামলা চালাচ্ছে।
রোববার রুশ বার্তা সংস্থা তাস মস্কোপন্থি এক বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী পাঁচ দিক থেকে লিসিচানস্কে প্রবেশ করেছে এবং ইউক্রেনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে।
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ বলেছেন, রাশিয়ান বাহিনী কামান ব্যবহার করে দক্ষিণ থেকে লিসিচানস্ককে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে। তবে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা শহরে প্রবেশ করেছে কিনা সেটি উল্লেখ করেননি তিনি।
এলেনা নামে লিসিচানস্কের একজন বয়স্ক নারী নিজ এলাকা ছেড়ে বাসে করে ইউক্রেনীয়-নিয়ন্ত্রিত শহর পোকরভস্কে পৌঁছেছেন। তিনি বলেন, ‘লিসিচানস্কে গত সপ্তাহে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছিল। অবস্থা এতটাই ভয়াবহ যে, আমরা সেখানে আর অবস্থান করতে পারিনি। আমি ইতোমধ্যে আমার স্বামীকে বলেছিলাম— যদি আমি মারা যাই, দয়া করে আমাকে বাড়ির পেছনে দাফন করো।
অন্যদিকে বার্তা সংস্থা আরআইএ একজন বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে— বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনী রোববার সেভেরোদোনেৎস্কের অ্যাজোট রাসায়নিক প্ল্যান্ট থেকে শিশুসহ আড়াইশ জনেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স, তাস।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ইউক্রেনের হাতে থাকা শেষ বড় শহরটি ঘিরে চলছে তুমুল লড়াই
ইউক্রেনে টানা চার মাসের সম্মুখ সমরে রাশিয়ার ‘অর্জনই’ যেন বেশি। মূলত পুরো ইউক্রেন ছেড়ে দেশটির পূর্বাঞ্চলেই এখন চলছে দুপক্ষের তীব্র লড়াই। এই লড়াইয়ে দিন দুয়েক আগেই পূর্ব ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় শহর সেভেরোদোনেৎস্কের দখল নিয়েছিল রাশিয়ার সামরিক বাহিনী।
আর এর পরই রুশ সেনা ও মস্কোপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধাদের নজর এখন লুহানস্ক প্রদেশে ইউক্রেনীয় সেনাদের হাতে থাকা শেষ বড় শহর লিসিচানস্কে। যোদ্ধাদের ইতোমধ্যে এই শহরের ভেতরে পাঠানো শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে রুশসমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।
সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শনিবার লুহানস্কের সেভেরোদোনেৎস্ক শহরের দখল নেওয়ার পর রাশিয়ার নজর এখন লিসিচানস্ক শহরে। এই শহরটি সেভেরোদোনেৎস্ক শহরের যমজ শহর (টুইন সিটি) নামে পরিচিত। সেভেরোদোনেৎস্ক শহরটি মূলত পূর্ব ইউক্রেনের লুহানস্ক অঞ্চলের সিভারস্কি ডোনেটস নদীর পশ্চিমতীরে অবস্থিত। আর এর পার্শ্ববর্তী ছোট শহর লিসিচানস্ক এবার দখলে নিতে পারলে মস্কো লুহানস্কের পুরোটাই দখল করতে সক্ষম হবে। মূলত লুহানস্ক হচ্ছে দোনবাসের দুটি প্রদেশের একটি, যা রাশিয়া বিচ্ছিন্নতাবাদীদের রক্ষার নামে দখলের জন্য হামলা চালাচ্ছে।
রোববার রুশ বার্তা সংস্থা তাস মস্কোপন্থি এক বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী পাঁচ দিক থেকে লিসিচানস্কে প্রবেশ করেছে এবং ইউক্রেনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে।
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ বলেছেন, রাশিয়ান বাহিনী কামান ব্যবহার করে দক্ষিণ থেকে লিসিচানস্ককে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে। তবে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা শহরে প্রবেশ করেছে কিনা সেটি উল্লেখ করেননি তিনি।
এলেনা নামে লিসিচানস্কের একজন বয়স্ক নারী নিজ এলাকা ছেড়ে বাসে করে ইউক্রেনীয়-নিয়ন্ত্রিত শহর পোকরভস্কে পৌঁছেছেন। তিনি বলেন, ‘লিসিচানস্কে গত সপ্তাহে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছিল। অবস্থা এতটাই ভয়াবহ যে, আমরা সেখানে আর অবস্থান করতে পারিনি। আমি ইতোমধ্যে আমার স্বামীকে বলেছিলাম— যদি আমি মারা যাই, দয়া করে আমাকে বাড়ির পেছনে দাফন করো।
অন্যদিকে বার্তা সংস্থা আরআইএ একজন বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে— বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনী রোববার সেভেরোদোনেৎস্কের অ্যাজোট রাসায়নিক প্ল্যান্ট থেকে শিশুসহ আড়াইশ জনেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স, তাস।