‘একটা মিসাইলই ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনবে’
ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পারমাণবিক বর্জ্য সংরক্ষণের স্থানে একটি মিসাইল আঘাতই ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনবে বলে শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পারমাণবিক পদার্থ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ক্লেয়ার কর্খিল জানিয়েছেন। বিবিসি সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
কর্খিল বলেন, পারমাণবিক বর্জ্য সংরক্ষণের স্থানে একটি মিসাইল হানলে ‘তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়তে পারে’।
তিনি বলেন, এর পরিণতি হয়তো কুল্যান্ট দুর্ঘটনার মতো ব্যাপক ও গুরুতর হবে না। তবে অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে।
চলতি বছরের মার্চে জাপোরিঝিয়া দখলে নেয় রাশিয়া। যদিও এখনো ওই পারমাণবিক কেন্দ্রটিতে ইউক্রেনের কর্মীরাই কাজ করে যাচ্ছে।
সেখানে হামলার চালানোর জন্য ইউক্রেন ও রাশিয়া পরস্পরকে দুষছে। ইউক্রেনের দাবি রাশিয়ার আক্রমণে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি বিকিরণ সেন্সর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং একজন কর্মী আহত হয়েছে।
এদিকে, জাপোরিঝিয়া উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে রাশিয়া ‘পুরো বিশ্বকে ব্ল্যাকমেইল করছে’ বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের পারমাণবিক সংস্থা এনারহোয়াটম।
মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামের একটি পোস্টে এনারহোটম জানায়, রাশিয়ার বিকিরণ, রাসায়নিক ও জৈবিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল ভ্যালেরি ভ্যাসিলিভ বলেছেন, ‘সেখানে (জাপোরিঝিয়া) হয় রাশিয়ান ভূমি বা একটি দগ্ধ মরুভূমি থাকবে‘।
ভাসিলিভ জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা উড়িয়ে দেওয়ার দাবি করেছেন বলেও ওই পোস্টে এনারহোটম জানিয়েছে।
অন্যদিকে, জাপানের টোকিওতে মহাসচিব গুতেরেস বলেছেন, পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হলে কোনো কিছু করার জন্য ‘সম্ভবত জাতিসংঘই থাকবে না।’
জাপানের এক সাংবাদিক ইউক্রেনে রাশিয়ার সম্ভাব্য পারমাণবিক আক্রমণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে এমন মন্তব্য করেন গুতেরেস।
তিনি বলেছেন, আমার বিশ্বাস যদি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয় , সম্ভবত জাতিসংঘ থাকবে না, কোনো কিছু করতে।
‘একটা মিসাইলই ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনবে’
যুগান্তর ডেস্ক
০৮ আগস্ট ২০২২, ২২:৩৮:৪১ | অনলাইন সংস্করণ
ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পারমাণবিক বর্জ্য সংরক্ষণের স্থানে একটি মিসাইল আঘাতই ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনবে বলে শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পারমাণবিক পদার্থ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ক্লেয়ার কর্খিল জানিয়েছেন। বিবিসি সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
কর্খিল বলেন, পারমাণবিক বর্জ্য সংরক্ষণের স্থানে একটি মিসাইল হানলে ‘তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়তে পারে’।
তিনি বলেন, এর পরিণতি হয়তো কুল্যান্ট দুর্ঘটনার মতো ব্যাপক ও গুরুতর হবে না। তবে অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে।
চলতি বছরের মার্চে জাপোরিঝিয়া দখলে নেয় রাশিয়া। যদিও এখনো ওই পারমাণবিক কেন্দ্রটিতে ইউক্রেনের কর্মীরাই কাজ করে যাচ্ছে।
সেখানে হামলার চালানোর জন্য ইউক্রেন ও রাশিয়া পরস্পরকে দুষছে। ইউক্রেনের দাবি রাশিয়ার আক্রমণে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি বিকিরণ সেন্সর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং একজন কর্মী আহত হয়েছে।
এদিকে, জাপোরিঝিয়া উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে রাশিয়া ‘পুরো বিশ্বকে ব্ল্যাকমেইল করছে’ বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের পারমাণবিক সংস্থা এনারহোয়াটম।
মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামের একটি পোস্টে এনারহোটম জানায়, রাশিয়ার বিকিরণ, রাসায়নিক ও জৈবিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল ভ্যালেরি ভ্যাসিলিভ বলেছেন, ‘সেখানে (জাপোরিঝিয়া) হয় রাশিয়ান ভূমি বা একটি দগ্ধ মরুভূমি থাকবে‘।
ভাসিলিভ জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা উড়িয়ে দেওয়ার দাবি করেছেন বলেও ওই পোস্টে এনারহোটম জানিয়েছে।
অন্যদিকে, জাপানের টোকিওতে মহাসচিব গুতেরেস বলেছেন, পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হলে কোনো কিছু করার জন্য ‘সম্ভবত জাতিসংঘই থাকবে না।’
জাপানের এক সাংবাদিক ইউক্রেনে রাশিয়ার সম্ভাব্য পারমাণবিক আক্রমণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে এমন মন্তব্য করেন গুতেরেস।
তিনি বলেছেন, আমার বিশ্বাস যদি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয় , সম্ভবত জাতিসংঘ থাকবে না, কোনো কিছু করতে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023