‘ক্ষুদ্র রাষ্ট্র’ গঠনের চেষ্টা করেছিলেন চীনের এক দম্পতি
অনলাইন ডেস্ক
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২২:৫৬:৪৬ | অনলাইন সংস্করণ
প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশ মার্শাল দ্বীপপুঞ্জে আলাদা একটি ‘ক্ষুদ্র রাষ্ট্র’ গঠনের চেষ্টা করেছিলেন চীনের এক দম্পতি। তারা হলেন ক্যারি ইয়ান এবং গিনা ঝাও। খবর বিবিসির।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের আইনপ্রণেতাদের ঘুস দিয়ে নির্জন একটি প্রবাল দ্বীপে আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গঠনের চেষ্টা করেছিলেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবিরা জানিয়েছেন এ তথ্য।
যদি এটি হতো তাহলে প্যাসিফিক অঞ্চলের এ দেশটিতে বিদেশী অধিগমন বাড়ত। ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চলটি যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ হাওয়াই এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অবস্থানরত একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। এটিতে অসংখ্য দ্বীপ রয়েছে। চার দশক যুক্তরাষ্ট্রের অধীনে থাকার পর ১৯৭৯ সালে তারা স্বাধীনতা লাভ করে। এই দ্বীপপুঞ্জটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে তাদের ঘাঁটি আছে। তবে সম্প্রতি চীন সেখানে নজর দিয়েছে।
এদিকে এ অভিযোগের বিষয়ে এখনো সবকিছু পরিস্কার করেনি মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের সরকার। যদিও বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে চাপ আসছে।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, চীনের ওই দম্পতি মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের সার্বভৌমতা লঙ্ঘন করেছেন।
তাদের দেওয়া ঘুসের কারণে ২০১৮ ও ২০২০ সালে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের সংসদে বিষয়টি নিয়ে একটি বিলও উত্থাপিত হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবীরা জানিয়েছে, ঘুস পাওয়ার পর বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা এই বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। একেকজন আইনপ্রণেতা এ জন্য ৭ হাজার থেকে ২২ হাজার ডলার পর্যন্ত ঘুস পেয়েছিলেন।
তবে ২০২০ সালে চীনের এ দম্পত্তিকে থাইল্যান্ডে আটক করা হয় এবং পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চীনের দম্পত্তির আলাদা ছোটো রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা শুরু হয় ২০১৬ সালে। তারা একটি পরিত্যক্ত শৈবাল দ্বীপকে বেঁছে নেন। ১৯৫০ সালে এই দ্বীপে হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। পরে দ্বীপটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়।
দ্বীপপুঞ্জের আইনপ্রণেতাদের নিজেদের পক্ষে আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত নিজেদের একটি এনজিওর মাধ্যমে ঘুস পাঠান তারা।
চীনের দম্পত্তির ২০১৮ সালের প্রথমবারের চেষ্টা ব্যর্থ হয় কারণ ওই সময় মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের প্রেসিডেন্ট এটির তীব্র বিরোধীতা করেছিলেন। ২০২০ সালে তাদের দ্বিতীয়বারের চেষ্টা সফল হওয়ার আগেই গ্রেফতার হন তারা।
বর্তমানে অর্থপাচার, ঘুস প্রদান এবং বিদেশী দুর্নীতির অভিযোগে তাদের বিচার করা হচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
‘ক্ষুদ্র রাষ্ট্র’ গঠনের চেষ্টা করেছিলেন চীনের এক দম্পতি
প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশ মার্শাল দ্বীপপুঞ্জে আলাদা একটি ‘ক্ষুদ্র রাষ্ট্র’ গঠনের চেষ্টা করেছিলেন চীনের এক দম্পতি। তারা হলেন ক্যারি ইয়ান এবং গিনা ঝাও। খবর বিবিসির।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের আইনপ্রণেতাদের ঘুস দিয়ে নির্জন একটি প্রবাল দ্বীপে আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গঠনের চেষ্টা করেছিলেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবিরা জানিয়েছেন এ তথ্য।
যদি এটি হতো তাহলে প্যাসিফিক অঞ্চলের এ দেশটিতে বিদেশী অধিগমন বাড়ত। ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চলটি যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ হাওয়াই এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অবস্থানরত একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। এটিতে অসংখ্য দ্বীপ রয়েছে। চার দশক যুক্তরাষ্ট্রের অধীনে থাকার পর ১৯৭৯ সালে তারা স্বাধীনতা লাভ করে। এই দ্বীপপুঞ্জটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে তাদের ঘাঁটি আছে। তবে সম্প্রতি চীন সেখানে নজর দিয়েছে।
এদিকে এ অভিযোগের বিষয়ে এখনো সবকিছু পরিস্কার করেনি মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের সরকার। যদিও বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে চাপ আসছে।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, চীনের ওই দম্পতি মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের সার্বভৌমতা লঙ্ঘন করেছেন।
তাদের দেওয়া ঘুসের কারণে ২০১৮ ও ২০২০ সালে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের সংসদে বিষয়টি নিয়ে একটি বিলও উত্থাপিত হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবীরা জানিয়েছে, ঘুস পাওয়ার পর বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা এই বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। একেকজন আইনপ্রণেতা এ জন্য ৭ হাজার থেকে ২২ হাজার ডলার পর্যন্ত ঘুস পেয়েছিলেন।
তবে ২০২০ সালে চীনের এ দম্পত্তিকে থাইল্যান্ডে আটক করা হয় এবং পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চীনের দম্পত্তির আলাদা ছোটো রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা শুরু হয় ২০১৬ সালে। তারা একটি পরিত্যক্ত শৈবাল দ্বীপকে বেঁছে নেন। ১৯৫০ সালে এই দ্বীপে হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। পরে দ্বীপটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়।
দ্বীপপুঞ্জের আইনপ্রণেতাদের নিজেদের পক্ষে আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত নিজেদের একটি এনজিওর মাধ্যমে ঘুস পাঠান তারা।
চীনের দম্পত্তির ২০১৮ সালের প্রথমবারের চেষ্টা ব্যর্থ হয় কারণ ওই সময় মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের প্রেসিডেন্ট এটির তীব্র বিরোধীতা করেছিলেন। ২০২০ সালে তাদের দ্বিতীয়বারের চেষ্টা সফল হওয়ার আগেই গ্রেফতার হন তারা।
বর্তমানে অর্থপাচার, ঘুস প্রদান এবং বিদেশী দুর্নীতির অভিযোগে তাদের বিচার করা হচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি