বিজয় ছাড়া শান্তি আসতে পারে না: ইউক্রেনের ফার্স্টলেডি
অনলাইন ডেস্ক
২৫ নভেম্বর ২০২২, ১৫:১৯:২৭ | অনলাইন সংস্করণ
ইউক্রেনের ফার্স্টলেডি ওলেনা জেলেনস্কা বলেছেন, বিজয় ছাড়া শান্তি আসতে পারে না। আসন্ন শীতের ঠাণ্ডা এবং রুশ হামলার কারণে সৃষ্ট বিদ্যুৎ বিপর্যয় সত্ত্বেও টিকে থাকবে।
বিবিসির প্রধান ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক লিজ ডুসেটের সঙ্গে আলাপকালে ইউক্রেনের ফার্স্টলেডি এসব কথা বলেন।
হিমশীতল শৈত্য এবং অন্ধকারে বিপর্যস্ত রাজধানী শহর কিয়েভে ওলেনা জেলেনস্কার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় লিজ ডুসেটের। তারা অবস্থান করছিলেন বেশ কিছু ভবনের এক জটিল গোলকধাঁধার মতো জায়গায়। নিরাপত্তার কারণে যা ছিল বালির বস্তায় সুরক্ষিত।
ওলেনা জেলেনস্কা বলেন, আমরা এটি সহ্য করার জন্য প্রস্তুত। আমাদের অনেক ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। অনেককে যুদ্ধের শিকার হতে দেখেছি। এত ধ্বংস দেখেছি যে, বিদ্যুৎহীনতা আমাদের কাছে সবচেয়ে খারাপ জিনিস নয়।
ইউক্রেনের ফার্স্টলেডি সাম্প্রতিক একটি জরিপের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, তাতে ৯০ শতাংশ ইউক্রেনের নাগরিক বলেছে— ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা দেখলে তারা দুই থেকে তিন বছর পর্যন্ত বিদ্যুতের ঘাটতি নিয়ে থাকতে প্রস্তুত।
আলাপচারিতায় জেলেনস্কা স্বীকার করেছেন, কঠিন শীতের মধ্যে পথটি ভয়ঙ্কর ও দীর্ঘ হবে। ম্যারাথন দৌড়ানো এক হিসাবে সহজ, যখন আপনি জানেন কত কিলোমিটার বাকি আছে। তবে এ যুদ্ধের ক্ষেত্রে ইউক্রেনীয়রা জানে না তাদের কতটা দৌড়াতে হবে। কখনো কখনো এটা খুব কঠিন হতে পারে। কিন্তু কিছু নতুন আবেগের জন্ম হয়েছে, যা আমাদের মনোবল ধরে রাখতে সাহায্য করে।
যুদ্ধের কারণে সব ইউক্রেনীয় শক্তিশালী হয়ে উঠবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেন ইউক্রেনের ফার্স্টলেডি।
সূত্র: বিবিসি
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বিজয় ছাড়া শান্তি আসতে পারে না: ইউক্রেনের ফার্স্টলেডি
ইউক্রেনের ফার্স্টলেডি ওলেনা জেলেনস্কা বলেছেন, বিজয় ছাড়া শান্তি আসতে পারে না। আসন্ন শীতের ঠাণ্ডা এবং রুশ হামলার কারণে সৃষ্ট বিদ্যুৎ বিপর্যয় সত্ত্বেও টিকে থাকবে।
বিবিসির প্রধান ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক লিজ ডুসেটের সঙ্গে আলাপকালে ইউক্রেনের ফার্স্টলেডি এসব কথা বলেন।
হিমশীতল শৈত্য এবং অন্ধকারে বিপর্যস্ত রাজধানী শহর কিয়েভে ওলেনা জেলেনস্কার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় লিজ ডুসেটের। তারা অবস্থান করছিলেন বেশ কিছু ভবনের এক জটিল গোলকধাঁধার মতো জায়গায়। নিরাপত্তার কারণে যা ছিল বালির বস্তায় সুরক্ষিত।
ওলেনা জেলেনস্কা বলেন, আমরা এটি সহ্য করার জন্য প্রস্তুত। আমাদের অনেক ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। অনেককে যুদ্ধের শিকার হতে দেখেছি। এত ধ্বংস দেখেছি যে, বিদ্যুৎহীনতা আমাদের কাছে সবচেয়ে খারাপ জিনিস নয়।
ইউক্রেনের ফার্স্টলেডি সাম্প্রতিক একটি জরিপের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, তাতে ৯০ শতাংশ ইউক্রেনের নাগরিক বলেছে— ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা দেখলে তারা দুই থেকে তিন বছর পর্যন্ত বিদ্যুতের ঘাটতি নিয়ে থাকতে প্রস্তুত।
আলাপচারিতায় জেলেনস্কা স্বীকার করেছেন, কঠিন শীতের মধ্যে পথটি ভয়ঙ্কর ও দীর্ঘ হবে। ম্যারাথন দৌড়ানো এক হিসাবে সহজ, যখন আপনি জানেন কত কিলোমিটার বাকি আছে। তবে এ যুদ্ধের ক্ষেত্রে ইউক্রেনীয়রা জানে না তাদের কতটা দৌড়াতে হবে। কখনো কখনো এটা খুব কঠিন হতে পারে। কিন্তু কিছু নতুন আবেগের জন্ম হয়েছে, যা আমাদের মনোবল ধরে রাখতে সাহায্য করে।
যুদ্ধের কারণে সব ইউক্রেনীয় শক্তিশালী হয়ে উঠবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেন ইউক্রেনের ফার্স্টলেডি।
সূত্র: বিবিসি